রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : পাড়ে বসে অলস সময় পার করছেন জেলেরা -সংবাদ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের উদ্যোগে জাটকা রক্ষার অভিযান মধ্যেই চলছে জাটকা নিধন। স্থানীয় এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যাপক হারে এ জাটকা নিধন করছেন। এসব মাছ দেদার বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ গ্রামে গ্রামে। এতে প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশের উৎপাদন হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, অভিযানের খবর আগেভাগেই ফাঁস হওয়ায় জাটকা ধরেও পার পেয়ে যাচ্ছেন জেলেরা। সচেতনতার অভাবে জেলেরা জাটকা ধরছেন, ক্রেতারাও কিনছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগের নজরদারির অভাবই এর জন্য দায়ী।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ইলিশের অভয়াশ্রম। এ সময় নদীতে মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে সরকার জেলেকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় এনে জন প্রতি ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়। তবে, জেলেরা অভিযোগ করছেন যে, সরকারি বরাদ্দ তারা পান না। এতে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন তারা।
রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নির্বিঘ্নে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছে। এসব মাছ বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে হাটবাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। গত মঙ্গলবার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি নৌকা উদ্ধারসহ তিন মন জাটকা জব্দ, ৮০ হাজার মিটর জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ১২টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ হয়। এছাড়াও চলতি মাসে মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও কয়েক মণ জাটকা জব্দসহ জাল উদ্ধার করা হয়।
নদীর পাড়ের কয়েক জন জেলেরা বলেন, সরকার অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু আমাদের পেট চলবে কীভাবে? সরকার তো আমাদের কোনো সহায়তা দেয়নি। চরবংশী এলাকার জেলে নাসির বলেন, এই দুই মাস আমরা কীভাবে চলবো? আমরা কোনো চাল পাই না, তাই বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে যাই।
পানিরঘাট এলাকার ৫ থেকে ৬ জন জেলে বলেন, এ বছর জাটকা শিকারের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। রাতের আঁধারে নদীতে প্রতিদিন আমাদের মতো শত শত জেলেই জাটকা ধরছে। এসব মাছ আড়ত থেকে রাতে ট্রলার, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহনে ঢাকা-চট্টগ্রামের মোকামে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, জেলেদের অভিযোগ রয়েছে যে, ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে। তারা বলছেন, প্রকৃত জেলেদের পরিবর্তে পছন্দমতো লোকজনকে কার্ড দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ‘মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নদীতে দিন-রাত অভিযান চলমান আছে। প্রয়োজনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
কিছু অসাধু জেলেরা নদীতে জাটকা শিকারের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়বে।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : পাড়ে বসে অলস সময় পার করছেন জেলেরা -সংবাদ
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের উদ্যোগে জাটকা রক্ষার অভিযান মধ্যেই চলছে জাটকা নিধন। স্থানীয় এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা কর্মকর্তাদের ফাঁকি দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যাপক হারে এ জাটকা নিধন করছেন। এসব মাছ দেদার বিক্রি হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ গ্রামে গ্রামে। এতে প্রত্যাশা অনুযায়ী ইলিশের উৎপাদন হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, অভিযানের খবর আগেভাগেই ফাঁস হওয়ায় জাটকা ধরেও পার পেয়ে যাচ্ছেন জেলেরা। সচেতনতার অভাবে জেলেরা জাটকা ধরছেন, ক্রেতারাও কিনছেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগের নজরদারির অভাবই এর জন্য দায়ী।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মেঘনা নদী ইলিশের অভয়াশ্রম। এ সময় নদীতে মাছ ধরা থেকে জেলেদের বিরত রাখতে সরকার জেলেকে ভিজিএফ কার্ডের আওতায় এনে জন প্রতি ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়। তবে, জেলেরা অভিযোগ করছেন যে, সরকারি বরাদ্দ তারা পান না। এতে বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন তারা।
রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নির্বিঘ্নে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছে। এসব মাছ বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে হাটবাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। গত মঙ্গলবার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে একটি নৌকা উদ্ধারসহ তিন মন জাটকা জব্দ, ৮০ হাজার মিটর জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ১২টি মামলায় ৬০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত জাটকা স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ হয়। এছাড়াও চলতি মাসে মৎস্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ড নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও কয়েক মণ জাটকা জব্দসহ জাল উদ্ধার করা হয়।
নদীর পাড়ের কয়েক জন জেলেরা বলেন, সরকার অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু আমাদের পেট চলবে কীভাবে? সরকার তো আমাদের কোনো সহায়তা দেয়নি। চরবংশী এলাকার জেলে নাসির বলেন, এই দুই মাস আমরা কীভাবে চলবো? আমরা কোনো চাল পাই না, তাই বাধ্য হয়ে মাছ ধরতে যাই।
পানিরঘাট এলাকার ৫ থেকে ৬ জন জেলে বলেন, এ বছর জাটকা শিকারের মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। রাতের আঁধারে নদীতে প্রতিদিন আমাদের মতো শত শত জেলেই জাটকা ধরছে। এসব মাছ আড়ত থেকে রাতে ট্রলার, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহনে ঢাকা-চট্টগ্রামের মোকামে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, জেলেদের অভিযোগ রয়েছে যে, ভিজিএফ কার্ড বিতরণে অনিয়ম হচ্ছে। তারা বলছেন, প্রকৃত জেলেদের পরিবর্তে পছন্দমতো লোকজনকে কার্ড দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, ‘মৎস্য সম্পদ রক্ষায় নদীতে দিন-রাত অভিযান চলমান আছে। প্রয়োজনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
কিছু অসাধু জেলেরা নদীতে জাটকা শিকারের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা আর্থিক সংকটের মুখে পড়বে।