জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) : হাওরের কাঁচা সড়কগুলো দিয়ে অন্য যানবাহন ও হেঁটে চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠেছে -সংবাদ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের মাটির কাঁচা সড়কগুলোকে সর্বনাশ করে দিয়েছে ট্রাক্টর গাড়িগুলো। এসব রাস্তা দিয়ে অন্য যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া সমধল গ্রাম এলাকা থেকে নলুয়ার হাওরের বুকচিরে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা ছোট মাটির কাচা রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে নলুয়ার হাওরের পশ্চিমাঞ্চলের গ্রাম বেতাউকাসহ অত্র অঞ্চলে মানুষ চলাচল করে থাকেন। এছাড়া বৈশাখ মৌসুমে এই সড়কটি দিয়ে হাওরের ধান বাড়িতে আনা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, বৈশাখ মৌসুম আসার আগেই সড়কটির সর্বনাশ করে দিয়েছে ট্রাক্টরগুলো। একটি মহল হাওর থেকে অসংখ্য ট্রাক্টর ভর্তি করে মাটি এনে গ্রামে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে। মাটির কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভারী যন্ত্র চলাচল করায় রাস্তাটি দেবে গিয়ে অসংখ্য গর্ত হয়ে গেছে।
একই সঙ্গে গর্ত হয়ে যাওয়া রাস্তার মাটি এখন ধুলো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। স্বার্থন্বেষী মহলের মাটির ব্যবসার কারণে সড়কটি বিনাশ হয়ে গেছে। এখন বৃষ্টি হলেই রাস্তার গর্তে পানি জমে রাস্তাটি মরণদশায় পরিণত হবে বলে হাওরে চলাচলকারীরা জানান। যদিও নাম প্রকাশ না করে ট্রাক্টর গাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, বৃষ্টি হলেই আমরা মাটি নেয়া বন্ধ করে দেব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তার গর্তে আমরাও মাটি ফেলে ভরাট করি। যাতে চলাচল করা যায়।
স্থানীয় একাধিক মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা মাটির ব্যবসা করতে গিয়ে হাওরের রাস্তাটির সর্বনাশ করে দিয়েছে। সেটি দেখারও যেন কেউ নেই। আমরা অসহায়-নিরুপায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস নেই। তাই আমরা এই ব্যাপারে অতি দ্রুত প্রশাসনের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) : হাওরের কাঁচা সড়কগুলো দিয়ে অন্য যানবাহন ও হেঁটে চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠেছে -সংবাদ
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হাওরের মাটির কাঁচা সড়কগুলোকে সর্বনাশ করে দিয়েছে ট্রাক্টর গাড়িগুলো। এসব রাস্তা দিয়ে অন্য যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চলাচল দুঃসহ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া সমধল গ্রাম এলাকা থেকে নলুয়ার হাওরের বুকচিরে বয়ে গেছে আঁকাবাঁকা ছোট মাটির কাচা রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে নলুয়ার হাওরের পশ্চিমাঞ্চলের গ্রাম বেতাউকাসহ অত্র অঞ্চলে মানুষ চলাচল করে থাকেন। এছাড়া বৈশাখ মৌসুমে এই সড়কটি দিয়ে হাওরের ধান বাড়িতে আনা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, বৈশাখ মৌসুম আসার আগেই সড়কটির সর্বনাশ করে দিয়েছে ট্রাক্টরগুলো। একটি মহল হাওর থেকে অসংখ্য ট্রাক্টর ভর্তি করে মাটি এনে গ্রামে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে। মাটির কাঁচা রাস্তা দিয়ে ভারী যন্ত্র চলাচল করায় রাস্তাটি দেবে গিয়ে অসংখ্য গর্ত হয়ে গেছে।
একই সঙ্গে গর্ত হয়ে যাওয়া রাস্তার মাটি এখন ধুলো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে যাচ্ছে। স্বার্থন্বেষী মহলের মাটির ব্যবসার কারণে সড়কটি বিনাশ হয়ে গেছে। এখন বৃষ্টি হলেই রাস্তার গর্তে পানি জমে রাস্তাটি মরণদশায় পরিণত হবে বলে হাওরে চলাচলকারীরা জানান। যদিও নাম প্রকাশ না করে ট্রাক্টর গাড়ির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, বৃষ্টি হলেই আমরা মাটি নেয়া বন্ধ করে দেব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তার গর্তে আমরাও মাটি ফেলে ভরাট করি। যাতে চলাচল করা যায়।
স্থানীয় একাধিক মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তারা মাটির ব্যবসা করতে গিয়ে হাওরের রাস্তাটির সর্বনাশ করে দিয়েছে। সেটি দেখারও যেন কেউ নেই। আমরা অসহায়-নিরুপায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস নেই। তাই আমরা এই ব্যাপারে অতি দ্রুত প্রশাসনের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।