alt

সারাদেশ

নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

সদরঘাটে হাঁটতে হয় নাকে রুমাল চাপা দিয়ে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য সম্প্রতি নৌপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিজের ফেইসবুকে তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন এই উপদেষ্টা।

নদীপথের গুরুত্ব হারিয়ে যাচ্ছে দাবি করে ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, ‘যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিবর্তে আমাদের নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে! ঢাকার সদরঘাটে তাই এখন আমাদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁটতে হয়। এটাই কি আমাদের নিয়তি! আমাদের নদ-নদীগুলো কি কেবল বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হবে?’

পায়রায় বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লেখেন, ‘গেল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পায়রায় দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেখতে গিয়েছিলাম। দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমার পছন্দ ক্রমানুসারে নিম্নরূপ- নদীপথে, রেলপথে, বিমানে এবং সড়কপথে। তাই ঠিক করলাম লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে বাকিটা সড়কপথে যাব। আমাকে জানান হলো যে, পটুয়াখালী যাওয়ার ভালো লঞ্চ নাই, সড়কপথে যাওয়া উত্তম হবে। আগে ভালো লঞ্চ ছিল, পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। আমিও নাছোড়বান্দা, বললাম লঞ্চে বরিশাল হয়ে যাব। যদিও এর ফলে সড়কপথে ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা যাতায়াত বাড়বে।’

ফাওজুল কবির লেখেন, ‘সেভাবেই গেলাম ও ফিরে আসলাম। এখানেও পদ্মা সেতুর কারণে যাত্রীসংকট। আমরা যে লঞ্চটিতে ১৫ মার্চ ফিরলাম, তার পরের শিডিউল ১৯ তারিখে। এর মধ্যে অন্য লঞ্চ চলবে। বরিশাল থেকে পায়রা যাওয়া আসার পথে কয়েকটি নদ-নদী পার হলাম। কী সুন্দর এসব নদী, স্থির জল, হালকা হাওয়ায় ছোট ছোট ঢেউ। কিন্তু এসব নদীতে একটিও নৌকা কিংবা জলযান নেই।’

এই উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘আমাদের সড়ক ও সেতুর বুভুক্ষা কবে শেষ হবে? বর্তমান হারে সেতু ও সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ অব্যাহত থাকলে, আমাদের সড়ক ও সেতুতেই ফসল আবাদ, শিল্প উৎপাদন করতে হবে। এমনকি ভবিষ্যতে কবরের জন্য জমি পাওয়া দুরূহ হতে পারে। অথচ নদ-নদীগুলোই ছিল আমাদের প্রকৃতি প্রদত্ত মহাসড়ক। একসময়, নদীপথে ঢাকার বর্তমান হোটেল সোনারগাঁও থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়া যেত। ভাবা যায়!’

বিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, ১ ভুয়া নার্স আটক

ছবি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জনগণকে ‘রুখে দাঁড়াতে’ বললেন আইন উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে বাসের চাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই নিহত

সিলেটে গর্ভবতী স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, মৃত সন্তান প্রসব

বগুড়ায় ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

লালপুরে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে গুলি বর্ষণের ঘটনায় আটক ২

টঙ্গীতে মাহফুজ হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

ঝিকরগাছায় ভিজিডির চালে ওজনে কম, বিতরণ বন্ধ

শ্রীমঙ্গলে টি টেস্টিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ

ছবি

ধনবাড়ীতে বাড়িঘর ভাঙচুর স্বর্ণালংকার ও শুঁটকি লুট

পদ্মায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ছবি

দশমিনায় মাচায় ধুন্দল চাষে খরচ কম, লাভ দ্বিগুণ

বগুড়ায় অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় দুর্ভোগ

সুন্দরগঞ্জে ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ভালুকায় দুই শিশু সন্তান ও মাকে জবাই করে হত্যা

সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন নয় নাহিদ ইসলাম

ছবি

অবৈধভাবে ট্রলার বোঝাই ১৮ বস্তা চিংড়ি শুঁটকি জব্দ

কসবায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬

চাটখিলে মুক্তিযোদ্ধার ঘর জবরদখল, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

ছবি

সাতক্ষীরার শিক্ষাঙ্গনে কোমর পানি, পাঠদান-পরীক্ষা ব্যাহত

ট্রলারসহ ভারতীয় জেলে আটক

হবিগঞ্জে-ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২

ছবি

সিরাজগঞ্জে এবার পাট চাষে বাম্পার ফলনের আশা

শহরকে যানজটমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে : ডিসি

মাদারগঞ্জে কলেজছাত্রকে গলা কেটে হত্যা, গুরুতর আহত ১

ছবি

জিনারদীতে নরসিংদী কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন

কাঁঠালিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ভোলাহাটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

ছবি

একটি সেতুতে পাল্টে গেল ১৫ গ্রামের মানুষের জীবন

ময়মনসিংহে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পলাশে ইয়াবা টেবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ভারপ্রাপ্তের কারণে আটকে আছে শূন্যপদে নিয়োগ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

ছবি

দশমিনায় জেলে পল্লীতে নীরবতা ও হতাশা, নদীতে ইলিশ মাছের আকাল

খাগড়াছড়ির শান্তি পরিবহন ও মোটর সংঘর্ষে নিহত ২

tab

সারাদেশ

নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

সদরঘাটে হাঁটতে হয় নাকে রুমাল চাপা দিয়ে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর পায়রায় নির্মিত দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য সম্প্রতি নৌপথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিজের ফেইসবুকে তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন এই উপদেষ্টা।

নদীপথের গুরুত্ব হারিয়ে যাচ্ছে দাবি করে ফাওজুল কবির খান লিখেছেন, ‘যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের পরিবর্তে আমাদের নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে! ঢাকার সদরঘাটে তাই এখন আমাদের নাকে রুমাল চাপা দিয়ে হাঁটতে হয়। এটাই কি আমাদের নিয়তি! আমাদের নদ-নদীগুলো কি কেবল বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হবে?’

পায়রায় বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লেখেন, ‘গেল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পায়রায় দুটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেখতে গিয়েছিলাম। দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমার পছন্দ ক্রমানুসারে নিম্নরূপ- নদীপথে, রেলপথে, বিমানে এবং সড়কপথে। তাই ঠিক করলাম লঞ্চে পটুয়াখালী হয়ে বাকিটা সড়কপথে যাব। আমাকে জানান হলো যে, পটুয়াখালী যাওয়ার ভালো লঞ্চ নাই, সড়কপথে যাওয়া উত্তম হবে। আগে ভালো লঞ্চ ছিল, পদ্মা সেতু হওয়ার পর যাত্রীর অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। আমিও নাছোড়বান্দা, বললাম লঞ্চে বরিশাল হয়ে যাব। যদিও এর ফলে সড়কপথে ১ থেকে ১.৫ ঘণ্টা যাতায়াত বাড়বে।’

ফাওজুল কবির লেখেন, ‘সেভাবেই গেলাম ও ফিরে আসলাম। এখানেও পদ্মা সেতুর কারণে যাত্রীসংকট। আমরা যে লঞ্চটিতে ১৫ মার্চ ফিরলাম, তার পরের শিডিউল ১৯ তারিখে। এর মধ্যে অন্য লঞ্চ চলবে। বরিশাল থেকে পায়রা যাওয়া আসার পথে কয়েকটি নদ-নদী পার হলাম। কী সুন্দর এসব নদী, স্থির জল, হালকা হাওয়ায় ছোট ছোট ঢেউ। কিন্তু এসব নদীতে একটিও নৌকা কিংবা জলযান নেই।’

এই উপদেষ্টা আরও লেখেন, ‘আমাদের সড়ক ও সেতুর বুভুক্ষা কবে শেষ হবে? বর্তমান হারে সেতু ও সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ অব্যাহত থাকলে, আমাদের সড়ক ও সেতুতেই ফসল আবাদ, শিল্প উৎপাদন করতে হবে। এমনকি ভবিষ্যতে কবরের জন্য জমি পাওয়া দুরূহ হতে পারে। অথচ নদ-নদীগুলোই ছিল আমাদের প্রকৃতি প্রদত্ত মহাসড়ক। একসময়, নদীপথে ঢাকার বর্তমান হোটেল সোনারগাঁও থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যাওয়া যেত। ভাবা যায়!’

back to top