পাথরঘাটা (বরগুনা) : পানিপ্রবাহ বন্ধ করে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া, কাটালতলী ও কাকচিড়া ইউনিয়নের ২০ হাজার কৃষকের ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালি বাজারের দক্ষিণ পাশে খালে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ শুরু হওয়ায়।
এর আগে ওই খালে বাঁধ থাকায় পানির প্রবাহ বন্ধ থাকার ফলে কৃষকদের ফসল যেমন বৃষ্টির পানিতে পচে নষ্ট হত তেমনি যখন পানির প্রয়োজন হতো তখন খাল থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় পানির অভাবে কৃষি ক্ষেত পুড়ে যেত পারে। বাধ্য হয়ে ওই বাঁধটি কেটে দিয়েছিল স্থানীয় কৃষকরা।
পুনরায় ওই খালে বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী প্রতিবাদে ২২ মার্চ শনিবার উল্লেখিত খালের পাশেই স্থানীয় কৃষকরা মানববন্ধন করেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাথরঘাটা উপজেলার শাখার সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মুছার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাচনা পাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জলিল খান, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইনামুল হক মিরাজ, কৃষক মোহাম্মদ ইরতিজা হাসান, মোহাম্মদ শাহিন শিকদার, নার্সারির মালিক মোহাম্মদ খবির উদ্দিন। এ সময় বক্তারা বলেন নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী বাজারের দক্ষিণ পাশে খালটিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ দেয়া নাচনাপাড়া, কাঁঠালতলী ও কাকচিড়া ইউনিয়নের ২০ হাজার কৃষকের বোরো, রবি ও আমান ফসলে চাষাবাদে চরম সমস্যা হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা কৃষকরা উল্লেখিত খালের বাঁধ কেটে দিয়েছিলাম।
তারা বলেন, পুনরায় আবার সেই খালটিতে কেন কোনোরকম স্লুইসগেট না করে একেবারে পানি প্রবাহ বন্ধ করার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে জানা নেই।
মানববন্ধনে নার্সারি ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন বলেন এর আগে বাঁধ থাকায় এলাকায় বিভিন্ন জাতের বীজ থেকে চারা জন্মানো যাচ্ছিল না। বর্তামানে আবার উক্ত খালে বাঁধ নির্মাণ হলে আমরা এলাকাবাসী পূর্বের এত সমস্যায় পড়ব।
তারা বলেন স্লুইসগেট এর মাধ্যমে খালের পানি প্রবাহ ঠিক রেখে বাঁধ দিতে পারে। আর যদি স্থায়ীভাবে খালে বাঁধ দেয়া হয় আমরা কৃষকরা প্রাণে মরে যাব।
কঠোর হুঁশিয়ারি কৃষকরা বলেন, স্লইসগেট ছাড়া কোনোরকম বাঁধ আমরা নির্মাণ করতে দিবোনা তাতে যদি আমাদের মরতে হয় মরব।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের মানববন্ধনের বিষয়টি আমি শুনেছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষকদের ভোগান্তি দূরকরতে প্রয়োজনীয় নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউ এন ও বলেন ওই খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত রাখার জন্য এলাকাবাসী ও কৃষকের গণস্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি আমি পেয়েছিলাম। ওই স্বারকলিপি এবং আজকে মানববন্ধনের বক্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত কর্তৃপক্ষকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পাথরঘাটা (বরগুনা) : পানিপ্রবাহ বন্ধ করে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -সংবাদ
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া, কাটালতলী ও কাকচিড়া ইউনিয়নের ২০ হাজার কৃষকের ভোগান্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালি বাজারের দক্ষিণ পাশে খালে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ শুরু হওয়ায়।
এর আগে ওই খালে বাঁধ থাকায় পানির প্রবাহ বন্ধ থাকার ফলে কৃষকদের ফসল যেমন বৃষ্টির পানিতে পচে নষ্ট হত তেমনি যখন পানির প্রয়োজন হতো তখন খাল থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ থাকায় পানির অভাবে কৃষি ক্ষেত পুড়ে যেত পারে। বাধ্য হয়ে ওই বাঁধটি কেটে দিয়েছিল স্থানীয় কৃষকরা।
পুনরায় ওই খালে বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী প্রতিবাদে ২২ মার্চ শনিবার উল্লেখিত খালের পাশেই স্থানীয় কৃষকরা মানববন্ধন করেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পাথরঘাটা উপজেলার শাখার সভাপতি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন মুছার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাচনা পাড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ জলিল খান, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইনামুল হক মিরাজ, কৃষক মোহাম্মদ ইরতিজা হাসান, মোহাম্মদ শাহিন শিকদার, নার্সারির মালিক মোহাম্মদ খবির উদ্দিন। এ সময় বক্তারা বলেন নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী বাজারের দক্ষিণ পাশে খালটিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধ দেয়া নাচনাপাড়া, কাঁঠালতলী ও কাকচিড়া ইউনিয়নের ২০ হাজার কৃষকের বোরো, রবি ও আমান ফসলে চাষাবাদে চরম সমস্যা হওয়ায় বাধ্য হয়ে আমরা কৃষকরা উল্লেখিত খালের বাঁধ কেটে দিয়েছিলাম।
তারা বলেন, পুনরায় আবার সেই খালটিতে কেন কোনোরকম স্লুইসগেট না করে একেবারে পানি প্রবাহ বন্ধ করার জন্য স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হবে জানা নেই।
মানববন্ধনে নার্সারি ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন বলেন এর আগে বাঁধ থাকায় এলাকায় বিভিন্ন জাতের বীজ থেকে চারা জন্মানো যাচ্ছিল না। বর্তামানে আবার উক্ত খালে বাঁধ নির্মাণ হলে আমরা এলাকাবাসী পূর্বের এত সমস্যায় পড়ব।
তারা বলেন স্লুইসগেট এর মাধ্যমে খালের পানি প্রবাহ ঠিক রেখে বাঁধ দিতে পারে। আর যদি স্থায়ীভাবে খালে বাঁধ দেয়া হয় আমরা কৃষকরা প্রাণে মরে যাব।
কঠোর হুঁশিয়ারি কৃষকরা বলেন, স্লইসগেট ছাড়া কোনোরকম বাঁধ আমরা নির্মাণ করতে দিবোনা তাতে যদি আমাদের মরতে হয় মরব।
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের মানববন্ধনের বিষয়টি আমি শুনেছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কৃষকদের ভোগান্তি দূরকরতে প্রয়োজনীয় নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউ এন ও বলেন ওই খালে পানি প্রবাহ নিশ্চিত রাখার জন্য এলাকাবাসী ও কৃষকের গণস্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি আমি পেয়েছিলাম। ওই স্বারকলিপি এবং আজকে মানববন্ধনের বক্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত কর্তৃপক্ষকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।