ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথ
পটুয়াখালী : নৌ বন্দরের যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী -সংবাদ
ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ-রুটে লঞ্চ যাত্রী চরম সংকটাবস্থা বিরাজ করছে। পটুয়াখালী জেলার ৬ নৌপথে প্রতিদিন ২২টি লঞ্চের রুট পারমিট থাকলেও বর্তমানে চলাচল করছে মাত্র ৪টি লঞ্চ। তবে এবারের ঈদে যাত্রীদের চাপ বাড়ায় কথা চিন্তা করে এসব রুটে বিশেষ সার্ভিস চালুর কথা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এই নৌপথে বিশেষ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী নদী বন্দর সূত্র জানায়, ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে ১০টি লঞ্চের রুট পারমিট রয়েছে। এই ১০টির মধ্যে প্রতিদিন ৫টি করে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ও পটুয়াখালী থেকে ঢাকা নৌপথে চলাচলের কথা থাকলেও যাত্রীর চাপ কম থাকায় দৈনিক মাত্র একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। একইভাবে ঢাকা-কলাপাড়া ও ঢাকা-চরমোন্তাজ রুটে ৩টির স্থলে একটি করে, ঢাকা-কালাইয়া রুটে ৪টির স্থলে একটি লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঢাকা-গলাচিপা রুটে ৪টি ও ঢাকা-রাঙ্গাবালী রুটে ৩টি লঞ্চের রুট পারমিট থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে এ রুট দুটিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে যাত্রীর চাপ থাকলে এসব রুটেও ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ চালু হবে বলে জানা যায়। পদ্মা সেতু চালুর আগে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত কয়েক লাখ মানু নৌপথে লঞ্চে চলাচল করতো। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চগুলো যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে। এতে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মো, ইউনুচ মিয়া জানায়, এক সময় পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথ সহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ নৌপথে সাচ্ছন্দে চলাচল করতো। প্রচুর যাত্রী থাকার কারণে লঞ্চ মালিকরাও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত লঞ্চগুলো যাত্রী সেবার জন্য এই নৌপথে নামিয়েছিল। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যাত্রী সংকটে পরেছে। লোকসানের মুখে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক লঞ্চ মালিক জানায়, যাত্রী সংকটের কারণে লোকসান গুনতে হয় তাদের। এই অবস্থায় লঞ্চ মালিকরা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ চালানো শুরু করেন। তবে শুধু ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে এবং যাত্রীর উপস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
পটুয়াখালী নদীবন্দরের বিএস কর্মকর্তা অমল চন্দ্র মিত্র জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে মোট পাচটি লঞ্চ স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালী নদীবন্দর টার্মিনালে আসে। এর মধ্যে আওলাদ-৭, পূবালী-২, সুন্দরবন-১৪ও প্রিন্স কামাল-১ লঞ্চ গুলো যাত্রী বিহীন অবস্থায় আবার ঢাকার উদ্যোশে পটুয়াখালী টার্মিনাল ত্যাগ করে। অপর আশা যাওয়া-২ লঞ্চটি পটুয়াখালী থেকে যাত্রী পরিবহন করে ঢাকার উদ্দ্যেশে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. জাকী শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতুর চালুর পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। এখনও যাত্রীর পরিবহনের চাপ বাড়েনি। তবে যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথ
পটুয়াখালী : নৌ বন্দরের যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী -সংবাদ
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ-রুটে লঞ্চ যাত্রী চরম সংকটাবস্থা বিরাজ করছে। পটুয়াখালী জেলার ৬ নৌপথে প্রতিদিন ২২টি লঞ্চের রুট পারমিট থাকলেও বর্তমানে চলাচল করছে মাত্র ৪টি লঞ্চ। তবে এবারের ঈদে যাত্রীদের চাপ বাড়ায় কথা চিন্তা করে এসব রুটে বিশেষ সার্ভিস চালুর কথা রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে এই নৌপথে বিশেষ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পটুয়াখালী নদী বন্দর সূত্র জানায়, ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে ১০টি লঞ্চের রুট পারমিট রয়েছে। এই ১০টির মধ্যে প্রতিদিন ৫টি করে ঢাকা থেকে পটুয়াখালী ও পটুয়াখালী থেকে ঢাকা নৌপথে চলাচলের কথা থাকলেও যাত্রীর চাপ কম থাকায় দৈনিক মাত্র একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। একইভাবে ঢাকা-কলাপাড়া ও ঢাকা-চরমোন্তাজ রুটে ৩টির স্থলে একটি করে, ঢাকা-কালাইয়া রুটে ৪টির স্থলে একটি লঞ্চ চলাচল করে। তবে ঢাকা-গলাচিপা রুটে ৪টি ও ঢাকা-রাঙ্গাবালী রুটে ৩টি লঞ্চের রুট পারমিট থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে এ রুট দুটিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে যাত্রীর চাপ থাকলে এসব রুটেও ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ চালু হবে বলে জানা যায়। পদ্মা সেতু চালুর আগে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত কয়েক লাখ মানু নৌপথে লঞ্চে চলাচল করতো। ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চগুলো যাত্রী সংঙ্কটে পড়ে। এতে পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের অনেক রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুপারভাইজার মো, ইউনুচ মিয়া জানায়, এক সময় পটুয়াখালী-ঢাকা নৌপথ সহ দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ নৌপথে সাচ্ছন্দে চলাচল করতো। প্রচুর যাত্রী থাকার কারণে লঞ্চ মালিকরাও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত লঞ্চগুলো যাত্রী সেবার জন্য এই নৌপথে নামিয়েছিল। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই যাত্রী সংকটে পরেছে। লোকসানের মুখে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক লঞ্চ মালিক জানায়, যাত্রী সংকটের কারণে লোকসান গুনতে হয় তাদের। এই অবস্থায় লঞ্চ মালিকরা পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন একটি করে লঞ্চ চালানো শুরু করেন। তবে শুধু ঈদ উপলক্ষে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হবে এবং যাত্রীর উপস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
পটুয়াখালী নদীবন্দরের বিএস কর্মকর্তা অমল চন্দ্র মিত্র জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে মোট পাচটি লঞ্চ স্বল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পটুয়াখালী নদীবন্দর টার্মিনালে আসে। এর মধ্যে আওলাদ-৭, পূবালী-২, সুন্দরবন-১৪ও প্রিন্স কামাল-১ লঞ্চ গুলো যাত্রী বিহীন অবস্থায় আবার ঢাকার উদ্যোশে পটুয়াখালী টার্মিনাল ত্যাগ করে। অপর আশা যাওয়া-২ লঞ্চটি পটুয়াখালী থেকে যাত্রী পরিবহন করে ঢাকার উদ্দ্যেশে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. জাকী শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতুর চালুর পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ যাত্রীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে। এখনও যাত্রীর পরিবহনের চাপ বাড়েনি। তবে যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।