alt

সারাদেশ

বান্দরবানের ৮০ ভাগ আবাদি জমি ‘বিষবৃক্ষ’ তামাকের দখলে

প্রতিনিধি,বান্দরবান : রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫

লামা উপজেলার সাবেক বিলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তামাক চাষের দখলে -সংবাদ

বান্দরবানের সাতটি উপজেলার প্রায় ৮০ভাগ আবাদী জমি দখল করে নিয়েছে ‘বিষবৃক্ষ’ তামাক। আবাদী জমিসহ নদীর দু’পাড়,সমতল ভূমি,পাহাড়ি ঢালু জমি,বসত বাড়ির পতিত জমি,শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা নদীর চর।এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগোয়া ফসলি জমিসহ সর্বত্র এখন তামাক চাষের দখলে। তামাক কোম্পানি কর্তৃক প্রণোদনারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকায় দিনে দিনে বাড়ছে মরণব্যাধি তামাক চাষের আবাদ।সরকারি ভাবে কৃষকদেরকে প্রণোদনা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা ক্ষতিকর তামাকের আগ্রাসন।অপরদিকে উৎপাদিত তামাক প্রক্রিয়াজাত করতে তামাক পুড়ানো চুল্লী গুলোতেও জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনের ছোট ছোট গাছ।ফলে দিন দিন গাছশূন্য হয়ে পড়ছে পাহাড়ী এলাকায়। এদিকে বিগত মৌসুমের ন্যায় চলতি মৌসুমেও ব্যাপক তামাক চাষের হয়েছে বান্দরবানে। কৃষকরা তাদের ফসলি জমি,স্কুলের মাঠ,মাতামুহুরী নদীর চর,নদীর দুই ধার ও বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতেও তামাক চাষ। স্থানয়ী কৃষকদের মতে,ফসলী জমিতে তরি-তরকারী বা অন্যান্য ফসল উৎপাদন করলে তা বাজারজাত করার নিশ্চয়তা না থাকায় ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।ফলে লোকসান গুনতে হয়।তামাক চাষ করলে কোম্পানী গুলো নগদ এবং এককালীন মূল্যে উৎপাদিত শতভাগ তামাকই ক্রয় করে।এ কারনেই কৃষকেরা তামাক চাষে আগ্রহ।কৃষকেরা মনে করেন-তাদের উৎপদিত পন্যের বাজারজাতের অনিশ্চিয়তার কারনে ক্ষতিকর জেনেও এ তামাক চাষে আগ্রহী।

এদিকে সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মীর মতে-জেলায় হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে তামাকের আবাদ হয়েছে। তামাক কোম্পানীগুলো বিভিন্নভাবে প্রভাহিত করে তামাক চাষ করানো হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশ ক্ষতিগ্রহস্ত হচ্ছে। এছাড়াও তামাক চাষের ফলে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধি। তবে কৃষকদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা গুলো নিয়ে নিচ্ছে তামাক কোম্পানীগুলো। সচেতন নাগরিকদের মতে,শুস্ক মৌসুমে অনেকটা মরা নদীতে পরিনত হওয়া সাঙ্গুনদী ও মাতামুহুরী নদী বর্ষা মৌসুমে ভয়াল রূপ ধারন করে। এক সময় এ নদীতে প্রচুর গভীরতা ছিলো। যেখানে ছিলো অথৈ পানি,এখন সেখানে বালি আর মাটির স্তুপ। নদীগুলোর অস্বাভাবিক নাব্যতা হ্রাসের ফলে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে নদীর দু’কুল উপছে বন্যার সৃষ্টি হয়।নদীর নাব্যতা হ্রাস রোধে নদীর তীর কেটে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর তামাক চাষ বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে,তামাক কোম্পানী গুলোর পক্ষ থেকে সার ও অর্থ অগ্রিম দিয়ে চাষীদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করানোর ফলে তামাক চাষ ব্যাপক হারে বাড়ছে।তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তামাক চাষ ত্যাগের জন্য বিকল্প চাষ হিসাবে গম,ভূট্টা,আলুসহ পরিবেশ বান্ধব রবিশস্যের বীজ, সার সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা দেয়া প্রয়োজন কৃষকদের মাঝে। কৃষকদের সচেতনতার র‌্যালি,সেমিনার করা হলে এবং অব্যাহত চেষ্টা থাকলে তামাক চাষ বন্ধ করা সম্ভব হবে মনে করেছেন।তাছাড়া কৃষকদের কৃষিপূণ্য বাজার জাত করার জন্য খুবই প্রয়োজন হিমাগার। কৃষিবিদের মতে,কৃষকদেরকে তামাক কোম্পানী গুলো যেই ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে সেই পরিমান কৃষি বিভাগ তার কাছা-কাছি সহযোগিতা করা যেতো তাহলে চীনা বাদাম, ভুট্টা, গম, সরিষাসহ যেসব শস্যের উপর সরকার প্রনোদনা দিচ্ছে সে সব ফসল শতভাগ বাজারজাতকরণ এবং উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিশ্চিত হলে তামাক চাষ কমে আসবে বলে মনে করেন কৃষিবিদ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষিবিদ এম,এম শাহ্ নেয়াজ বলেন-তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করা হলেও কোম্পানীগুলো কৃষকদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে তামাকের আবাদ বাড়িয়ে দে।তবে আক চাষের মাধ্যমে তামাকের আগ্রসন কমানো চেষ্ট চলছে।তার পরেও গেলো অথ বছরের চেয়ে কিছুটা কমে আসছে এবং চলতি বছর ১১শ ৪৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।তবে আমাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে ২০৪০ সালে মধ্যে বান্দরবানকে তামাক মুক্ত করা হবে।

মোরেলগঞ্জে শাফায়েত হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গ্রামবাসী

শেরপুরে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধার তিনজন গ্রেপ্তার

মহালছড়িতে নারী সমাবেশ

ছবি

তাহলে সততার কীসের মূল্যায়ন: গ্রেপ্তারের আগে আইভী

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

tab

সারাদেশ

বান্দরবানের ৮০ ভাগ আবাদি জমি ‘বিষবৃক্ষ’ তামাকের দখলে

প্রতিনিধি,বান্দরবান

লামা উপজেলার সাবেক বিলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় তামাক চাষের দখলে -সংবাদ

রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫

বান্দরবানের সাতটি উপজেলার প্রায় ৮০ভাগ আবাদী জমি দখল করে নিয়েছে ‘বিষবৃক্ষ’ তামাক। আবাদী জমিসহ নদীর দু’পাড়,সমতল ভূমি,পাহাড়ি ঢালু জমি,বসত বাড়ির পতিত জমি,শুষ্ক মৌসুমে জেগে ওঠা নদীর চর।এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগোয়া ফসলি জমিসহ সর্বত্র এখন তামাক চাষের দখলে। তামাক কোম্পানি কর্তৃক প্রণোদনারসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকায় দিনে দিনে বাড়ছে মরণব্যাধি তামাক চাষের আবাদ।সরকারি ভাবে কৃষকদেরকে প্রণোদনা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা ক্ষতিকর তামাকের আগ্রাসন।অপরদিকে উৎপাদিত তামাক প্রক্রিয়াজাত করতে তামাক পুড়ানো চুল্লী গুলোতেও জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনের ছোট ছোট গাছ।ফলে দিন দিন গাছশূন্য হয়ে পড়ছে পাহাড়ী এলাকায়। এদিকে বিগত মৌসুমের ন্যায় চলতি মৌসুমেও ব্যাপক তামাক চাষের হয়েছে বান্দরবানে। কৃষকরা তাদের ফসলি জমি,স্কুলের মাঠ,মাতামুহুরী নদীর চর,নদীর দুই ধার ও বনবিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতেও তামাক চাষ। স্থানয়ী কৃষকদের মতে,ফসলী জমিতে তরি-তরকারী বা অন্যান্য ফসল উৎপাদন করলে তা বাজারজাত করার নিশ্চয়তা না থাকায় ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না।ফলে লোকসান গুনতে হয়।তামাক চাষ করলে কোম্পানী গুলো নগদ এবং এককালীন মূল্যে উৎপাদিত শতভাগ তামাকই ক্রয় করে।এ কারনেই কৃষকেরা তামাক চাষে আগ্রহ।কৃষকেরা মনে করেন-তাদের উৎপদিত পন্যের বাজারজাতের অনিশ্চিয়তার কারনে ক্ষতিকর জেনেও এ তামাক চাষে আগ্রহী।

এদিকে সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মীর মতে-জেলায় হাজার হাজার একর ফসলি জমিতে তামাকের আবাদ হয়েছে। তামাক কোম্পানীগুলো বিভিন্নভাবে প্রভাহিত করে তামাক চাষ করানো হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশ ক্ষতিগ্রহস্ত হচ্ছে। এছাড়াও তামাক চাষের ফলে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধি। তবে কৃষকদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা গুলো নিয়ে নিচ্ছে তামাক কোম্পানীগুলো। সচেতন নাগরিকদের মতে,শুস্ক মৌসুমে অনেকটা মরা নদীতে পরিনত হওয়া সাঙ্গুনদী ও মাতামুহুরী নদী বর্ষা মৌসুমে ভয়াল রূপ ধারন করে। এক সময় এ নদীতে প্রচুর গভীরতা ছিলো। যেখানে ছিলো অথৈ পানি,এখন সেখানে বালি আর মাটির স্তুপ। নদীগুলোর অস্বাভাবিক নাব্যতা হ্রাসের ফলে বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে পাহাড়ী ঢলে নদীর দু’কুল উপছে বন্যার সৃষ্টি হয়।নদীর নাব্যতা হ্রাস রোধে নদীর তীর কেটে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর তামাক চাষ বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে,তামাক কোম্পানী গুলোর পক্ষ থেকে সার ও অর্থ অগ্রিম দিয়ে চাষীদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করানোর ফলে তামাক চাষ ব্যাপক হারে বাড়ছে।তবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তামাক চাষ ত্যাগের জন্য বিকল্প চাষ হিসাবে গম,ভূট্টা,আলুসহ পরিবেশ বান্ধব রবিশস্যের বীজ, সার সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সহায়তা দেয়া প্রয়োজন কৃষকদের মাঝে। কৃষকদের সচেতনতার র‌্যালি,সেমিনার করা হলে এবং অব্যাহত চেষ্টা থাকলে তামাক চাষ বন্ধ করা সম্ভব হবে মনে করেছেন।তাছাড়া কৃষকদের কৃষিপূণ্য বাজার জাত করার জন্য খুবই প্রয়োজন হিমাগার। কৃষিবিদের মতে,কৃষকদেরকে তামাক কোম্পানী গুলো যেই ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে সেই পরিমান কৃষি বিভাগ তার কাছা-কাছি সহযোগিতা করা যেতো তাহলে চীনা বাদাম, ভুট্টা, গম, সরিষাসহ যেসব শস্যের উপর সরকার প্রনোদনা দিচ্ছে সে সব ফসল শতভাগ বাজারজাতকরণ এবং উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিশ্চিত হলে তামাক চাষ কমে আসবে বলে মনে করেন কৃষিবিদ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষিবিদ এম,এম শাহ্ নেয়াজ বলেন-তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করা হলেও কোম্পানীগুলো কৃষকদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে তামাকের আবাদ বাড়িয়ে দে।তবে আক চাষের মাধ্যমে তামাকের আগ্রসন কমানো চেষ্ট চলছে।তার পরেও গেলো অথ বছরের চেয়ে কিছুটা কমে আসছে এবং চলতি বছর ১১শ ৪৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।তবে আমাদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে ২০৪০ সালে মধ্যে বান্দরবানকে তামাক মুক্ত করা হবে।

back to top