কুমিল্লার চান্দিনায় ঋণের কিস্তি আদায় শেষে ফেরার পথে এক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, চার যুবক তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন চালায়।
সোমবার সন্ধ্যায় চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী দক্ষিণপাড়ার একটি নির্জন বাগানে তাঁদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
ভুক্তভোগী পুরুষ কর্মীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়, আর নারী সহকর্মীকে হাত-পা বেঁধে ভয়ভীতি দেখানো হয়। অপহরণকারীরা তাঁদের আদায়কৃত কিস্তির টাকা কেড়ে নেয় এবং ভয় দেখিয়ে নারী কর্মীর পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁদের দেখে ফেললে অপহরণকারীরা তাঁদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়। সেখানে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে নারী কর্মী চিৎকার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। এতে আতঙ্কিত হয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী পুরুষ কর্মী চারজনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, মামলাটি অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।
এদিকে, মামলার এজাহারে নারী কর্মীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লার চান্দিনায় ঋণের কিস্তি আদায় শেষে ফেরার পথে এক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, চার যুবক তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন চালায়।
সোমবার সন্ধ্যায় চান্দিনা পৌরসভার তুলাতলী দক্ষিণপাড়ার একটি নির্জন বাগানে তাঁদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
ভুক্তভোগী পুরুষ কর্মীর অভিযোগ অনুযায়ী, তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিদ্যুতের শক দেওয়া হয়, আর নারী সহকর্মীকে হাত-পা বেঁধে ভয়ভীতি দেখানো হয়। অপহরণকারীরা তাঁদের আদায়কৃত কিস্তির টাকা কেড়ে নেয় এবং ভয় দেখিয়ে নারী কর্মীর পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা আদায় করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘটনার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁদের দেখে ফেললে অপহরণকারীরা তাঁদের অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়। সেখানে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে মুখের বাঁধন খুলে গেলে নারী কর্মী চিৎকার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসে। এতে আতঙ্কিত হয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী পুরুষ কর্মী চারজনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানিয়েছেন, মামলাটি অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।
এদিকে, মামলার এজাহারে নারী কর্মীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি। এখন পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।