কেশবপুর (যশোর) : উপজেলার বেগমপুর বাজারের পাশে রিপন ব্রিকসে চলছে অবৈধ কার্যক্রম -সংবাদ
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ১৩টি ইটভাটা। এ ইটভাটার মধ্যে ১১টিই অবৈধভাবে চলছে। এরমধ্যে হাইকোর্ট এক আদেশে ১৭ মার্চের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ ৬ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে পত্র দিয়েছে। বিষয়টি যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পত্র দিয়ে অবহিত করেছে। এসুযোগে অবৈধ ভাটা মালিকেরা ভাটা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টমহলে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩-এর ৮(১) তে বলা আছে, কৃষি জমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ আইনের ৩(ক) তে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না। শুধু তাই নয়, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, কৃষিজমি ও টিলার মাটি কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্য করে কৃষিজমি ও টিলার উপরিভাগের টপ সয়েল কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে জমির ঊর্বরতা শক্তি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। আইনের তোয়াক্কা না করে এ উপজেলায় ১৩টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। যার ১১টিই অবৈধ। ভাটায় রাতের আধারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, পরিত্যাক্ত টায়ার। এতে পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে। ভাটার কালো ধোয়ার প্রভাবে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলের উৎপাদন। ঘটছে পরিবেশের বিপর্যয়।
এদিকে, পরিবেশের বিপর্যয় রোধে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১৩৭০৫/২২ এর বিজ্ঞ বিচারক এক আদেশে মেসার্স রিপন, মেসার্স বিএসবি, মেসার্স রয়েল, মেসার্স এসএসবি, মেসার্স প্রাণ ও মেসার্স রোমান ব্রিকসকে অবৈধ ঘোষণা করে ১৭ মার্চের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে পত্র দেয়। গত ৪ মার্চ যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পত্র দেয়। ঘটনাটি এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চললেও আজও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বহাল তবিয়াতে চলছে অবৈধ ইটভাটা।
এ ব্যাপারে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৌমেন বলেন, পরিবেশের ছাড়পত্র নেই এমন ১১টি ভাটার তালিকা করে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি ভাটার বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মোবাইকোর্ট পরিচালনার অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র দেয়া হয়েছে। এখনও বরাদ্দ মেলেনি। তাই মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে ইতোপূর্বে মেসার্স রিপন ব্রিকসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
কেশবপুর (যশোর) : উপজেলার বেগমপুর বাজারের পাশে রিপন ব্রিকসে চলছে অবৈধ কার্যক্রম -সংবাদ
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে কৃষি জমিতে গড়ে উঠেছে ১৩টি ইটভাটা। এ ইটভাটার মধ্যে ১১টিই অবৈধভাবে চলছে। এরমধ্যে হাইকোর্ট এক আদেশে ১৭ মার্চের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ ৬ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে পত্র দিয়েছে। বিষয়টি যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পত্র দিয়ে অবহিত করেছে। এসুযোগে অবৈধ ভাটা মালিকেরা ভাটা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাসহ সংশ্লিষ্টমহলে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছে।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩-এর ৮(১) তে বলা আছে, কৃষি জমিতে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এ আইনের ৩(ক) তে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সীমারেখার (ফসলি জমি) এক কিলোমিটারের মধ্যেও কোনো ইটভাটা করা যাবে না। শুধু তাই নয়, পরিবেশ আইন অনুযায়ী, কৃষিজমি ও টিলার মাটি কাটা দন্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্য করে কৃষিজমি ও টিলার উপরিভাগের টপ সয়েল কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটায়। এতে জমির ঊর্বরতা শক্তি নষ্টের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়েছে। আইনের তোয়াক্কা না করে এ উপজেলায় ১৩টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। যার ১১টিই অবৈধ। ভাটায় রাতের আধারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, পরিত্যাক্ত টায়ার। এতে পরিবেশ ও প্রতিবেশের মারাত্নক ক্ষতি হচ্ছে। ভাটার কালো ধোয়ার প্রভাবে দিন দিন কমে যাচ্ছে ফসলের উৎপাদন। ঘটছে পরিবেশের বিপর্যয়।
এদিকে, পরিবেশের বিপর্যয় রোধে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১৩৭০৫/২২ এর বিজ্ঞ বিচারক এক আদেশে মেসার্স রিপন, মেসার্স বিএসবি, মেসার্স রয়েল, মেসার্স এসএসবি, মেসার্স প্রাণ ও মেসার্স রোমান ব্রিকসকে অবৈধ ঘোষণা করে ১৭ মার্চের মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কার্যক্রম বন্ধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে পত্র দেয়। গত ৪ মার্চ যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পত্র দেয়। ঘটনাটি এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চললেও আজও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বহাল তবিয়াতে চলছে অবৈধ ইটভাটা।
এ ব্যাপারে যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সৌমেন বলেন, পরিবেশের ছাড়পত্র নেই এমন ১১টি ভাটার তালিকা করে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি ভাটার বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মোবাইকোর্ট পরিচালনার অর্থ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পত্র দেয়া হয়েছে। এখনও বরাদ্দ মেলেনি। তাই মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে ইতোপূর্বে মেসার্স রিপন ব্রিকসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।