গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : রাস্তার অভাবে নতুন সেতু এখন অচলাবস্থায় পড়ে আছে -সংবাদ
সেতু আছে সড়ক নেই! এক পাশে লাফিয়ে নামতে হয়, আরেক পাশে উঠতে হয় বেয়ে। সেই সিঁড়িও তৈরি করেছেন স্থানীয় লোকজন বস্তায় মাটি ভরাট করে। নতুন সেতুটি এখন অচলাবস্থায় পড়ে আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ৪১৬ টাকার সেই সেতুটি জনমানুষের কাজে আসছে না। এমন সেতু নির্মাণ করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা গ্রামে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবৎসরে এ সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। ময়মনসিংহের মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ১ কোটি ৫লাখ ৭০হাজার ৪১৬ টাকার প্রাক্কলিক ব্যয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা-শিবপুর সড়কে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সনের ২০ জুন এ কাজের অনুমোদন দেয়া হয়। মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্মাণকাজ শেষ হলেও রাস্তার দুপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় পুরো সেতুর কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিবপুরের সোহেল রানা বলেন, সেতু তো ঝুলে আছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। রামগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুই আক্তার, আছমা আক্তার, তাসনুভা মেহেরিন জানায়, গত বর্ষা মৌসুমে তাদেরকে নৌকা দিয়ে পারপার করতে হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ব্রিজে উঠা যায় না। বলুহা গ্রামের তাইজুল ইসলাম বলেন, আমরা মাছ চাষ করি। রেনু আনা ও গাড়িতে মাছ ব্রিক্রি করতে চরম সমস্যা হচ্ছে।
শিবপুরের আলিম উদ্দিন বলেন, ব্রিজের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসুস্থ্য মানুষ। অ্যাম্বুলেন্সও আসে না, কোনো যানবাহন না থাকায় রোগী নিতে কষ্ট হয়। একই গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ব্রিজটির জন্য দুই গ্রামের মানুষ চরম কষ্ট করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান খান জানান, ৭১-এর রণাঙ্গনে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধ করার রণকৌশলের অংশ হিসাবে এ ব্রিজটি তখন উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এ ব্রিজটি ৭১-এর স্মৃতি বহন করে।
জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারিতে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ পত্র দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। সেই তাগিদ পত্রে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ বিলম্বের জবাব দিতেও বলা হয়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আলাল উদ্দিন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও কাজ শেষ না হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) : রাস্তার অভাবে নতুন সেতু এখন অচলাবস্থায় পড়ে আছে -সংবাদ
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
সেতু আছে সড়ক নেই! এক পাশে লাফিয়ে নামতে হয়, আরেক পাশে উঠতে হয় বেয়ে। সেই সিঁড়িও তৈরি করেছেন স্থানীয় লোকজন বস্তায় মাটি ভরাট করে। নতুন সেতুটি এখন অচলাবস্থায় পড়ে আছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৫ লাখ ৭০ হাজার ৪১৬ টাকার সেই সেতুটি জনমানুষের কাজে আসছে না। এমন সেতু নির্মাণ করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা গ্রামে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবৎসরে এ সেতু নির্মাণের টেন্ডার হয়। ময়মনসিংহের মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ১ কোটি ৫লাখ ৭০হাজার ৪১৬ টাকার প্রাক্কলিক ব্যয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়। উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বলুহা-শিবপুর সড়কে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০২৩ সনের ২০ জুন এ কাজের অনুমোদন দেয়া হয়। মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্মাণকাজ শেষ হলেও রাস্তার দুপাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় পুরো সেতুর কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শিবপুরের সোহেল রানা বলেন, সেতু তো ঝুলে আছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। রামগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুই আক্তার, আছমা আক্তার, তাসনুভা মেহেরিন জানায়, গত বর্ষা মৌসুমে তাদেরকে নৌকা দিয়ে পারপার করতে হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ব্রিজে উঠা যায় না। বলুহা গ্রামের তাইজুল ইসলাম বলেন, আমরা মাছ চাষ করি। রেনু আনা ও গাড়িতে মাছ ব্রিক্রি করতে চরম সমস্যা হচ্ছে।
শিবপুরের আলিম উদ্দিন বলেন, ব্রিজের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অসুস্থ্য মানুষ। অ্যাম্বুলেন্সও আসে না, কোনো যানবাহন না থাকায় রোগী নিতে কষ্ট হয়। একই গ্রামের মো. ফয়েজ উদ্দিন বলেন, ব্রিজটির জন্য দুই গ্রামের মানুষ চরম কষ্ট করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ইকবাল হাসান খান জানান, ৭১-এর রণাঙ্গনে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধ করার রণকৌশলের অংশ হিসাবে এ ব্রিজটি তখন উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এ ব্রিজটি ৭১-এর স্মৃতি বহন করে।
জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারিতে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ পত্র দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। সেই তাগিদ পত্রে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ বিলম্বের জবাব দিতেও বলা হয়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ আলাল উদ্দিন জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ করার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও কাজ শেষ না হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।