ঝালকাঠি জেলার ১০০ শয্যা সদর হাসপাতাল চলতি বছরেই বড় ধরনের ঔষধ সংকটে পড়তে যাচ্ছে। এক দিকে চিকিৎসক ও প্যাথলজি সংকট অন্য দিকে ঔষধ সংকটে ইতিমধ্যেই নাকাল সেবা নিতে আসা রোগীরা। ১৬ পদের বিপরীতে মাত্র ৪ জন ডাক্তার থাকায় চিকিৎসা সেবাও মুখ থুবরে পড়েছে।
এ অবস্থায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ঔষধ ক্রয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। কিন্তু ঔষধ ক্রয়ে ইজিপি প্রক্রিয়ার টেন্ডারে অবৈধ ভাবে লাভবান হবার কোন সুযোগ নেই। তাই কিছু অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এমএসআর (মেডিকেল এন্ড সার্জিকেল রিকিউজিট) টেন্ডারে ঔষধ ক্রয় সম্ভব নয় জানিয়ে স্বাস্থ্য পরিচালকের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করছে তত্ত্বাবধায়ক ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি —-০২৮ স্মারকে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে এক চিঠি দেন। এতে পরিচালক উল্লেখ করেন, আপনাকে অবগত করা সত্বেও ১০০ শয্যার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এমএসআর সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা হয়নি। এ সামগ্রী ক্রয় না করলে জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। যেহেতু চলতি অর্থ বছর শেষের দিকে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ চিঠি প্রাপ্তির পর ১২ জানুয়ারি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ —-০৪ স্মারকে বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে একটি চিঠি প্রদান করেন। এতে হাসপাতালের সমস্যা, অসুবিধা ও নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ১২ জানুয়ারি হাসপাতালের চাকুরিচ্যুত এ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাত হোসেন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে। এ বিষয়ে আমি থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা (নং-১০) করি। এরপর থেকে আমার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আপনাকে অবহিত করি। এই পরিস্থিতির কারণে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করা সম্ভব নয় বলে বিভাগীয় পরিচালককে তত্ত্বাবধায়ক তার এই চিঠিতে জানান। কিন্তু বড় সংকট সৃষ্টি হলে হাসপাতালে আসা রোগীরা ঔষধ না পেলে এসব অযুহাত কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই ২ মাস আগেই ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইনহেলার, ইনসুলিন, শ্বাস কষ্টের ঔষধ, এ্যাজমা, হৃদরোগের ঔষধসহ আইভি স্যালাইনের স্টক শেষ হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি প্যাথলজি বিভাগের বায়োকেমিষ্ট্রি মেশিন বিকল হয়ে পরে আছে। মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও সচলের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ১ মাস ধরে ফিজিওথেরাপী বন্ধ। কর্মরত টেকনলজিষ্টকে বদলীর ছাড়পত্র দেয়ায় শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রোগীরা বাহিরে পরীক্ষা করতে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষৎক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটও চরম আকার ধারন করছে। ১৬ জন মেডিক্যাল অফিসার পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৪ জন। ৬ মাস ধরে এ অবস্থার মধ্যেও ডাক্তার মো. মাহামুদর রহমানকে ২ মাসের জন্য প্রশিক্ষণে যেতে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তাই বর্তমানে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে কোন মতে চলছে সদর হাসপাতাল।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
ঝালকাঠি জেলার ১০০ শয্যা সদর হাসপাতাল চলতি বছরেই বড় ধরনের ঔষধ সংকটে পড়তে যাচ্ছে। এক দিকে চিকিৎসক ও প্যাথলজি সংকট অন্য দিকে ঔষধ সংকটে ইতিমধ্যেই নাকাল সেবা নিতে আসা রোগীরা। ১৬ পদের বিপরীতে মাত্র ৪ জন ডাক্তার থাকায় চিকিৎসা সেবাও মুখ থুবরে পড়েছে।
এ অবস্থায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসাপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ঔষধ ক্রয়ে জরুরি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। কিন্তু ঔষধ ক্রয়ে ইজিপি প্রক্রিয়ার টেন্ডারে অবৈধ ভাবে লাভবান হবার কোন সুযোগ নেই। তাই কিছু অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে এমএসআর (মেডিকেল এন্ড সার্জিকেল রিকিউজিট) টেন্ডারে ঔষধ ক্রয় সম্ভব নয় জানিয়ে স্বাস্থ্য পরিচালকের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করছে তত্ত্বাবধায়ক ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি —-০২৮ স্মারকে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল তত্ত্বাবধায়ক বরাবরে এক চিঠি দেন। এতে পরিচালক উল্লেখ করেন, আপনাকে অবগত করা সত্বেও ১০০ শয্যার ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এমএসআর সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা হয়নি। এ সামগ্রী ক্রয় না করলে জনগণ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। যেহেতু চলতি অর্থ বছর শেষের দিকে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এ চিঠি প্রাপ্তির পর ১২ জানুয়ারি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহমেদ —-০৪ স্মারকে বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে একটি চিঠি প্রদান করেন। এতে হাসপাতালের সমস্যা, অসুবিধা ও নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ১২ জানুয়ারি হাসপাতালের চাকুরিচ্যুত এ্যাম্বুলেন্স চালক শাহাদাত হোসেন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতালের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে। এ বিষয়ে আমি থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা (নং-১০) করি। এরপর থেকে আমার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি আপনাকে অবহিত করি। এই পরিস্থিতির কারণে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করা সম্ভব নয় বলে বিভাগীয় পরিচালককে তত্ত্বাবধায়ক তার এই চিঠিতে জানান। কিন্তু বড় সংকট সৃষ্টি হলে হাসপাতালে আসা রোগীরা ঔষধ না পেলে এসব অযুহাত কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই ২ মাস আগেই ঔষধ সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ইনহেলার, ইনসুলিন, শ্বাস কষ্টের ঔষধ, এ্যাজমা, হৃদরোগের ঔষধসহ আইভি স্যালাইনের স্টক শেষ হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি প্যাথলজি বিভাগের বায়োকেমিষ্ট্রি মেশিন বিকল হয়ে পরে আছে। মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকলেও সচলের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ১ মাস ধরে ফিজিওথেরাপী বন্ধ। কর্মরত টেকনলজিষ্টকে বদলীর ছাড়পত্র দেয়ায় শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে রোগীরা বাহিরে পরীক্ষা করতে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষৎক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটও চরম আকার ধারন করছে। ১৬ জন মেডিক্যাল অফিসার পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ৪ জন। ৬ মাস ধরে এ অবস্থার মধ্যেও ডাক্তার মো. মাহামুদর রহমানকে ২ মাসের জন্য প্রশিক্ষণে যেতে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তাই বর্তমানে মাত্র ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে কোন মতে চলছে সদর হাসপাতাল।