alt

সারাদেশ

মহাদেবপুরে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

নওগাঁর মহাদেবপুরে ঈদকে সামনে রেখে নানা পরিচয়ে শুরু হয়েছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী। নানা অজুহাতে এরা হাতিয়ে নিচ্ছেন বিস্তর টাকা। এদের টার্গেট মূলতঃ কয়েকটি সরকারি দপ্তর, ইটভাটা, কারখানা ইত্যাদি। এরা ভদ্র বেশে এসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নম্রভাষায় নানা অজুহাতে টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। প্রতিদিন এদের তৎপরতায় অতিষ্ট সংশ্লিষ্টরা। কেউ দিচ্ছেন ভদ্রতা বজায় রাখার খাতিরে, আবার কেউবা দিচ্ছেন বাধ্য হয়েই। কিন্তু এটাকে অবৈধ চাঁদাবাজি বলতে পারছেন না কেউ। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে থাকেন।

উপজেলার একটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন কর্মকর্তা তার দপ্তরে জমা হওয়া অনেকগুলো চিঠি দেখিয়ে জানালেন, প্রতিদিন একাধিক গ্রুপ আসেন চাঁদা নিতে। রাজশাহী, নওগাঁ ও স্থানীয় সাংবাদিক পরিচয়ে নানা কারণ দেখিয়ে টাকা চাচ্ছেন। একজন নিজেকে রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে ঈদের পরবী চান। নওগাঁ জেলায় কর্মরত কিছু ভূঁইফোড় পত্রিকার কথিত সাংবাদিকেরা নতুন নতুন আইডি কার্ড দেখিয়ে চান ঈদ পরবী। কেউ কেউ রীতিমত চিঠি দিয়ে পত্রিকার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন চান। দাবি করেন মোটা অঙ্কের টাকা। বাধ্য হয়ে তারা চাহিদার চেয়ে কম টাকা দিয়ে বলেন, বিজ্ঞাপন দেয়া লাগবে না, এমনি টাকা নিয়ে যান। এক্ষেত্রে স্থানীয়রাও বাদ যান না।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম হচ্ছে আগে শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন ছেপে তারপর বিল নেয়ার। কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে তেমন পরিচিত না হলেও এবং পত্রিকার সার্কুলেশনও তেমন বেশি না হলেও শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা বলে আগাম টাকা নিয়ে অনেকেই আর তা ছাপেন না। এছাড়া রাজনৈতিক পরিচয়ে নানা অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র দিয়ে চাওয়া হচ্ছে টাকা। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান হচ্ছে ইফতার মাহফিল। কিন্তু ইফতার মাহফিলের এত বেশি দাওয়াত আসছে যে, তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। এদের দিতে হয় ন্যূনতম পাঁচশ’ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে কেউ কেউ কাজের সামান্য ভুল ধরে লাখ টাকাও দাবি করেন। তখন বাধ্য হয়ে দিতে হয় মোটা টাকা।

জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা জানান, মিলেমিশে থাকার জন্য তারা টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার একটু বেশি হয়ে গেছে। স্থানীয় মূলধারার সাংবাদিকেরা জানান, জেলা পর্যায়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে চরম বৈষম্য। এখানে রাজনৈতিক কারণে প্রকৃত সাংবাদিকদের বছরের পর বছর কোনঠাসা হয়ে থাকতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের বিজ্ঞাপন এমনকি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ও অন্যান্য সরকারি অনুষ্ঠানের চিঠিও পান ভূঁইফোরেরা। তারাই কথিত চাঁদাবাজীতে যুক্ত। রাজনৈতিক মদদেই চলেছে চাঁদাবাজি। এখনও চলছে তাই। যারা প্রশাসন চালাচ্ছেন, চাঁদাবাজীও করছেন তারাই। এরা পুকুর খনন, গাছ কাটা আর মাটি কাটা দেখলেই ছুটে যান সেখানে। হাতিয়ে নেন টাকা। প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করা হলে ভূঁইফোরদের অপতৎপরতা কমবে বলে তারা মনে করেন।

ছবি

বেগমগঞ্জে অনলাইনে বাইক বিক্রির নামে প্রতারণা গ্রেপ্তার ৬

ছবি

আলুর দর পতনে কৃষক দিশেহারা

ছাত্রীকে ধর্ষণ, ৪ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

মসজিদ নির্মাণের নামে লাখ টাকা হাতিয়ে গ্রাম পুলিশ লাপাত্তা

মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক ও ভেজাল সার রাখায় দোকানিকে জরিমানা

সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন বেতাগীর আরিফুর

রায়গঞ্জে জোড়া লাশ উদ্ধার

পদ্মা থেকে ড্রেজারে বালু তোলায় দণ্ডিত ৪

মুন্সীগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি

ধর্মপাশার সাংবাদিক সেলিমের পিতার মৃত্যু

পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ রোধে কর্মশালা

তিন জেলায় অগ্নিকাণ্ডের মার্কেট-বসতঘর ছাই

লিবিয়ায় দালাল চক্রের নির্যাতনে শিবচরের যুবকের মৃত্যু

পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

চাঁদা না দেয়ায় মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা, আহত ১৫

দুই জেলায় শিশুসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

লবণ কারখানায় অভিযান, জরিমানা

কুমিল্লায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

কক্সবাজার জেলা পরিষদের ২৩ ইজারা নিয়ে হতাশ ভুক্তভোগীরা

ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ে মসজিদের টাকায় পিটিআইয়ের হোস্টেল মেরামত

চট্টগ্রামে তৈরি হয় বগুড়ার দই! কারখানার জরিমানা

আসমান বিগ বাজার ও শিলামণি গার্মেন্টসে জরিমানা

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত

সন্ত্রাসীদের গুলিতে লবণ চাষীর মৃত্যু

ছবি

জগন্নাথপুরে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন, হাওরের কাঁচা সড়কের সর্বনাশ

ফুটপাতের দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড়

ছবি

ঈদ সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাঁতপল্লী এখন কর্মব্যস্ত

ছবি

সাতক্ষীরায় উপকূল রক্ষা বাঁধে ধস, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

সিরাজগঞ্জে ২ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

শেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১৬

ব্যক্তিগত নজরদারি থেকে রাষ্ট্রকে সরে আসতে হবে : ইফতেখারুজ্জামান

ছবি

মৃর্ত্তিঙ্গা চা বাগানে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বাহা উৎসব

ছবি

মৎস্য ঘেরে হামলা, মোরেলগঞ্জে কবির বয়াতিকে গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

উল্লাপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

tab

সারাদেশ

মহাদেবপুরে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি

প্রতিনিধি, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

নওগাঁর মহাদেবপুরে ঈদকে সামনে রেখে নানা পরিচয়ে শুরু হয়েছে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী। নানা অজুহাতে এরা হাতিয়ে নিচ্ছেন বিস্তর টাকা। এদের টার্গেট মূলতঃ কয়েকটি সরকারি দপ্তর, ইটভাটা, কারখানা ইত্যাদি। এরা ভদ্র বেশে এসব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নম্রভাষায় নানা অজুহাতে টাকা চেয়ে নিচ্ছেন। প্রতিদিন এদের তৎপরতায় অতিষ্ট সংশ্লিষ্টরা। কেউ দিচ্ছেন ভদ্রতা বজায় রাখার খাতিরে, আবার কেউবা দিচ্ছেন বাধ্য হয়েই। কিন্তু এটাকে অবৈধ চাঁদাবাজি বলতে পারছেন না কেউ। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছেন যারা বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে থাকেন।

উপজেলার একটি ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত একজন কর্মকর্তা তার দপ্তরে জমা হওয়া অনেকগুলো চিঠি দেখিয়ে জানালেন, প্রতিদিন একাধিক গ্রুপ আসেন চাঁদা নিতে। রাজশাহী, নওগাঁ ও স্থানীয় সাংবাদিক পরিচয়ে নানা কারণ দেখিয়ে টাকা চাচ্ছেন। একজন নিজেকে রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে ঈদের পরবী চান। নওগাঁ জেলায় কর্মরত কিছু ভূঁইফোড় পত্রিকার কথিত সাংবাদিকেরা নতুন নতুন আইডি কার্ড দেখিয়ে চান ঈদ পরবী। কেউ কেউ রীতিমত চিঠি দিয়ে পত্রিকার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন চান। দাবি করেন মোটা অঙ্কের টাকা। বাধ্য হয়ে তারা চাহিদার চেয়ে কম টাকা দিয়ে বলেন, বিজ্ঞাপন দেয়া লাগবে না, এমনি টাকা নিয়ে যান। এক্ষেত্রে স্থানীয়রাও বাদ যান না।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়ম হচ্ছে আগে শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন ছেপে তারপর বিল নেয়ার। কিন্তু সাংবাদিক হিসেবে তেমন পরিচিত না হলেও এবং পত্রিকার সার্কুলেশনও তেমন বেশি না হলেও শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা বলে আগাম টাকা নিয়ে অনেকেই আর তা ছাপেন না। এছাড়া রাজনৈতিক পরিচয়ে নানা অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র দিয়ে চাওয়া হচ্ছে টাকা। এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনুষ্ঠান হচ্ছে ইফতার মাহফিল। কিন্তু ইফতার মাহফিলের এত বেশি দাওয়াত আসছে যে, তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। এদের দিতে হয় ন্যূনতম পাঁচশ’ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা। তবে কেউ কেউ কাজের সামান্য ভুল ধরে লাখ টাকাও দাবি করেন। তখন বাধ্য হয়ে দিতে হয় মোটা টাকা।

জানতে চাইলে একজন কর্মকর্তা জানান, মিলেমিশে থাকার জন্য তারা টাকা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এবার একটু বেশি হয়ে গেছে। স্থানীয় মূলধারার সাংবাদিকেরা জানান, জেলা পর্যায়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে চরম বৈষম্য। এখানে রাজনৈতিক কারণে প্রকৃত সাংবাদিকদের বছরের পর বছর কোনঠাসা হয়ে থাকতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের বিজ্ঞাপন এমনকি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা ও অন্যান্য সরকারি অনুষ্ঠানের চিঠিও পান ভূঁইফোরেরা। তারাই কথিত চাঁদাবাজীতে যুক্ত। রাজনৈতিক মদদেই চলেছে চাঁদাবাজি। এখনও চলছে তাই। যারা প্রশাসন চালাচ্ছেন, চাঁদাবাজীও করছেন তারাই। এরা পুকুর খনন, গাছ কাটা আর মাটি কাটা দেখলেই ছুটে যান সেখানে। হাতিয়ে নেন টাকা। প্রকৃত সাংবাদিকদের মূল্যায়ন করা হলে ভূঁইফোরদের অপতৎপরতা কমবে বলে তারা মনে করেন।

back to top