কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার -সংবাদ
উত্তরবঙ্গ ২৪টি জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কারণে মাঝে মধ্যে যানবাহনের যানযট সৃষ্টি হয়। দ্রুত একটি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণের দাবি করেন যাতায়াতকারীরা।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপাশে ২ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি ফুট ওভারব্রিজ। যার উচ্চতা ৫.৩৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ২৪.৫০ মিটার। পরবর্তীতে এ মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ব্রিজটি ভেঙে ফেলেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হচ্ছেন পথচারীরা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় চলাচল করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দ্রুতগতির যানবাহন এড়িয়ে বয়স্ক ও শিশুদের পারাপার হওয়া খুবই কষ্টকর। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, একটি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বিমা শাখা, শত বছরের পুরানো হাটবাজারসহ বহু ব্যবসায় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া মধ্যবর্তী স্থান হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে ভাড়াটিয়া বাসাবাড়ি। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের বল্লা রোড এর স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। এলাকার মানুষ এবং দূরের যাতায়াতকারীরা ঝুঁকিহীন পারাপার হতেন। কিন্তু ওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমি বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসা করার কারণে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে সারাদিনে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বার রাস্তা পারাপার হতে হয়। কখনো কখনো দৌড়ে রাস্তা পার হতে হয়। আবার কখনো রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তা পার হতে হচ্ছে।
বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশ থেকে বাজার করে আসা স্থানীয় নুরুজ্জামান বলেন, কিছু দিন আগে এখানে ওভার ব্রিজ ছিল তখন মানুষের এতটা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়নি। আপনি দেখলেন রাস্তার এই পাশ থেকে ঔপাশ মানুষ কিভাবে দৌড়ে পার হচ্ছে। তাই আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবগত করছি তাদের মাধ্যমে যেন অতি দ্রুত এলেঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করেন।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা, হাসমত আলী এ বিষয়ে জানান, আপনারা জানেন বিগত দিন আগে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড একটি জনবহুল এলাকা এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সারাক্ষণ জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল ফিতরের যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে তখন রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া রাস্তা পারাপার সম্ভব হবে না।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম ভূইয়া জানান, ঈদ যাত্রা নির্বিঘে করতে জনসাধারণের জন্য রাস্তার মাঝ খানে ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে মানুষ সরাসরি পারাপার না হতে পারে। পাবলিক পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রস রাখা হইছে এক দুই মিনিট পর পর আমাদের ডিউটিরত পুলিশ মানুষ পারাপারের জন্য সহযোগিতা করবে যাতে যানবাহনের গতি কমে না যায়।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় যত্রতত্র পারাপার এবং দুর্ঘটনা রোধে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজের দরকার। কিন্তু সাসেক প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এখন এটার নির্মাণ দায়িত্ব তাদের কাছে।
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) : ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
উত্তরবঙ্গ ২৪টি জেলার প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড। এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীরা মহাসড়ক পারাপার হচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কারণে মাঝে মধ্যে যানবাহনের যানযট সৃষ্টি হয়। দ্রুত একটি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণের দাবি করেন যাতায়াতকারীরা।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অফিস সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৩ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের উত্তরপাশে ২ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় একটি ফুট ওভারব্রিজ। যার উচ্চতা ৫.৩৫ মিটার, দৈর্ঘ্য ২৪.৫০ মিটার। পরবর্তীতে এ মহাসড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য ব্রিজটি ভেঙে ফেলেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে জীবনের মায়া তুচ্ছ করে পায়ে হেঁটে মহাসড়ক পার হচ্ছেন পথচারীরা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় চলাচল করা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। দ্রুতগতির যানবাহন এড়িয়ে বয়স্ক ও শিশুদের পারাপার হওয়া খুবই কষ্টকর। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে রয়েছে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, একটি মহিলা ডিগ্রি কলেজ, দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বিমা শাখা, শত বছরের পুরানো হাটবাজারসহ বহু ব্যবসায় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া মধ্যবর্তী স্থান হওয়ায় এখানে গড়ে উঠেছে ভাড়াটিয়া বাসাবাড়ি। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মহাসড়ক দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।
এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের বল্লা রোড এর স্থানীয় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, এক সময় বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। এলাকার মানুষ এবং দূরের যাতায়াতকারীরা ঝুঁকিহীন পারাপার হতেন। কিন্তু ওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমি বাসস্ট্যান্ডে ব্যবসা করার কারণে রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে সারাদিনে কমপক্ষে দুই থেকে তিন বার রাস্তা পারাপার হতে হয়। কখনো কখনো দৌড়ে রাস্তা পার হতে হয়। আবার কখনো রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তা পার হতে হচ্ছে।
বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশ থেকে বাজার করে আসা স্থানীয় নুরুজ্জামান বলেন, কিছু দিন আগে এখানে ওভার ব্রিজ ছিল তখন মানুষের এতটা ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়নি। আপনি দেখলেন রাস্তার এই পাশ থেকে ঔপাশ মানুষ কিভাবে দৌড়ে পার হচ্ছে। তাই আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের অবগত করছি তাদের মাধ্যমে যেন অতি দ্রুত এলেঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রীজ নির্মাণ করেন।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা, হাসমত আলী এ বিষয়ে জানান, আপনারা জানেন বিগত দিন আগে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ ছিল। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড একটি জনবহুল এলাকা এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সারাক্ষণ জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। আর কয়েকদিন পরেই ঈদুল ফিতরের যানবাহনের চাপ বেড়ে যাবে তখন রাস্তায় ডিউটিরত পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া রাস্তা পারাপার সম্ভব হবে না।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম ভূইয়া জানান, ঈদ যাত্রা নির্বিঘে করতে জনসাধারণের জন্য রাস্তার মাঝ খানে ডিভাইডার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে মানুষ সরাসরি পারাপার না হতে পারে। পাবলিক পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রস রাখা হইছে এক দুই মিনিট পর পর আমাদের ডিউটিরত পুলিশ মানুষ পারাপারের জন্য সহযোগিতা করবে যাতে যানবাহনের গতি কমে না যায়।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. সিনথিয়া আজমিরী খান বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় যত্রতত্র পারাপার এবং দুর্ঘটনা রোধে এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজের দরকার। কিন্তু সাসেক প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এখন এটার নির্মাণ দায়িত্ব তাদের কাছে।