হাটবাজারে খিরা ও শসার দাম পড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার লোকসানের শিকার কৃষকরা। লাভ তো দুরের কথা তুলতে পারছেন না উৎপাদন খরচ টুকুও।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা পৌর এলাকাসহ সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৩৮ হেক্টর জমিতে শসা এবং ২০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে শসা ৪৫৬ মেট্রিক টন এবং খিরা ২৬০ মেট্রিক টন।
শনিবার ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে শসা ও খিরা প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ৮ থেকে ১০ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বেচাবিক্রি হয়েছে।
খুচরা বাজারে শসা ও খিরা কিনতে আসা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক এতহেসাম আহম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে রমজান মাস আসার সাথে সাথেই সবজি বাজারের প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কমে আসায় সব ধরণের ক্রেতারা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন।
খুচরা সবজি বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, পাইকারি বাজারে শসা ও খিরার দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও দাম কমে এসেছে।
পাইকারি সবজি বিক্রেতা জয়ন্ত সাহা ও আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শসা ও শিরার পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও উপজেলার থেকে প্রচুর পরিমাণে শসা ও খিরা আমদানি হওয়ায় দাম কমে এসেছে।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়ারপাড়া গ্রামের শসা ও খিরা চাষি রেবতি মোহন বলেন, ১৫ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। এতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। বর্তমানে খিরা উঠতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পার্শ্ববর্তী মাদিলাহাটে ৯ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি খিরা বিক্রি করেছেন ৪৫ টাকায়। তবে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না আসলে ১৮ থেকে ২০ মণ খিরা উৎপাদন হবে এমন টাই আশা করছেন এই কৃষক। খিরার দাম না বাড়লে উৎপাদন খরচ উঠবে না, এতে লোকসান গুণতে হবে।
উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের খড়মপুর গ্রামের শসা চাষি নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় প্রায় ২০ হাজার টাকা। প্রথম দিকে উৎপাদিত শসার দাম ভালো পাওয়া গেছে। কিন্তু কিছুদিন থেকে দাম কমে এসেছে। এতে আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পূর্বের পাওয়া দাম ও বর্তমানের দামের সাথে মিল করলে লাভ তেমন না হলেও লোকসান হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, উপজেলার কৃষকদেরকে অন্যান্য ফসলের সাথে সবজি চাষে উৎপাহিত করা হচ্ছে। এ বছর গড়ে সব ফসল ও শাক-সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে আগাম জাতের শাক-সবজি যারা চাষ করেছেন তারা ভালো দাম পেয়েছেন।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
হাটবাজারে খিরা ও শসার দাম পড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার লোকসানের শিকার কৃষকরা। লাভ তো দুরের কথা তুলতে পারছেন না উৎপাদন খরচ টুকুও।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা পৌর এলাকাসহ সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৩৮ হেক্টর জমিতে শসা এবং ২০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে শসা ৪৫৬ মেট্রিক টন এবং খিরা ২৬০ মেট্রিক টন।
শনিবার ফুলবাড়ী পৌর সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে শসা ও খিরা প্রতিকেজি প্রকার ভেদে ৮ থেকে ১০ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ১২ থেকে ১৫ টাকা দরে বেচাবিক্রি হয়েছে।
খুচরা বাজারে শসা ও খিরা কিনতে আসা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক এতহেসাম আহম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে রমজান মাস আসার সাথে সাথেই সবজি বাজারের প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কমে আসায় সব ধরণের ক্রেতারা স্বস্তিতে কেনাকাটা করতে পারছেন।
খুচরা সবজি বিক্রেতা হারুন উর রশীদ বলেন, পাইকারি বাজারে শসা ও খিরার দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও দাম কমে এসেছে।
পাইকারি সবজি বিক্রেতা জয়ন্ত সাহা ও আলমগীর হোসেন বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শসা ও শিরার পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও উপজেলার থেকে প্রচুর পরিমাণে শসা ও খিরা আমদানি হওয়ায় দাম কমে এসেছে।
উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়ারপাড়া গ্রামের শসা ও খিরা চাষি রেবতি মোহন বলেন, ১৫ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেছেন। এতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার টাকা। বর্তমানে খিরা উঠতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) পার্শ্ববর্তী মাদিলাহাটে ৯ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি খিরা বিক্রি করেছেন ৪৫ টাকায়। তবে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না আসলে ১৮ থেকে ২০ মণ খিরা উৎপাদন হবে এমন টাই আশা করছেন এই কৃষক। খিরার দাম না বাড়লে উৎপাদন খরচ উঠবে না, এতে লোকসান গুণতে হবে।
উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের খড়মপুর গ্রামের শসা চাষি নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় প্রায় ২০ হাজার টাকা। প্রথম দিকে উৎপাদিত শসার দাম ভালো পাওয়া গেছে। কিন্তু কিছুদিন থেকে দাম কমে এসেছে। এতে আশানুরূপ দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তবে পূর্বের পাওয়া দাম ও বর্তমানের দামের সাথে মিল করলে লাভ তেমন না হলেও লোকসান হবে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, উপজেলার কৃষকদেরকে অন্যান্য ফসলের সাথে সবজি চাষে উৎপাহিত করা হচ্ছে। এ বছর গড়ে সব ফসল ও শাক-সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে আগাম জাতের শাক-সবজি যারা চাষ করেছেন তারা ভালো দাম পেয়েছেন।