বরগুনার বেতাগীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করছেন সহকারি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। অবৈধভাবে সরকারি গাছ বিক্রি করায় এলাকাবাসীর পক্ষে দেশান্তরকাঠী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রমজান মাস উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ৭ মার্চ বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ের ২৫টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। নিয়ম বর্হিভূতভাবে গাছ কেটে বিক্রি করা সম্পূর্ন বেআইনী। বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির গাছ বিক্রি বা কর্তন করতে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসারে দরপত্র আহ্বান করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করা হয়। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় সংলগ্ন দেশান্তরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের গাছগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে। এর সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, গাছগুলো বিদ্যালয়ের জমির ছিল না। গাছগুলো আমি বিক্রি করিনি। গাছগুলো বিক্রি করেছে আমার ভাই শেখ মো. শহীদ। তা ভাই শেখ মো. শহীদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সামনে আমাদের নিজেদের জমিতে যেই গাছগুলো ছিল সেই গাছগুলোই কেটে বিক্রি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কথা হলে ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. রোজিনা আক্তার বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি বর্তমানে ওই এলাকা থেকে দূরে রয়েছি। এছাড়া শারীরিকভাবেও আমি এখন অসুস্থ। বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার কথা শুনেছি। তদন্ত করে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি বা কাটতে হলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির যথাযথ রেজুলেশন কপি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর দাখিল করতে হবে। বতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, বিদ্যালয়ের কাছ কেটে বিক্রির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়া গেলে, এই বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
বরগুনার বেতাগীতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করছেন সহকারি শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। অবৈধভাবে সরকারি গাছ বিক্রি করায় এলাকাবাসীর পক্ষে দেশান্তরকাঠী গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, রমজান মাস উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে ৭ মার্চ বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নের ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ের ২৫টি গাছ কেটে বিক্রি করেন। নিয়ম বর্হিভূতভাবে গাছ কেটে বিক্রি করা সম্পূর্ন বেআইনী। বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির গাছ বিক্রি বা কর্তন করতে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নিতে হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া অনুসারে দরপত্র আহ্বান করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করা হয়। এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই গাছ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় সংলগ্ন দেশান্তরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের গাছগুলো অবৈধভাবে বিক্রি করা হয়েছে। এর সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, গাছগুলো বিদ্যালয়ের জমির ছিল না। গাছগুলো আমি বিক্রি করিনি। গাছগুলো বিক্রি করেছে আমার ভাই শেখ মো. শহীদ। তা ভাই শেখ মো. শহীদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সামনে আমাদের নিজেদের জমিতে যেই গাছগুলো ছিল সেই গাছগুলোই কেটে বিক্রি করা হয়েছে।
এই বিষয়ে কথা হলে ৮নং দেশান্তরকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. রোজিনা আক্তার বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আমি বর্তমানে ওই এলাকা থেকে দূরে রয়েছি। এছাড়া শারীরিকভাবেও আমি এখন অসুস্থ। বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার কথা শুনেছি। তদন্ত করে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি বা কাটতে হলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির যথাযথ রেজুলেশন কপি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর দাখিল করতে হবে। বতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, বিদ্যালয়ের কাছ কেটে বিক্রির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়া গেলে, এই বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।