alt

সারাদেশ

ঈদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেশম পল্লীতে কর্মচাঞ্চল্য নেই

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : রেশমের কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর -সংবাদ

বৈশাখ আর ঈদকে সামনে নিয়ে খটখট শব্দে কর্মচাঞ্চল্য থাকার কথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের লাহারপুর, শিবগঞ্জের হরিনগর ও কানসাটের বিশ্বনাথপুরের রেশম পল্লীতে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কম। তবুও বংশ পরম্পরায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছে। সুযোগ-সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতা না বাড়ালে এ ব্যবসার মন্দাভাব কাটবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁত মালিকরা জানান, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারজাত করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে আড়ংসহ অন্যান্য অভিজাত প্রতিষ্ঠানে সিল্কের কাপড়ের ব্যবসা কমে যাওয়ায় এবার তেমন চাহিদা নেই। এ নিয়ে হতাশায় পড়েছেন তাঁতপল্লীর মালিকরা। হরিনগর তাঁতিপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উল ফিতরকে ঘিরে রেশম তাঁতপল্লীতে কাজের চাপ বাড়ে। কিন্তু এবার এ পল্লীতে খুটখাট শব্দ আর কারিগর-শ্রমিকদের ব্যস্ততা তেমন নেই। সারাবছর যতনা সরব থাকে, ঈদ এলে তা বেড়ে যেতো কয়েকগুন। আর রেশম শাড়ির বুননে বৈচিত্র আর নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে দিনরাত কাজ করতেন তাঁতিরা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে চাহিদা থাকলেও এবার তেমন চাপ নেই তাঁত শ্রমিকদের। বাহারি সব রেশম সিল্কের পোশাক ছড়িয়ে পড়তো আড়ং, অভিজাত বিপনীবিতান, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু এবার তার উল্টো, এসব প্রতিষ্ঠান সেরকম মাল নিচ্ছে না। তাদের ব্যবসা মন্দার কারণে তারা অর্ডার দিচ্ছে না। এখানকার রেশম সিল্কের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবির কাপড়, বেনারশী, গরদের কাপড়, মটকা, ওড়না, সালোয়ার কামিজ মূলতঃ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের পোশাকের চাহিদা মেটায়। কিন্তু এখন তাদের সেই দিনকাল ভাল যাচ্ছে না। ফিরোজ কবির ও পুটু আলী নামে দুই তাঁত শ্রমিক জানান, তারা দীর্ঘ ২০-২৫ বছর এ পেশার সাথে জড়িত। এবার কাজ খুব একটা নেই। এরপরও যতুটুকু কাজ আছে তা চাহিদার তুলনায় কম। বাকি দিনগুলো তারা অন্য পেশায় চলে যান। আরেক তাঁত শ্রমিক আজিজুল হক জানান, ১ গজ কাপড় বুনলে ৯০ টাকা এবং সব মিলিয়ে ৪-৫ গজ কাপড় বুনলে সর্বমোট ৪০০-৪৫০ টাকা পাওয়া যায়। আগে সারাবছরই কমবেশী কাজ হতো। এখন এ শিল্পের অবস্থা খুব একটা ভাল না। তাঁত মালিক তরুণ কুমার দাসের ছেলে পলাশ দাস বলেন, এ ব্যবসার পরিস্থিতি খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। সূতাসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বাড়লেও কাপড়ের দাম সেভাবে বাড়েনি। এজন্য আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারা যাচ্ছে না। বংশ পরম্পরায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছে। দোকানিরা অর্ডার দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে, কিভাবে ব্যবসা চালাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এই শিল্পের সাথে জড়িতরা। এ শিল্পের প্রতি সরকারের নজর আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এ খাতে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা থাকলে তাঁত শিল্পকে আরও গতিশীল করা সম্ভব।

গাজীপুরে বেতন বকেয়া রেখে কারখানায় তালা, মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ

ছবি

হান্নান মাসউদের উপর হামলা, মধ্যরাত পর্যন্ত হাতিয়ায় বিক্ষোভ

ছবি

টেকনাফ সাগরে আরও ৩৫০ কাছিমছানা অবমুক্ত

‘বাংলাদেশ অতীতের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’

সখীপুরে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গ্রামবাসীর তালা

সিলেটে পৃথক ঘটনায় একদিনে ৫ জনের মৃত্যু

তিন জেলায় অগ্নিকাণ্ড মার্কেট-বসতঘর ছাই

চাঁদা না দেয়ায় মাদ্রাসা ও মসজিদে হামলা, আহত ১৫

দুই জেলায় সড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

দুই জেলায় শিশুসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

লবণ কারখানায় অভিযান, জরিমানা

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু

লিবিয়ায় দালাল চক্রের নির্যাচরেতনে শিবর যুবকের মৃত্যু

কক্সবাজার জেলা পরিষদের ২৩ ইজারা নিয়ে হতাশ ভুক্তভোগীরা

চট্টগ্রামে তৈরি হয় বগুড়ার দই! কারখানার জরিমানা

আসমান বিগ বাজার ও শিলামণি গার্মেন্টসে জরিমানা

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত

সন্ত্রাসীদের গুলিতে লবণ চাষীর মৃত্যু

ছবি

জগন্নাথপুরে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন, হাওরের কাঁচা সড়কের সর্বনাশ

সিলেটে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টায় চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ১২

ছবি

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে তৎপরতা

আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের ৮৬৮ কোটি টাকা পাচার, দুদকের চার্জশিট অনুমোদন

মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক

সাবেক প্রতিমন্ত্রী চুমকির ফ্ল্যাট জব্দ, ২ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

ছবি

বকেয়া বেতনসহ ৫ দফা দাবিতে মসজিদভিত্তিক শিক্ষকদের মানববন্ধন

ভটভটি চালকের আত্মহত্যা, সুদ কারবারি গ্রেপ্তার

স্বাধীনতা দিবসে নৌবাহিনীর জাহাজ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত

ভৈরবে ধর্ষণের অভিযোগে আ’লীগ নেতা কারাগারে

ডিআইজি মোল্যা নজরুলের ফ্ল্যাট, শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

শরীয়তপুরে বাবাকে হত্যার পর হৃদক্রিয়ায় ছেলের মৃত্যু

হবিগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মিশুকচালক নিহত

ছবি

মাদারগঞ্জে গ্রাহকদের দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও ২৩ সমবায় সমিতি

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছে কৃষক

চট্টগ্রামে ১৩ লাখ বিদেশি সিগারেটসহ গ্রেপ্তার ২

tab

সারাদেশ

ঈদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেশম পল্লীতে কর্মচাঞ্চল্য নেই

জেলা বার্তা পরিবেশক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : রেশমের কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর -সংবাদ

রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

বৈশাখ আর ঈদকে সামনে নিয়ে খটখট শব্দে কর্মচাঞ্চল্য থাকার কথা চাঁপাইনবাবগঞ্জের লাহারপুর, শিবগঞ্জের হরিনগর ও কানসাটের বিশ্বনাথপুরের রেশম পল্লীতে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কম। তবুও বংশ পরম্পরায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছে। সুযোগ-সুবিধা ও পৃষ্ঠপোষকতা না বাড়ালে এ ব্যবসার মন্দাভাব কাটবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁত মালিকরা জানান, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারজাত করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে আড়ংসহ অন্যান্য অভিজাত প্রতিষ্ঠানে সিল্কের কাপড়ের ব্যবসা কমে যাওয়ায় এবার তেমন চাহিদা নেই। এ নিয়ে হতাশায় পড়েছেন তাঁতপল্লীর মালিকরা। হরিনগর তাঁতিপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উল ফিতরকে ঘিরে রেশম তাঁতপল্লীতে কাজের চাপ বাড়ে। কিন্তু এবার এ পল্লীতে খুটখাট শব্দ আর কারিগর-শ্রমিকদের ব্যস্ততা তেমন নেই। সারাবছর যতনা সরব থাকে, ঈদ এলে তা বেড়ে যেতো কয়েকগুন। আর রেশম শাড়ির বুননে বৈচিত্র আর নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে দিনরাত কাজ করতেন তাঁতিরা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে চাহিদা থাকলেও এবার তেমন চাপ নেই তাঁত শ্রমিকদের। বাহারি সব রেশম সিল্কের পোশাক ছড়িয়ে পড়তো আড়ং, অভিজাত বিপনীবিতান, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কিন্তু এবার তার উল্টো, এসব প্রতিষ্ঠান সেরকম মাল নিচ্ছে না। তাদের ব্যবসা মন্দার কারণে তারা অর্ডার দিচ্ছে না। এখানকার রেশম সিল্কের তৈরি শাড়ি, পাঞ্জাবির কাপড়, বেনারশী, গরদের কাপড়, মটকা, ওড়না, সালোয়ার কামিজ মূলতঃ মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্তদের পোশাকের চাহিদা মেটায়। কিন্তু এখন তাদের সেই দিনকাল ভাল যাচ্ছে না। ফিরোজ কবির ও পুটু আলী নামে দুই তাঁত শ্রমিক জানান, তারা দীর্ঘ ২০-২৫ বছর এ পেশার সাথে জড়িত। এবার কাজ খুব একটা নেই। এরপরও যতুটুকু কাজ আছে তা চাহিদার তুলনায় কম। বাকি দিনগুলো তারা অন্য পেশায় চলে যান। আরেক তাঁত শ্রমিক আজিজুল হক জানান, ১ গজ কাপড় বুনলে ৯০ টাকা এবং সব মিলিয়ে ৪-৫ গজ কাপড় বুনলে সর্বমোট ৪০০-৪৫০ টাকা পাওয়া যায়। আগে সারাবছরই কমবেশী কাজ হতো। এখন এ শিল্পের অবস্থা খুব একটা ভাল না। তাঁত মালিক তরুণ কুমার দাসের ছেলে পলাশ দাস বলেন, এ ব্যবসার পরিস্থিতি খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। সূতাসহ বিভিন্ন উপকরণের মূল্য বাড়লেও কাপড়ের দাম সেভাবে বাড়েনি। এজন্য আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারা যাচ্ছে না। বংশ পরম্পরায় এ পেশাকে আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছে। দোকানিরা অর্ডার দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে, কিভাবে ব্যবসা চালাবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এই শিল্পের সাথে জড়িতরা। এ শিল্পের প্রতি সরকারের নজর আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এ খাতে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা থাকলে তাঁত শিল্পকে আরও গতিশীল করা সম্ভব।

back to top