বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতারকৃত চোরচক্র -সংবাদ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অনলাইনে বাইক বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান। এর আগে,মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল বারেক মুন্সি বাড়ির মো.আব্দুল করিমের ছেলে মো.জাকির হোসেন রাকিব (২৪) একই বাড়ির দ্বীন ইসলামের ছেলে মো.জাহিদুল ইসলাম ফারহান (১৯), একলাসপুরের কাশেম কন্ট্রেকটার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল হাসান রাহাদ (২২), সদর উপজেলার ভুলুয়া কলোনীর মো. লিটনের ছেলে মো. রিপন (২২), সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর গ্রামের ভূঁইয়া হাজী বাড়ির সাহেব উল্যার ছেলে শামীমুর রহমান শামীম (২২) ও আলীপুরে ঈদার বাপের বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে মো. ফয়সাল ওরপে বুলেট বাবু (২৩)। পুলিশ জানায়, ৭০ হাজার টাকা দামে টানা বাইক বিক্রয় হবে বলে নোয়াখালীর বাইক হাট নামে ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেন বেগমগঞ্জের অনন্তপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন রাকিব (২৪)। ওই পোস্টের সূত্র ধরে ফেনী সদরের ফরহাদ নগর গ্রামের শফিকের রহমানের (২০) সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও মেসেঞ্জারে কথা হয় রাকিবের। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য ভিকটিম তার এলাকার আজিজুর রহমান মিলনকে (২০) সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্লোব ফ্যাক্টরির পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর আসেন। তখন প্রতারক রাকিব তাদেরকে বিজ্ঞাপনের মোটরসাইকেলটি দেখিয়ে দর-দাম করেন। এরপর আসামি মো. জাহিদুল ইসলাম ফারহান (১৯), মো. রিপন (২২), কামরুল হাসান রাহাদ (২২), শামীমুর রহমান শামীম (২২) ও মো.ফয়সাল বুলেট বাবু (২৩) ও বাদলসহ (২২) অজ্ঞাত ৫/৬ জন আসামি পিছন দিক থেকে এসে শফিক ও মিলনকে আটক করে ফেলেন। পুলিশ আরও জানায়, ওই সময় আসামিরা তাদেরকে চড়-থাপ্পর মেরে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আসামিরা ভিকটিমদের মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা টাকা কোথায় রেখেছে জানতে চাইলে তারা জানায় তারা টাকা নিয়ে আসেন নাই। এতে প্রতারকচক্র ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমদেরকে পার্শ্ববর্তী নির্জন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে মারধর করেন। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন এবং আসামি জাকিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে আটককৃত আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ২ আসামির বাড়ি ও গাবুয়া বাজার হুন্ডা সার্ভিসিং সেন্টার থেকে ১টি সুজুকি জিক্সার, ১টি পালসার,১টি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শফিক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা একটি প্রতারক চক্র। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে কম দামে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ চোরাই মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রয় করে আসছেন।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতারকৃত চোরচক্র -সংবাদ
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অনলাইনে বাইক বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বুধবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান। এর আগে,মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুল বারেক মুন্সি বাড়ির মো.আব্দুল করিমের ছেলে মো.জাকির হোসেন রাকিব (২৪) একই বাড়ির দ্বীন ইসলামের ছেলে মো.জাহিদুল ইসলাম ফারহান (১৯), একলাসপুরের কাশেম কন্ট্রেকটার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল হাসান রাহাদ (২২), সদর উপজেলার ভুলুয়া কলোনীর মো. লিটনের ছেলে মো. রিপন (২২), সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর গ্রামের ভূঁইয়া হাজী বাড়ির সাহেব উল্যার ছেলে শামীমুর রহমান শামীম (২২) ও আলীপুরে ঈদার বাপের বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে মো. ফয়সাল ওরপে বুলেট বাবু (২৩)। পুলিশ জানায়, ৭০ হাজার টাকা দামে টানা বাইক বিক্রয় হবে বলে নোয়াখালীর বাইক হাট নামে ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেন বেগমগঞ্জের অনন্তপুর গ্রামের মো. জাকির হোসেন রাকিব (২৪)। ওই পোস্টের সূত্র ধরে ফেনী সদরের ফরহাদ নগর গ্রামের শফিকের রহমানের (২০) সঙ্গে মোবাইল ফোনে ও মেসেঞ্জারে কথা হয় রাকিবের। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য ভিকটিম তার এলাকার আজিজুর রহমান মিলনকে (২০) সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্লোব ফ্যাক্টরির পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর আসেন। তখন প্রতারক রাকিব তাদেরকে বিজ্ঞাপনের মোটরসাইকেলটি দেখিয়ে দর-দাম করেন। এরপর আসামি মো. জাহিদুল ইসলাম ফারহান (১৯), মো. রিপন (২২), কামরুল হাসান রাহাদ (২২), শামীমুর রহমান শামীম (২২) ও মো.ফয়সাল বুলেট বাবু (২৩) ও বাদলসহ (২২) অজ্ঞাত ৫/৬ জন আসামি পিছন দিক থেকে এসে শফিক ও মিলনকে আটক করে ফেলেন। পুলিশ আরও জানায়, ওই সময় আসামিরা তাদেরকে চড়-থাপ্পর মেরে তাদের সঙ্গে থাকা নগদ ৫ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। আসামিরা ভিকটিমদের মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য নিয়ে আসা টাকা কোথায় রেখেছে জানতে চাইলে তারা জানায় তারা টাকা নিয়ে আসেন নাই। এতে প্রতারকচক্র ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমদেরকে পার্শ্ববর্তী নির্জন অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে মারধর করেন। আশপাশের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন এবং আসামি জাকিরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে আটককৃত আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ২ আসামির বাড়ি ও গাবুয়া বাজার হুন্ডা সার্ভিসিং সেন্টার থেকে ১টি সুজুকি জিক্সার, ১টি পালসার,১টি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শফিক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তকালে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা একটি প্রতারক চক্র। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে কম দামে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ চোরাই মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রয় করে আসছেন।