গোয়ালন্দ (রাজবাড়ি) : গরম উপেক্ষা করেই নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ -সংবাদ
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। শুক্রবার ৮টার পর থেকে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এবারের ঘরে ফেরা মানুষ ভোগান্তি নেই তেমন, তবে এবার ঈদযাত্রায় প্রচ- গরমে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
সরজমিনে শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেল পার হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া সময় যত বাড়ছে ততই ঘরমু?খো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়?তে শুরু করেছে দৌলত?দিয়া ঘাটে। তবে আগের মত আর মহাসড়কের যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি যাত্রী ও যানবাহ চালকদের। সড়কের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছেন। পদ্মাসেতু দিয়ে অধিকাংশ যানবাহন পারাপার হওয়ায় এ রুট দুর্ভোগ কমেছে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের।
অন্যদিকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে আসা প্রতিটি লঞ্চেই দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। এসব যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে বাস টার্মিনালে এসে বাস, মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রযোগে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা গেছে। ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে এই পথে পাঁচ ছয় ঘণ্টা থেকে শুরু করে একদিনও অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠতে পারেননি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ভোগ কমেছে। এবার ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি ছাড়া তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন। দুর্ভোগ ছাড়া বাড়ি যাওয়াটা তাদের কাছে অনেক আনন্দের বলে জানান তারা।
লঞ্চ পার হওয়া যাত্রী কুষ্টিয়াগামী এক যাত্রী বলেন, সাভার থেকে কাটা গাড়িতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসেছি। আমি পরিবার নিয়ে লঞ্চ পার হয়ে দৌলতদিয়া এসেছি তবে লঞ্চে অতিরিক্ত থাকায় পুরো লঞ্চে পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে এসেছি খুবই কষ্ট করে বলেন যাত্রীরা।
সরজমিনে শুক্রবার (২৮ র্মাচ) সকালে ফেরিঘাট গিয়ে দেখা গেছে ৭টি ঘাটের মধ্যে ৪টি ঘাট র্দীঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে বর্তমানে ৩, ৪ ও ৭ এই তিনটি চালু আছে। এদিকে এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। সেই সঙ্গে ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে তিন দিন ও পরের তিন দিন সর্বমোট সাতদিন ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের চাপ বাড়বে ঈদের পর ছুটি শেষে ঢাকামুখির সময়, তবে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহনগুলো নদী পার হতে পারছে। ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে। তবে আশা করি এবার ঈদে যানজট মুক্ত যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষ বাড়িতে পৌঁছাতে পারবে। বর্তমান তিনটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বলেন।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ি) : গরম উপেক্ষা করেই নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ -সংবাদ
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তীব্র গরম উপেক্ষা করেই নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। শুক্রবার ৮টার পর থেকে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এবারের ঘরে ফেরা মানুষ ভোগান্তি নেই তেমন, তবে এবার ঈদযাত্রায় প্রচ- গরমে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
সরজমিনে শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিগুলোতে সাধারণ যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেল পার হচ্ছে বেশি। এ ছাড়া সময় যত বাড়ছে ততই ঘরমু?খো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়?তে শুরু করেছে দৌলত?দিয়া ঘাটে। তবে আগের মত আর মহাসড়কের যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি যাত্রী ও যানবাহ চালকদের। সড়কের বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছেন। পদ্মাসেতু দিয়ে অধিকাংশ যানবাহন পারাপার হওয়ায় এ রুট দুর্ভোগ কমেছে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের।
অন্যদিকে পদ্মা পাড়ি দিয়ে আসা প্রতিটি লঞ্চেই দেখা গেছে যাত্রীদের ভিড়। এসব যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে বাস টার্মিনালে এসে বাস, মাইক্রোবাস, মাহিন্দ্রযোগে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে দেখা গেছে। ঘরমুখো যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে এই পথে পাঁচ ছয় ঘণ্টা থেকে শুরু করে একদিনও অপেক্ষা করে ফেরিতে উঠতে পারেননি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ভোগ কমেছে। এবার ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি ছাড়া তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন। দুর্ভোগ ছাড়া বাড়ি যাওয়াটা তাদের কাছে অনেক আনন্দের বলে জানান তারা।
লঞ্চ পার হওয়া যাত্রী কুষ্টিয়াগামী এক যাত্রী বলেন, সাভার থেকে কাটা গাড়িতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসেছি। আমি পরিবার নিয়ে লঞ্চ পার হয়ে দৌলতদিয়া এসেছি তবে লঞ্চে অতিরিক্ত থাকায় পুরো লঞ্চে পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে এসেছি খুবই কষ্ট করে বলেন যাত্রীরা।
সরজমিনে শুক্রবার (২৮ র্মাচ) সকালে ফেরিঘাট গিয়ে দেখা গেছে ৭টি ঘাটের মধ্যে ৪টি ঘাট র্দীঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে বর্তমানে ৩, ৪ ও ৭ এই তিনটি চালু আছে। এদিকে এবারের ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি ও ৩৩টি লঞ্চ চলাচল করছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে। সেই সঙ্গে ঘাটকে যানজট মুক্ত রাখতে ঈদের আগে তিন দিন ও পরের তিন দিন সর্বমোট সাতদিন ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের চাপ বাড়বে ঈদের পর ছুটি শেষে ঢাকামুখির সময়, তবে ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহনগুলো নদী পার হতে পারছে। ছোট বড় মিলে ১৭টি ফেরি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করছে। তবে আশা করি এবার ঈদে যানজট মুক্ত যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষ বাড়িতে পৌঁছাতে পারবে। বর্তমান তিনটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বলেন।