বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : কাঁকড়া ধরায় ব্যস্ত মাহী আলম -সংবাদ
২২ বছর ধরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বসতি স্থাপন করে আসছেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন এলাকার মাহী আলম (৫০)। আগেদিন মজুর হিসেবে কাজ করলেও গত ১৩ বছর ধরে কাঁকড়া ধরেই স্ত্রী, ১ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালান তিনি। তার এক মেয়ে এসএসসি পাস করেছে, বাকি ২ জনও লেখাপড়া করছে বলে জানান তিনি।শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বেঁধে রাখা নৌকার পাটাতনে বসে কাঁকড়া ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাহী আলম।
কালুরঘাট এলাকায় নৌকার পাশে ফেরির ওপর সারি করে রেখেছেন বাঁশের তৈরি ৯০টির মতো কাঁকড়া ধরার (ফাঁদ)।
তিনি বলেন, নদী-খালের মোহনায় এসব ফাঁদ দিয়ে ধরা হয় কাঁকড়া। বাঁশ দিয়ে তৈরি এই ফাঁদকে স্থানীয় ভাষায় ‘চাঁই’ বলে।
কাঁকড়ার খাদ্য হিসেবে চাঁইয়ের মধ্যে বাঁশের শলায় মাছের টুকরো গেঁথে টোপ দিয়ে চাঁইগুলো নদীতে ফেলে দড়ি দিয়ে নৌকার সাথে বেঁধে দিচ্ছেন। এসব চাঁই ৬-৭ ঘন্টা পর তুলবেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক কত কেজি কাঁকড়া পান এবং কত টাকা আয় হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫-৬ বছর আগে ভালো কাঁকড়া পাওয়া যেত। এখন তেমন কাঁকড়া মিলে না। যাও পাওয়া যায় ৩ কেজি-সর্বোচ্চ ৭ কেজি পর্যন্ত। অনেক সময় সারাদিনে ১ কেজিও মিলে না।
প্রতি কেজি ৪০০ -৫০০ টাকা করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে তাই দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে।
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : কাঁকড়া ধরায় ব্যস্ত মাহী আলম -সংবাদ
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
২২ বছর ধরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় বসতি স্থাপন করে আসছেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন এলাকার মাহী আলম (৫০)। আগেদিন মজুর হিসেবে কাজ করলেও গত ১৩ বছর ধরে কাঁকড়া ধরেই স্ত্রী, ১ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে পাঁচ সদস্যের সংসার চালান তিনি। তার এক মেয়ে এসএসসি পাস করেছে, বাকি ২ জনও লেখাপড়া করছে বলে জানান তিনি।শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ে বেঁধে রাখা নৌকার পাটাতনে বসে কাঁকড়া ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাহী আলম।
কালুরঘাট এলাকায় নৌকার পাশে ফেরির ওপর সারি করে রেখেছেন বাঁশের তৈরি ৯০টির মতো কাঁকড়া ধরার (ফাঁদ)।
তিনি বলেন, নদী-খালের মোহনায় এসব ফাঁদ দিয়ে ধরা হয় কাঁকড়া। বাঁশ দিয়ে তৈরি এই ফাঁদকে স্থানীয় ভাষায় ‘চাঁই’ বলে।
কাঁকড়ার খাদ্য হিসেবে চাঁইয়ের মধ্যে বাঁশের শলায় মাছের টুকরো গেঁথে টোপ দিয়ে চাঁইগুলো নদীতে ফেলে দড়ি দিয়ে নৌকার সাথে বেঁধে দিচ্ছেন। এসব চাঁই ৬-৭ ঘন্টা পর তুলবেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক কত কেজি কাঁকড়া পান এবং কত টাকা আয় হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫-৬ বছর আগে ভালো কাঁকড়া পাওয়া যেত। এখন তেমন কাঁকড়া মিলে না। যাও পাওয়া যায় ৩ কেজি-সর্বোচ্চ ৭ কেজি পর্যন্ত। অনেক সময় সারাদিনে ১ কেজিও মিলে না।
প্রতি কেজি ৪০০ -৫০০ টাকা করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে যা থাকে তাই দিয়ে কোনো রকম সংসার চলে।