কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস দেড়মাস ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান বিরোধী বিএনপির একটি পক্ষ জোরপূর্বক তার পদ থেকে অপসারণ করে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসুযোগে বিএনপির একটি পক্ষ পরিষদের কার্যক্রমে প্রভাব খাটিয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এতে চেয়ারম্যানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। গেল বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হওয়ার পরও চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বহাল তবিয়াতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পক্ষের বিএনপির অপর পক্ষ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের তালা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এরপর থেকে চেয়ারম্যান বিরোধী বিএনপির নেতাদের অব্যাহত হুমকিতে আত্নগোপণে চলে যান চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। ওই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণকে সেবা নিতে ভিড় করতে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদে।
এব্যাপারে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত প্রার্থী বিএনপি নেতা আকরাম হোসেন ও তার বাহিনীর হুমকিতে নিজেকে কোনোভাবেই নিরাপদ মনে করছেন না। তিনি নিরাপত্তা পেলে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অমান্য করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন ও তার বাহিনীর লোকজন পরিষদের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।বৃহস্পতিবার পরিষদের সচিব অপূর্ব কুমার পালকে হুমকি দিয়ে ২২৫৩টি ভিজিএফ কার্ডের মধ্যে জোর করে ১১৫০ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করে তাদের মাঝে চাল বিতরণের নামে আত্নসাত করে। ফলে প্রকৃত দুঃস্থরা বঞ্চিত হয়।
এবিষয়ে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে তালা দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি ভিজিএফ এর চাল বিতরণে তার কোন হাত নেই।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তালা লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান অভিযোগ করলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস দেড়মাস ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান বিরোধী বিএনপির একটি পক্ষ জোরপূর্বক তার পদ থেকে অপসারণ করে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসুযোগে বিএনপির একটি পক্ষ পরিষদের কার্যক্রমে প্রভাব খাটিয়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এতে চেয়ারম্যানের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। গেল বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হওয়ার পরও চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বহাল তবিয়াতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এসময় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পক্ষের বিএনপির অপর পক্ষ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের তালা খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
এরপর থেকে চেয়ারম্যান বিরোধী বিএনপির নেতাদের অব্যাহত হুমকিতে আত্নগোপণে চলে যান চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত। ওই ইউনিয়নের সাধারণ জনগণকে সেবা নিতে ভিড় করতে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদে।
এব্যাপারে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, গত ইউপি নির্বাচনে তার কাছে পরাজিত প্রার্থী বিএনপি নেতা আকরাম হোসেন ও তার বাহিনীর হুমকিতে নিজেকে কোনোভাবেই নিরাপদ মনে করছেন না। তিনি নিরাপত্তা পেলে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা অমান্য করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন ও তার বাহিনীর লোকজন পরিষদের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে।বৃহস্পতিবার পরিষদের সচিব অপূর্ব কুমার পালকে হুমকি দিয়ে ২২৫৩টি ভিজিএফ কার্ডের মধ্যে জোর করে ১১৫০ জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করে তাদের মাঝে চাল বিতরণের নামে আত্নসাত করে। ফলে প্রকৃত দুঃস্থরা বঞ্চিত হয়।
এবিষয়ে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে তালা দেয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি ভিজিএফ এর চাল বিতরণে তার কোন হাত নেই।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে তালা লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশ ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান অভিযোগ করলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।