সুন্দরবনের পূর্ব অংশে এক স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই নতুন করে আরেক স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নতুন আগুনের উৎসস্থল শাপলার বিল এলাকায়, যা পানির উৎস থেকে বেশ দূরে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস ‘ফায়ার লাইন’ কেটে কাজ করছে।
শনিবার দুপুরের পর পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজি টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন দেখতে পায় বনবিভাগ। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় এবং রোববার দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর আগেই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলমতেজি টহল ফাঁড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলার শাপলার বিল এলাকায় নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বনবিভাগের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ড্রোন ও জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নতুন আগুনের খবর পাওয়া যায়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, কিছু জায়গায় আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, আর কিছু জায়গায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাই ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বাগেরহাট ও খুলনার ছয়টি ইউনিট শনিবার থেকেই আগুন নেভানোর কাজ করছে। নতুন আগুন লাগার পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, তবে পানির উৎস তিন কিলোমিটার দূরে থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের বিপরীতে আগুনের স্থানটি অবস্থিত। গ্রামবাসীরা মরা ভোলা নদী পার হয়ে শীতকালে সহজেই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারে। তারা শুকনো কাঠ ও পাতা সংগ্রহের পাশাপাশি গরু-ছাগলও নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, নদীটি পুনঃখনন করলে বনে প্রবেশ সহজ হবে না এবং জোয়ারের পানি ঢুকে আগুন লাগার ঝুঁকি কমবে।
বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ফায়ার লাইন কাটার পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হবে। পরপর দুটি অগ্নিকাণ্ড বনবিভাগকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক দীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
সুন্দরবনের পূর্ব অংশে এক স্থানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই নতুন করে আরেক স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নতুন আগুনের উৎসস্থল শাপলার বিল এলাকায়, যা পানির উৎস থেকে বেশ দূরে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস ‘ফায়ার লাইন’ কেটে কাজ করছে।
শনিবার দুপুরের পর পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজি টহল ফাঁড়ি এলাকায় আগুন দেখতে পায় বনবিভাগ। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয় এবং রোববার দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এর আগেই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলমতেজি টহল ফাঁড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে তেইশের ছিলার শাপলার বিল এলাকায় নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বনবিভাগের পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ড্রোন ও জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নতুন আগুনের খবর পাওয়া যায়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, কিছু জায়গায় আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, আর কিছু জায়গায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাই ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বাগেরহাট ও খুলনার ছয়টি ইউনিট শনিবার থেকেই আগুন নেভানোর কাজ করছে। নতুন আগুন লাগার পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন, তবে পানির উৎস তিন কিলোমিটার দূরে থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের বিপরীতে আগুনের স্থানটি অবস্থিত। গ্রামবাসীরা মরা ভোলা নদী পার হয়ে শীতকালে সহজেই সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারে। তারা শুকনো কাঠ ও পাতা সংগ্রহের পাশাপাশি গরু-ছাগলও নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, নদীটি পুনঃখনন করলে বনে প্রবেশ সহজ হবে না এবং জোয়ারের পানি ঢুকে আগুন লাগার ঝুঁকি কমবে।
বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম জানান, ফায়ার লাইন কাটার পর পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হবে। পরপর দুটি অগ্নিকাণ্ড বনবিভাগকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আগুনের কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক দীপন চন্দ্র দাসকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।