ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সামগ্রী, স্টেশনারি এবং ধোলাই কাজের দরপত্রে নিয়ম রক্ষার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। মূলত দরপত্রটি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে পেতে সহযোগিতা করেছেন খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান। জানা যায়, অনেকটা গোপনীয়ভাবে এই দরপত্রের আহ্বান করা হয়। দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিটি দেখা যায়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোটিস বোর্ডে। মানা হয়নি পিপিএ এবং পিপিআর নীতিমালা। বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার করা থাকলেও বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে দুইটি লোকাল পত্রিকায়। তবে ওইদিনের প্রকাশিত পত্রিকাগুলো লালমোহনে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় উপস্থিত সবার সামনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়। বাক্স খোলার পর খামের ওপর দরপত্র প্রদানকারীদের নাম পড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ সময় সাংবাদিকসহ উপস্থিত সকলকে বের করে দিয়ে বলেন, এখন শুধুমাত্র অফিসের লোকজন আর কমিটির লোকজন থাকবেন। দরপত্র খোলার সময় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশের লোক থাকার কথা থাকলেও দেখা যায়নি কোনো পুলিশ সদস্যকে। পরে দুপুর দেড়টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দরপত্র ফাইনাল না করে হাসপাতাল ছেড়ে তার প্রাইভেট চেম্বার ভোলার উদ্দেশে চলে যান। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও, ডা. তৈয়বুর রহমান যোগদান করার পর বিভিন্ন অযুহাতে একদিনের জন্য লালমোহনে থাকেননি। ভোলা সদর থেকে তিনি যাতায়াত করেন। এতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লালমোহনবাসী। খাদ্য সামগ্রী, স্টেশনারি ও ধোলাই কাজের কে দরপত্র পেয়েছে তা কেউই জানেন না। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সিডিউল বিক্রি হয়, খাদ্য ৩টি, স্টেশনারি ৫টি এবং ধোলাই ৪টির মধ্যে সবগুলো জমা হয়। জানা গেছে, নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিগতবছরেও একই প্রক্রিয়ায় উক্ত টেন্ডার নিজের পছন্দের লোকদের পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এই কর্মকর্তা। এই বছরও একই অনিয়ম করলেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৈয়বুর রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী ২টি লোকাল পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার দরকার নেই। কারণ বাইরের লোক এখানে দরপত্র কিনতে আসবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দরপত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোটিস বোর্ডে এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা অফিস, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং অথবা ঢোল বাজিয়ে মানুষকে জানাতে হবে। তবে এ ধরনের কোনো বিষয় জানা নেই বলে জানিয়েছেন ডা. তৈয়বুর রহমান। ভোলা জেলার সিভিলে সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, টেন্ডারের নোটিস অবশ্যই নোটিস বোর্ডে টানানো থাকবে। দরপত্র খোলার সময় পুলিশ থাকবে এবং দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় সাংবাদিকগণ থাকতে পারবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মস্থলে সরকারি আবাসিক ভবনে থাকবেন। যদি সরকারি আবাসিক ভবনে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তিনি তার কর্মস্থলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকবেন।
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সামগ্রী, স্টেশনারি এবং ধোলাই কাজের দরপত্রে নিয়ম রক্ষার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। মূলত দরপত্রটি নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে পেতে সহযোগিতা করেছেন খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৈয়বুর রহমান। জানা যায়, অনেকটা গোপনীয়ভাবে এই দরপত্রের আহ্বান করা হয়। দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিটি দেখা যায়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোটিস বোর্ডে। মানা হয়নি পিপিএ এবং পিপিআর নীতিমালা। বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার করা থাকলেও বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছে দুইটি লোকাল পত্রিকায়। তবে ওইদিনের প্রকাশিত পত্রিকাগুলো লালমোহনে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় উপস্থিত সবার সামনে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার রুমে দরপত্রের বাক্স খোলা হয়। বাক্স খোলার পর খামের ওপর দরপত্র প্রদানকারীদের নাম পড়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ সময় সাংবাদিকসহ উপস্থিত সকলকে বের করে দিয়ে বলেন, এখন শুধুমাত্র অফিসের লোকজন আর কমিটির লোকজন থাকবেন। দরপত্র খোলার সময় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশের লোক থাকার কথা থাকলেও দেখা যায়নি কোনো পুলিশ সদস্যকে। পরে দুপুর দেড়টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দরপত্র ফাইনাল না করে হাসপাতাল ছেড়ে তার প্রাইভেট চেম্বার ভোলার উদ্দেশে চলে যান। নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মস্থলে থাকার কথা থাকলেও, ডা. তৈয়বুর রহমান যোগদান করার পর বিভিন্ন অযুহাতে একদিনের জন্য লালমোহনে থাকেননি। ভোলা সদর থেকে তিনি যাতায়াত করেন। এতে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন লালমোহনবাসী। খাদ্য সামগ্রী, স্টেশনারি ও ধোলাই কাজের কে দরপত্র পেয়েছে তা কেউই জানেন না। লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ৩টি ক্যাটাগরিতে মোট ১২টি সিডিউল বিক্রি হয়, খাদ্য ৩টি, স্টেশনারি ৫টি এবং ধোলাই ৪টির মধ্যে সবগুলো জমা হয়। জানা গেছে, নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিগতবছরেও একই প্রক্রিয়ায় উক্ত টেন্ডার নিজের পছন্দের লোকদের পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এই কর্মকর্তা। এই বছরও একই অনিয়ম করলেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৈয়বুর রহমান জানান, নিয়ম অনুযায়ী ২টি লোকাল পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার দরকার নেই। কারণ বাইরের লোক এখানে দরপত্র কিনতে আসবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর দরপত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নোটিস বোর্ডে এবং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা অফিস, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং অথবা ঢোল বাজিয়ে মানুষকে জানাতে হবে। তবে এ ধরনের কোনো বিষয় জানা নেই বলে জানিয়েছেন ডা. তৈয়বুর রহমান। ভোলা জেলার সিভিলে সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, টেন্ডারের নোটিস অবশ্যই নোটিস বোর্ডে টানানো থাকবে। দরপত্র খোলার সময় পুলিশ থাকবে এবং দরপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় সাংবাদিকগণ থাকতে পারবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মস্থলে সরকারি আবাসিক ভবনে থাকবেন। যদি সরকারি আবাসিক ভবনে কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তিনি তার কর্মস্থলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকবেন।