জমজমাট ঈদ বাজার
পবিত্র মাহে রমজান ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গার্মেন্টস ও কাপুড়ের দোকানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়। এবারে মন কেড়েছে পাকিস্তানি কাওয়ালি করাচি মেয়েদের পোশাক, পাশাপাশি চাহিদা কমতি নেই পাকিস্তানি থ্রি-পিস, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস, সারারা, গারারাসহ বিভিন্ন নামের নানান রঙের পোশাক।
বছরের চেয়ে প্রতিটি পোশাকে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকানগুলোতে একইভাবে চলছে কেনাবেচা, বাজার মনিটরিং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিদার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হচ্ছে নজরদারি, মাঠে থাকছে সার্বক্ষনিক স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের মনিটরিং টিম।
জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ একটি পৌরসভার প্রানকেন্দ্র মোরেলগঞ্জ বাজার, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দোকানগুলোতে বাড়ছে কেনাকাটার ভিড়, প্রতিনিয়ত প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ থেকে নারী পুরুষেরা দল বেধে আসছেন এ শহরে কেনাকাটার জন্য। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজারের দিন কাপুড়িয়া পট্টি সড়কের দুই প্রান্তে প্রায় অর্ধশতাধিক কাপড় ও গার্মেন্টস দোকানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও কমতি নেই কোনো অংশে।
এবারে শাড়ি কাপড়ের দোকানে বেশি বিক্রয় হচ্ছে দেশি প্রিন্টের ছাপা শাড়ি, ৬শ থেকে ১ হাজার টাকা দামে। চাহিদা রয়েছে কাঞ্জিবরন ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকায়, তানাবানা ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, স্কাট ফোরাক সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, ওয়ান পিচ টু পিচ ফোরাক ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা, সারারা গারারা ২৫ শ থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, প্রতিটি গার্মেন্টসের দোকানে মেয়েদের পোশাক ফ্রক আইটেম যেমনি রয়েছে বেশি কাঁতিও তেমনি বেশি, দেশীয় টাঙ্গাইল শাড়ি ৫শ থেকে ১২শ টাকা, সিল্ক ৮শ থেকে ১৫শ টাকা, পুরুষের পোশাকের ক্ষেত্রে আমানত শাহ্ লুঙ্গির চাহিদা রয়েছে বেশি সর্বোচ্চ সাড়ে ছয় হাজার টাকা সর্বনিম্ন ১৬’শ থেকে ১৭’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাশাপাশি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে তালুকদার লুঙ্গিও বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৬৫০ টকায়। একইভাবে মেয়েদের পোষাকে আনারকলি ২ হাজার থেকে ২২শ টাকায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে নায়রা পোশাকের চাহিদা রয়েছে বেশি, বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকায়। পাঞ্জাবির চাহিদারও কমতি নেই। শেখসাদি, ভাঙচুর পাঞ্জাবি ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের হাফ চিকুঞ্জি পাঞ্জাবি ১২শ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ফুটপাতের দোকানগুলোতে ও নিম্নআয়ের মানুষের রয়েছে ভিড়। মেয়েদের সুতির ফ্রক এখানে বিক্রি হচ্ছে, সর্বনি¤œ ৭শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫শ টাকায়।
বিক্রেতা আইরিন গার্মেন্টস মালিক মনিরুল ইসলাম, রনি গার্মেন্টস মালিক নুরুজ্জামান শিকদার, মিনা গার্মেন্টসের শাহারিয়ার মিনা বলেন, ঈদের কেনাকাটা এবারে অনেকটা আগেই শুরু হয়েছে, চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক, দামের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে গত বছরের চেয়ে প্রতিটি পোশাকে সামান্য ৫০ থেকে ১শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল হাসান বলেন, ইদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দোকানগুলোতে ক্রয় বিক্রয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সার্বক্ষডুক বাজার মনিটরিং এর জন্য ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় একটি আনসার টিম ও পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি পেট্রোল টিম বাজারে অবস্থান করছেন।
জমজমাট ঈদ বাজার
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
পবিত্র মাহে রমজান ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গার্মেন্টস ও কাপুড়ের দোকানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের কেনাকাটায় উপচে পড়া ভিড়। এবারে মন কেড়েছে পাকিস্তানি কাওয়ালি করাচি মেয়েদের পোশাক, পাশাপাশি চাহিদা কমতি নেই পাকিস্তানি থ্রি-পিস, ইন্ডিয়ান থ্রি-পিস, সারারা, গারারাসহ বিভিন্ন নামের নানান রঙের পোশাক।
বছরের চেয়ে প্রতিটি পোশাকে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত দোকানগুলোতে একইভাবে চলছে কেনাবেচা, বাজার মনিটরিং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিদার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাখা হচ্ছে নজরদারি, মাঠে থাকছে সার্বক্ষনিক স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের মনিটরিং টিম।
জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নসহ একটি পৌরসভার প্রানকেন্দ্র মোরেলগঞ্জ বাজার, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দোকানগুলোতে বাড়ছে কেনাকাটার ভিড়, প্রতিনিয়ত প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ থেকে নারী পুরুষেরা দল বেধে আসছেন এ শহরে কেনাকাটার জন্য। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বাজারের দিন কাপুড়িয়া পট্টি সড়কের দুই প্রান্তে প্রায় অর্ধশতাধিক কাপড় ও গার্মেন্টস দোকানগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড়। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও কমতি নেই কোনো অংশে।
এবারে শাড়ি কাপড়ের দোকানে বেশি বিক্রয় হচ্ছে দেশি প্রিন্টের ছাপা শাড়ি, ৬শ থেকে ১ হাজার টাকা দামে। চাহিদা রয়েছে কাঞ্জিবরন ১৫’শ থেকে ২ হাজার টাকায়, তানাবানা ৩ হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, স্কাট ফোরাক সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা, ওয়ান পিচ টু পিচ ফোরাক ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা, সারারা গারারা ২৫ শ থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, প্রতিটি গার্মেন্টসের দোকানে মেয়েদের পোশাক ফ্রক আইটেম যেমনি রয়েছে বেশি কাঁতিও তেমনি বেশি, দেশীয় টাঙ্গাইল শাড়ি ৫শ থেকে ১২শ টাকা, সিল্ক ৮শ থেকে ১৫শ টাকা, পুরুষের পোশাকের ক্ষেত্রে আমানত শাহ্ লুঙ্গির চাহিদা রয়েছে বেশি সর্বোচ্চ সাড়ে ছয় হাজার টাকা সর্বনিম্ন ১৬’শ থেকে ১৭’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাশাপাশি ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে তালুকদার লুঙ্গিও বিক্রি হচ্ছে ৬শ থেকে ৬৫০ টকায়। একইভাবে মেয়েদের পোষাকে আনারকলি ২ হাজার থেকে ২২শ টাকায়।
শিশুদের ক্ষেত্রে নায়রা পোশাকের চাহিদা রয়েছে বেশি, বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকায়। পাঞ্জাবির চাহিদারও কমতি নেই। শেখসাদি, ভাঙচুর পাঞ্জাবি ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের হাফ চিকুঞ্জি পাঞ্জাবি ১২শ থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ফুটপাতের দোকানগুলোতে ও নিম্নআয়ের মানুষের রয়েছে ভিড়। মেয়েদের সুতির ফ্রক এখানে বিক্রি হচ্ছে, সর্বনি¤œ ৭শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫শ টাকায়।
বিক্রেতা আইরিন গার্মেন্টস মালিক মনিরুল ইসলাম, রনি গার্মেন্টস মালিক নুরুজ্জামান শিকদার, মিনা গার্মেন্টসের শাহারিয়ার মিনা বলেন, ঈদের কেনাকাটা এবারে অনেকটা আগেই শুরু হয়েছে, চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক, দামের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে গত বছরের চেয়ে প্রতিটি পোশাকে সামান্য ৫০ থেকে ১শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ রাকিবুল হাসান বলেন, ইদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দোকানগুলোতে ক্রয় বিক্রয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সার্বক্ষডুক বাজার মনিটরিং এর জন্য ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় একটি আনসার টিম ও পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি পেট্রোল টিম বাজারে অবস্থান করছেন।