প্রথম বারের মত ভোটার তালিকাভূক্ত হলেন ১০৫ বছর বয়স্ক আম্বিয়া বেগম। নানা বঞ্চনা, গ্লানি আর ভাসমান জীবনের ৮৭ বছর ভোটার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন এই নারী। মহান স্বাধীনতার এই মার্চ মাসে জীবন সায়াহ্নে হুইল চেয়ারে ভর করে প্রথম ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত সে। তার আশা আগামী নির্বাচনে যোগ্য নাগরিক হয়ে ভোট প্রয়োগ করবেন। নতুন ভোটার তালিকাভূক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার এখন আম্বিয়া বেগম।
আম্বিয়ার বয়স এখন ১০৫ বছর। তার জন্ম ১৯২০ সালের দিকে। তার জীবন যেন এক চলমান ইতিহাস। ব্রিটিশ শাসন, দেশভাগ, পাকিস্তান আমল, মুক্তিযুদ্ধসহ বহু ঐতিহাসিক ঘটনা প্রত্যক্ষ সাক্ষী হলেও তার জীবনের ছন্দপতন ঘটে বহুবার। এবার তিনি নিজ জীবনের আরেকটি নতুন ইতিহাসের অমর স্বাক্ষী হলেন। তিনি বাউফলের আব্দুল কুদ্দুস খানের স্ত্রী। বর্তমানে গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিবারের সাথে বসবাস করছেন।
আম্বিয়া বেগমের জীবন ছিল অত্যন্ত হতাশা সংগ্রামের। দেশ স্বাধীন হলো, স্বাধিকার আানন্দ উপভোগ শুরুতেই ১৯৭২ সালে জীবন সঙ্গী স্বামী আব্দুল কুদ্দুস খান সকলের মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন। স্বামীকে হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাসমান অবস্থান করতে হয়েছে তার। কখনো বাউফলে, কখনো পটুয়াখালীতে, কখনো গলাচিপায়।
স্থায়ীভাবে বসবাস করতে না পারার এতদিন সে ভোটার হতে পারেনি। তবে এবার পরিবার উদ্যোগে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন আম্বিয়া বেগমের নাতি রাকিবুল হাসান।
আম্বিয়া বেগমের ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করেছেন গলাচিপা সদর ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রহকারী ও রতনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার। তিনি ১৬ মার্চ আম্বিয়া বেগমের প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও তথ্য যাচাই করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করেন।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের সুপারভাইজার ও বুড়িয়ার বাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, আম্বিয়া বেগমের জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে দ্রুততার সঙ্গে তার ভোটার ফরম পূরণ করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হাতে পাবেন।
ভোটার হতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন আম্বিয়া বেগম। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও তার চোখে-মুখে ছিল উচ্ছ্বাসের ঝলক।
আকাশ চুম্বি অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক কিছু দেখলাম, কিন্তু ভোটারের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। এতদিন পর হলেও ভোটার হতে পেরে ভালো লাগছে।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
প্রথম বারের মত ভোটার তালিকাভূক্ত হলেন ১০৫ বছর বয়স্ক আম্বিয়া বেগম। নানা বঞ্চনা, গ্লানি আর ভাসমান জীবনের ৮৭ বছর ভোটার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন এই নারী। মহান স্বাধীনতার এই মার্চ মাসে জীবন সায়াহ্নে হুইল চেয়ারে ভর করে প্রথম ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত সে। তার আশা আগামী নির্বাচনে যোগ্য নাগরিক হয়ে ভোট প্রয়োগ করবেন। নতুন ভোটার তালিকাভূক্ত হয়ে দেশের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার এখন আম্বিয়া বেগম।
আম্বিয়ার বয়স এখন ১০৫ বছর। তার জন্ম ১৯২০ সালের দিকে। তার জীবন যেন এক চলমান ইতিহাস। ব্রিটিশ শাসন, দেশভাগ, পাকিস্তান আমল, মুক্তিযুদ্ধসহ বহু ঐতিহাসিক ঘটনা প্রত্যক্ষ সাক্ষী হলেও তার জীবনের ছন্দপতন ঘটে বহুবার। এবার তিনি নিজ জীবনের আরেকটি নতুন ইতিহাসের অমর স্বাক্ষী হলেন। তিনি বাউফলের আব্দুল কুদ্দুস খানের স্ত্রী। বর্তমানে গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিবারের সাথে বসবাস করছেন।
আম্বিয়া বেগমের জীবন ছিল অত্যন্ত হতাশা সংগ্রামের। দেশ স্বাধীন হলো, স্বাধিকার আানন্দ উপভোগ শুরুতেই ১৯৭২ সালে জীবন সঙ্গী স্বামী আব্দুল কুদ্দুস খান সকলের মায়া ত্যাগ করে এ পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন। স্বামীকে হারিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাসমান অবস্থান করতে হয়েছে তার। কখনো বাউফলে, কখনো পটুয়াখালীতে, কখনো গলাচিপায়।
স্থায়ীভাবে বসবাস করতে না পারার এতদিন সে ভোটার হতে পারেনি। তবে এবার পরিবার উদ্যোগে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন আম্বিয়া বেগমের নাতি রাকিবুল হাসান।
আম্বিয়া বেগমের ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করেছেন গলাচিপা সদর ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রহকারী ও রতনদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার। তিনি ১৬ মার্চ আম্বিয়া বেগমের প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও তথ্য যাচাই করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য কাজ করেন।
গলাচিপা সদর ইউনিয়নের সুপারভাইজার ও বুড়িয়ার বাঁধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, আম্বিয়া বেগমের জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে দ্রুততার সঙ্গে তার ভোটার ফরম পূরণ করা হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হাতে পাবেন।
ভোটার হতে পেরে আনন্দিত হয়েছেন আম্বিয়া বেগম। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়লেও তার চোখে-মুখে ছিল উচ্ছ্বাসের ঝলক।
আকাশ চুম্বি অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক কিছু দেখলাম, কিন্তু ভোটারের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি। এতদিন পর হলেও ভোটার হতে পেরে ভালো লাগছে।