পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে যেন সূর্যমুখীর সূর্য্যরে হাসি বিরাজ করছে। উপজেলায় তৈল বীজ হিসাবে ব্যাপক হারে অধিক পরিমান জমিতে সূর্য্যমুখী চাষ করায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এলাকার কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। আবাদ দেখে মনে হয় এমন পরিশ্রমী কৃষকদের জন্যই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিপ্লবের পাশাপাশি কৃষকরা নতুন করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
উপজেলার সংকল্পিত কৃষকরা উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া, মধ্য বাঁশবাড়িয়া, গছানী, ঢনঢনিয়া, চরহোসনাবাদ, নেহালগঞ্জ, আদমপুর, বহরমপুর, বগুড়া, দশমিনা, হাজিকান্দা, গোলখালী, আরজবেগী, সৈয়দজাফর, লক্ষীপুর, নিজাবাদ-গোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, জাফরাবাদ, মাছুয়াখালী, আলীপুর, যৌতা, খলিশাখালী, চাঁদপুরা, রণগোপালদী, আউনিয়াপুর, গুলি, চরঘুনি, চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদি গ্রামে এই বছর বাড়তি লাভের আশায় সূর্য্যমুখী আবাদ করছে।
উপজেলার চরহাদীর কৃষক জামাল গাজী জানান, গত বছরের চেয়ে এই বছর বেশি জমিতে সূর্য্যমুখীর আবাদ করছি। ব্লক পদ্ধতিতে কৃষক প্রায় ৩০ একর জমির চাষাবাদ সম্পন্ন করেছে। আশানুরূপ ফলন পাবে বলে আশা করছে। উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের মাঠ জুড়ে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। আর এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে। উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ। চলতি রবি মেীসুসে উপজেলায় ১৭ শত হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ করা হয়। কম সময় আর স্বল্প খরচে ভালো লাভ পাওয়ায় চাষীরাও বেশ খুশি। সূর্যমুখীর নজরকাড়া সৌন্দর্য পুলকিত করে যে কাউকেই। সেই সাথে তেল হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুন সম্পন্ন। আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় এই ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই কারণে উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক চাষী এই ফুল চাষ করেছেন। দিগন্ত বির্স্তীন মাঠ জুড়ে দাড়িয়ে আছে সূর্য্যের দিকে তাকিয়ে থাকা সূর্যমুখী ফুল আর ফুল।
উপজেলার কৃষকরা বলেন, সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। সামান্য রাসায়নিক সার আর দুইবার সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৮৪ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তোলা যায় ফসল। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচ আর অধিক লাভ হওয়ায় এই ফুল চাষ করছেন অনেকেই। আগামীতে চাষের আগ্রহও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের মো. মোহাম্মাদ হোসেন জানান, আমন ধান আবাদের পরে সূর্যমূখীর চাষ করেছি। আর হয়েছেও ভালো ফলন।
এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ জানান, ধান চাষের পরে জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে চাষাবাদ হচ্ছে সূর্যমুখী। তিনি আরও বলেন, তেল জাতীয় অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী বীজে তেলের পরিমানও বেশি থাকে। নজরকাড়া সৌন্দর্য, সেই সাথে তেল হিসেবেও সূর্যমূখীর ব্যবহার রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো.জাফর আহম্মেদ আরও বলেন, এই বছর কৃষকরা বীজ সংরক্ষন ও তৈল তৈরি করতে জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী সূর্য্যমুখীর আবাদ করেছে। আশানুরূপ ফলন পেতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছি। কৃষকদেরকে ফসলের যত্ন নেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নসহ চরাঞ্চলে বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে যেন সূর্যমুখীর সূর্য্যরে হাসি বিরাজ করছে। উপজেলায় তৈল বীজ হিসাবে ব্যাপক হারে অধিক পরিমান জমিতে সূর্য্যমুখী চাষ করায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এলাকার কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। আবাদ দেখে মনে হয় এমন পরিশ্রমী কৃষকদের জন্যই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিপ্লবের পাশাপাশি কৃষকরা নতুন করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
উপজেলার সংকল্পিত কৃষকরা উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া, মধ্য বাঁশবাড়িয়া, গছানী, ঢনঢনিয়া, চরহোসনাবাদ, নেহালগঞ্জ, আদমপুর, বহরমপুর, বগুড়া, দশমিনা, হাজিকান্দা, গোলখালী, আরজবেগী, সৈয়দজাফর, লক্ষীপুর, নিজাবাদ-গোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, জাফরাবাদ, মাছুয়াখালী, আলীপুর, যৌতা, খলিশাখালী, চাঁদপুরা, রণগোপালদী, আউনিয়াপুর, গুলি, চরঘুনি, চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদি গ্রামে এই বছর বাড়তি লাভের আশায় সূর্য্যমুখী আবাদ করছে।
উপজেলার চরহাদীর কৃষক জামাল গাজী জানান, গত বছরের চেয়ে এই বছর বেশি জমিতে সূর্য্যমুখীর আবাদ করছি। ব্লক পদ্ধতিতে কৃষক প্রায় ৩০ একর জমির চাষাবাদ সম্পন্ন করেছে। আশানুরূপ ফলন পাবে বলে আশা করছে। উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের মাঠ জুড়ে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। আর এমন দৃশ্যের দেখা মিলছে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে। উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখীর চাষ। চলতি রবি মেীসুসে উপজেলায় ১৭ শত হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষাবাদ করা হয়। কম সময় আর স্বল্প খরচে ভালো লাভ পাওয়ায় চাষীরাও বেশ খুশি। সূর্যমুখীর নজরকাড়া সৌন্দর্য পুলকিত করে যে কাউকেই। সেই সাথে তেল হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে সয়াবিনের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল বেশি পুষ্টিগুন সম্পন্ন। আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় এই ফুলের চাহিদা বেড়েই চলেছে। এই কারণে উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক চাষী এই ফুল চাষ করেছেন। দিগন্ত বির্স্তীন মাঠ জুড়ে দাড়িয়ে আছে সূর্য্যের দিকে তাকিয়ে থাকা সূর্যমুখী ফুল আর ফুল।
উপজেলার কৃষকরা বলেন, সূর্যমুখী চাষ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। সামান্য রাসায়নিক সার আর দুইবার সেচ দিতে হয়। নভেম্বরে বীজ বপনের পর ৮৪ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তোলা যায় ফসল। অন্য ফসলের চেয়ে কম খরচ আর অধিক লাভ হওয়ায় এই ফুল চাষ করছেন অনেকেই। আগামীতে চাষের আগ্রহও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। উপজেলার বাশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের মো. মোহাম্মাদ হোসেন জানান, আমন ধান আবাদের পরে সূর্যমূখীর চাষ করেছি। আর হয়েছেও ভালো ফলন।
এই ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ জানান, ধান চাষের পরে জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে চাষাবাদ হচ্ছে সূর্যমুখী। তিনি আরও বলেন, তেল জাতীয় অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী বীজে তেলের পরিমানও বেশি থাকে। নজরকাড়া সৌন্দর্য, সেই সাথে তেল হিসেবেও সূর্যমূখীর ব্যবহার রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মো.জাফর আহম্মেদ আরও বলেন, এই বছর কৃষকরা বীজ সংরক্ষন ও তৈল তৈরি করতে জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী সূর্য্যমুখীর আবাদ করেছে। আশানুরূপ ফলন পেতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছি। কৃষকদেরকে ফসলের যত্ন নেয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।