ভৈরবে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে কোরআন শরীফ আগুনে পুড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টার অভিযোগে হরিদাস বর্মণ (৫০) নামে এক সাধুকে গ্রেপ্তার করেছে থানাপুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাধু হরিদাস বর্মণ পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে। তিনি জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকা হাজী রেনু মিয়ার বাড়ির ভাড়া বাসায় থাকেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।
সূত্রে জানা যায়, রোববার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব শাখার সভাপতি চন্দন কুমার পাল সাধু হরিদাস বর্মণের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে হরিদাসের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকল্পে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগিয়ে দিয়ে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করবে বলে হুমকি পান। এতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আতঙ্কিত হয়ে ভৈরব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে পৌর শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় হাজী রেনু মিয়ার বাড়িতে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হরিদাস বর্মণ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে এসআই ইমদাদুল কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় হরিদাস বর্মণকে তল্লাশি করে বুকের পকেট থেকে ১টি স্যামসাং মোবাইল সেট ও নিচের দিকে আগুনে পোড়ানো সহীহ নূরানী কোরআন শরীফ এর অংশ বিশেষ, নূরানী নামাজ শিক্ষা বই পাওয়া যায়। এগুলো একটি পেস্ট কালারের শপিং ব্যাগে রাখা ছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব শাখার সভাপতি চন্দন কুমার পাল বলেন, শহরের জগন্নাথপুর এলাকার সাধু হরিদাস বর্মণের পূর্বপুরুষদের সম্পত্তি ছিল আমাদের অবগত করে। দীর্ঘদিন পর সে সেই সম্পত্তি উদ্ধার করে দিতে আমাদের ব্লেকমেইল শুরু করে। এমনকি টাকা পয়সাও দাবি করে। কোরআন শরীফ পোড়ানোর একটি ভিডিও বানিয়ে ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত এনে আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ক্ষতি করবে বলে জানায়। আমরা নিরুপায় হয়ে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় ভৈরব থানাপুলিশকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। আমরা হরিদাস বর্মণের এই ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র নিন্দা জানায়।
থানার হাজত খানায় থাকা হরিদাস বর্মণকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যই এসব কাজ করব বলে হুমকি দিয়েছি। আসলে আমার অন্যায় হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, হরিদাস বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত হানতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর কথা স্বীকার করে।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
ভৈরবে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে কোরআন শরীফ আগুনে পুড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টার অভিযোগে হরিদাস বর্মণ (৫০) নামে এক সাধুকে গ্রেপ্তার করেছে থানাপুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাধু হরিদাস বর্মণ পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে। তিনি জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকা হাজী রেনু মিয়ার বাড়ির ভাড়া বাসায় থাকেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।
সূত্রে জানা যায়, রোববার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব শাখার সভাপতি চন্দন কুমার পাল সাধু হরিদাস বর্মণের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে হরিদাসের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকল্পে দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগিয়ে দিয়ে সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করবে বলে হুমকি পান। এতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আতঙ্কিত হয়ে ভৈরব থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
অভিযোগ পেয়ে সোমবার সকালে পৌর শহরের জগন্নাথপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় হাজী রেনু মিয়ার বাড়িতে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হরিদাস বর্মণ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে এসআই ইমদাদুল কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় হরিদাস বর্মণকে তল্লাশি করে বুকের পকেট থেকে ১টি স্যামসাং মোবাইল সেট ও নিচের দিকে আগুনে পোড়ানো সহীহ নূরানী কোরআন শরীফ এর অংশ বিশেষ, নূরানী নামাজ শিক্ষা বই পাওয়া যায়। এগুলো একটি পেস্ট কালারের শপিং ব্যাগে রাখা ছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ভৈরব শাখার সভাপতি চন্দন কুমার পাল বলেন, শহরের জগন্নাথপুর এলাকার সাধু হরিদাস বর্মণের পূর্বপুরুষদের সম্পত্তি ছিল আমাদের অবগত করে। দীর্ঘদিন পর সে সেই সম্পত্তি উদ্ধার করে দিতে আমাদের ব্লেকমেইল শুরু করে। এমনকি টাকা পয়সাও দাবি করে। কোরআন শরীফ পোড়ানোর একটি ভিডিও বানিয়ে ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত এনে আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ক্ষতি করবে বলে জানায়। আমরা নিরুপায় হয়ে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় ভৈরব থানাপুলিশকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। আমরা হরিদাস বর্মণের এই ন্যাক্কারজনক কাজের তীব্র নিন্দা জানায়।
থানার হাজত খানায় থাকা হরিদাস বর্মণকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্যই এসব কাজ করব বলে হুমকি দিয়েছি। আসলে আমার অন্যায় হয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, হরিদাস বর্মণকে জিজ্ঞাসাবাদে ব্যক্তিগত স্বার্থে ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত হানতে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর কথা স্বীকার করে।