লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মসজিদ নির্মাণে অনুদান ও পাকা ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেলোয়ার হোসাইন নামে এক প্রতারক গ্রাম পুলিশ সদস্য এখন লাপাত্তা। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে পলাতক থাকা ওই প্রতারকের মোবাইল ফোনও (০১৭১৫৭৫৭১৩) বন্ধ রয়েছে। এসময় ঘটনায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খাঁন বরাবর প্রতারক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দেলোয়ার উপজেলার হায়দগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও ২নং চর আবাবিল ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য এবং বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশের সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, ২০২৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত থেকে সহযোগিতা বিভিন্ন মসজিদ নির্মাণে অনুদান ও পাকা ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার ফাঁদে ফেলে মোল্লারহাট বাজারের একটি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে। এরপর আর কোন কাজ না করে রায়পুরের উত্তর চর আবাবিল ইউপির বাইতুন নূর জামে মসজিদ, চর কাছিয়া শুকুরিয়া মসজিদ, মুলাই ব্যাপারী বাড়ি জামে মসজিদ ও বাইতুল্লাহ দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদ পাকা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার প্রতারণা করে প্রায় দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৫ আগষ্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর তাকে খোঁজ না পাওয়ায় টাকা প্রদানকারী মসজিদ কমিটি ৫টি অভিযোগ দিয়েছেন ইউএনও বরাবর।
রায়পুর বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সদস্য মো. সুমন হাওলাদার বলেন, এলাকার প্রায় সকল মসজিদ থেকে নগদ টাকা হাতিয়েছে প্রতারক দেলোয়ার। আমাদের মসজিদের একটি পিলারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক বছর ধরে মুসল্লিরা কস্ট করে টিনের চালা দিয়ে নামাজ আদায় করেছে। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে মুফতির বাকবিত-াও হচ্ছে।
উপজেলা ইসলামী আন্দলনের সভাপতি মাওলানা হেলাল আহম্মেদ বলেন, আমিও প্রতারক দেলোয়ারের দ্বারা প্রতারিত হয়েছি। আমাদের ৮নং ইউনিয়নের মসজিদগুলোরও একই রকম অবস্থা। কোন মসজিদে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছে আবার কোন মসজিদের পিলার পর্যন্ত কাজ করে বাকি কাজ অসমাপ্ত রেখেই কারা লাপাত্তা হয়েছে। প্রতারণার শিকার হয়ে প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়েছি।
একই এলাকার সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, গ্রামে ডিপ টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলেও শত শত মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার। সে সব সময় তাকে বাংলাদেশে গ্রাম পুলিশের মহা সচিব পরিচয় দিয়ে থাকে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে দেলোয়ারের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খাঁন বলেন, আর্থিক প্রতারণার খবর পেয়েছি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টাকা উদ্ধার ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মসজিদ নির্মাণে অনুদান ও পাকা ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দেলোয়ার হোসাইন নামে এক প্রতারক গ্রাম পুলিশ সদস্য এখন লাপাত্তা। দীর্ঘ দেড় বছর ধরে পলাতক থাকা ওই প্রতারকের মোবাইল ফোনও (০১৭১৫৭৫৭১৩) বন্ধ রয়েছে। এসময় ঘটনায় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খাঁন বরাবর প্রতারক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দেলোয়ার উপজেলার হায়দগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও ২নং চর আবাবিল ইউনিয়নের একজন গ্রাম পুলিশ সদস্য এবং বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশের সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, ২০২৩ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত থেকে সহযোগিতা বিভিন্ন মসজিদ নির্মাণে অনুদান ও পাকা ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার ফাঁদে ফেলে মোল্লারহাট বাজারের একটি মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে। এরপর আর কোন কাজ না করে রায়পুরের উত্তর চর আবাবিল ইউপির বাইতুন নূর জামে মসজিদ, চর কাছিয়া শুকুরিয়া মসজিদ, মুলাই ব্যাপারী বাড়ি জামে মসজিদ ও বাইতুল্লাহ দেওয়ান বাড়ি জামে মসজিদসহ কয়েকটি মসজিদ পাকা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে অভিযুক্ত দেলোয়ার প্রতারণা করে প্রায় দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত ৫ আগষ্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর তাকে খোঁজ না পাওয়ায় টাকা প্রদানকারী মসজিদ কমিটি ৫টি অভিযোগ দিয়েছেন ইউএনও বরাবর।
রায়পুর বাইতুন নূর জামে মসজিদ কমিটির সদস্য মো. সুমন হাওলাদার বলেন, এলাকার প্রায় সকল মসজিদ থেকে নগদ টাকা হাতিয়েছে প্রতারক দেলোয়ার। আমাদের মসজিদের একটি পিলারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক বছর ধরে মুসল্লিরা কস্ট করে টিনের চালা দিয়ে নামাজ আদায় করেছে। এ নিয়ে মসজিদ কমিটির সাথে মুফতির বাকবিত-াও হচ্ছে।
উপজেলা ইসলামী আন্দলনের সভাপতি মাওলানা হেলাল আহম্মেদ বলেন, আমিও প্রতারক দেলোয়ারের দ্বারা প্রতারিত হয়েছি। আমাদের ৮নং ইউনিয়নের মসজিদগুলোরও একই রকম অবস্থা। কোন মসজিদে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছে আবার কোন মসজিদের পিলার পর্যন্ত কাজ করে বাকি কাজ অসমাপ্ত রেখেই কারা লাপাত্তা হয়েছে। প্রতারণার শিকার হয়ে প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হয়েছি।
একই এলাকার সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, গ্রামে ডিপ টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলেও শত শত মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার। সে সব সময় তাকে বাংলাদেশে গ্রাম পুলিশের মহা সচিব পরিচয় দিয়ে থাকে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে দেলোয়ারের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
লিখিত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান খাঁন বলেন, আর্থিক প্রতারণার খবর পেয়েছি। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের টাকা উদ্ধার ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে তদন্ত করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।