কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) : মাসজুড়ে পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত -সংবাদ
পুরো রমজান মাসজুড়েই পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়। তাদের বরণে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এই লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং।
গত মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর হোটেলগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক হয়েছে।
পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেলগুলো সেজেছে রঙিন সাজে, সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে যাতায়াতের পথগুলো। রঙিন হচ্ছে প্রতিটি হোটেলের কক্ষ। আবাসিক হোটেল-রিসোর্টগুলো নেমেছে পর্যটক আকষর্ণের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে পর্যটকদের চাপ হবে। ইতিমধ্য প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল কেএম জহির খান জানান, রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা ও যে কোন হয়রানি বন্ধে আমরা প্রস্তুত। প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের ট্যুর গাইডের সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভ্রমণ সহযোগিতায় কাজ করবে।
এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য চমৎকার রূপে ডানা মেলেছে। কাছ থেকে প্রকৃতির এমন দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা আসবেন পর্যটকরা।
সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, আমাদের রিসোর্টে ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র এখন পর্যন্ত বেশ বুকিংয়ের ফোন আসছে। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকড হয় গেছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতে আমরা পুরোপুরি বুকিং পাবো। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ইতোমধ্যে আমরা সুইমিংসহ হোটেলের বাড়তি সৌন্দর্য বর্ধন শেষ করেছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ঈদের বন্ধে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) : মাসজুড়ে পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত -সংবাদ
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
পুরো রমজান মাসজুড়েই পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটে আসবেন কুয়াকাটায়। তাদের বরণে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছেন হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এই লম্বা ছুটিকে সামনে রেখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে অগ্রিম হোটেল বুকিং।
গত মঙ্গলবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর হোটেলগুলোর ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।
এদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা, সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে বৈঠক হয়েছে।
পর্যটকদের বরণে হোটেল-মোটেলগুলো সেজেছে রঙিন সাজে, সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে যাতায়াতের পথগুলো। রঙিন হচ্ছে প্রতিটি হোটেলের কক্ষ। আবাসিক হোটেল-রিসোর্টগুলো নেমেছে পর্যটক আকষর্ণের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায়।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ঈদে লম্বা ছুটি থাকার কারণে পর্যটকদের চাপ হবে। ইতিমধ্য প্রায় ৫০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের সেবায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল কেএম জহির খান জানান, রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। সেই সুযোগে হোটেল-মোটেলগুলো পরিপাটি করে তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু বলেন, পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা ও যে কোন হয়রানি বন্ধে আমরা প্রস্তুত। প্রশাসনের পাশাপাশি আমাদের ট্যুর গাইডের সদস্যরা পর্যটকদের নিরাপত্তা ও ভ্রমণ সহযোগিতায় কাজ করবে।
এদিকে সৈকতে দীর্ঘদিন পর্যটক কম থাকায় পুরো সৈকতজুড়ে তৈরি হয়েছে ভিন্নতা। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য চমৎকার রূপে ডানা মেলেছে। কাছ থেকে প্রকৃতির এমন দৃশ্য এক নজর দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কুয়াকাটা আসবেন পর্যটকরা।
সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, আমাদের রিসোর্টে ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র এখন পর্যন্ত বেশ বুকিংয়ের ফোন আসছে। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ অগ্রিম বুকড হয় গেছে। আশা করছি বাকি দিনগুলোতে আমরা পুরোপুরি বুকিং পাবো। পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ইতোমধ্যে আমরা সুইমিংসহ হোটেলের বাড়তি সৌন্দর্য বর্ধন শেষ করেছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ঈদের বন্ধে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করা হবে।