অন্য বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাবেন বলে তিনি জানান। এ বছরে ঘিওর, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর প্রচুর পরিমাণে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে
মানিকগঞ্জ : অল্প খরচে অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে চলতি মৌসুমে পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলন এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টার লাভজনক হওযায় ভুট্রার আবাদে ঝুঁকে পরেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ কৃষকরা। কিছু কিছু এলাকাতে ভুট্টা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে সাধারণ কৃষকের চোখেমুখে হাঁসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। হাট বাজারগুলোতে ভালো দাম থাকায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গার হাতছানি দিচ্ছে। অপর দিকে এলাকার সাধারণ কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, সাটুরিয়া, সিংগাইর প্রতি বছর ব্যাপকভাবে ভুট্টার আবাদ করে থাকে এলাকার সাধারণ কৃষকরা। ভুট্টার চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাড়িয়েছে। বিগত সময়ে ফলন ভালো এবং দাম আশানুরুপ পাওয়ায় এলাকার কৃষকরা ভুট্টা চাষে ঝটুকে পড়ছেন। ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের ভুট্টা চাষি নূর আলম জানান, এবার তিনি দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে তার ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশাবাদী চলতি মৌসুম শেষে তিনি তার জমি থেকে ৪৫/৫০ মন ভুট্টা ঘরে তুলতে পারবেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতিমণ ভুট্টা ১১শ থেকে ১২শ’৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাইলাগী গ্রামের কৃষক হারেজ জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তার দ্বিগুন ফলন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি এলাকার কৃষক মো. মজিবর জানান, এবছর তিনি প্রায় ৫ বিঘা জামতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকরা যখন যে পরামর্শ চেয়েছে তা আমরা দেয়া হয়েছে। ফসলের রোগ, পোকামাকড়, দমনে চাষিদের গ্রুপভিত্তিক সচেতন সভা সহ প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। ভুট্টার বীজ, কীটনাশক, আগাছা দমন, নিবির পরিচর্য়ার সঠিকভাবে করার পরামর্শ দেয়ার কারণে এবার ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়নের জামাল শেখ জানান, চলতি বছরে ৭বিঘা জমিতে তিনি ভট্টা আবাদ করেছেন। অনান্য বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাবেন বলে তিনি জানান। এ বছরে ঘিওর, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর প্রচুর পরিমানে ভুট্রা আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাড়িয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের, সিংগাইর , সাটুরিয়া, ঘিওর, দৌলতপুর অঞ্চলে প্রচুর ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় সারা জেলাতে ভালো আবাধ হয়েছে। এবার রোগ বালায়ের আশংকা কম। জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমানে ২১ হাজার ৩৬৫ হেঃ জমিতে ভট্টাা আবাদ হয়েছে। গত বছরে আবাদ হয়েছিল ১৭ হাজার ৩২ হেঃ জমিতে। এবার মোট ৪ হাজার ৩৩৩ হেঃ জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে।
অন্য বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাবেন বলে তিনি জানান। এ বছরে ঘিওর, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর প্রচুর পরিমাণে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে
মানিকগঞ্জ : অল্প খরচে অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলাতে চলতি মৌসুমে পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলন এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টার লাভজনক হওযায় ভুট্রার আবাদে ঝুঁকে পরেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ কৃষকরা। কিছু কিছু এলাকাতে ভুট্টা মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ভালো দাম পেয়ে সাধারণ কৃষকের চোখেমুখে হাঁসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। হাট বাজারগুলোতে ভালো দাম থাকায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গার হাতছানি দিচ্ছে। অপর দিকে এলাকার সাধারণ কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর, দৌলতপুর, সাটুরিয়া, সিংগাইর প্রতি বছর ব্যাপকভাবে ভুট্টার আবাদ করে থাকে এলাকার সাধারণ কৃষকরা। ভুট্টার চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাড়িয়েছে। বিগত সময়ে ফলন ভালো এবং দাম আশানুরুপ পাওয়ায় এলাকার কৃষকরা ভুট্টা চাষে ঝটুকে পড়ছেন। ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের ভুট্টা চাষি নূর আলম জানান, এবার তিনি দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। সব মিলিয়ে তার ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশাবাদী চলতি মৌসুম শেষে তিনি তার জমি থেকে ৪৫/৫০ মন ভুট্টা ঘরে তুলতে পারবেন। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতিমণ ভুট্টা ১১শ থেকে ১২শ’৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাইলাগী গ্রামের কৃষক হারেজ জানান, তিনি চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার তার দ্বিগুন ফলন হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি এলাকার কৃষক মো. মজিবর জানান, এবছর তিনি প্রায় ৫ বিঘা জামতে ভুট্টা আবাদ করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকরা যখন যে পরামর্শ চেয়েছে তা আমরা দেয়া হয়েছে। ফসলের রোগ, পোকামাকড়, দমনে চাষিদের গ্রুপভিত্তিক সচেতন সভা সহ প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। ভুট্টার বীজ, কীটনাশক, আগাছা দমন, নিবির পরিচর্য়ার সঠিকভাবে করার পরামর্শ দেয়ার কারণে এবার ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়নের জামাল শেখ জানান, চলতি বছরে ৭বিঘা জমিতে তিনি ভট্টা আবাদ করেছেন। অনান্য বছরের চেয়ে এবার ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাবেন বলে তিনি জানান। এ বছরে ঘিওর, সাটুরিয়া, সিংগাইর, হরিরামপুর প্রচুর পরিমানে ভুট্রা আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে দাড়িয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের, সিংগাইর , সাটুরিয়া, ঘিওর, দৌলতপুর অঞ্চলে প্রচুর ভুট্টার আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকুলে থাকায় সারা জেলাতে ভালো আবাধ হয়েছে। এবার রোগ বালায়ের আশংকা কম। জেলায় মোট আবাদি জমির পরিমানে ২১ হাজার ৩৬৫ হেঃ জমিতে ভট্টাা আবাদ হয়েছে। গত বছরে আবাদ হয়েছিল ১৭ হাজার ৩২ হেঃ জমিতে। এবার মোট ৪ হাজার ৩৩৩ হেঃ জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে।