চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ সন্তানের জননী রুলিয়ারা বেগমকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার পর লাশ আমগাছে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার গৃহবধূ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় গ্রামের শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। পুলিশ ঝুঁলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। ঘাতক স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুত্রবার রাতে রুলিয়ারার স্বামী শরিফুল ইসলাম ঢাকা থেকে বাড়ি এসে ঈদ উপলক্ষে ক্রয় করা সামগ্রী তার দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমের নিকট রেখে মাত্র দুটি আপেল নিয়ে প্রথম স্ত্রী রুলিয়ারা বেগমের সাথে দেখা করতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শরিফুল, তার ছোট স্ত্রী খীর্ষা বেগম ও শরিফুলের ভাই রাজ্জাক রুলিয়ারা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ি পেছনে আমগাছ ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে দেয়। রুলিয়ারা বেগমের ছেলে রাহিম, মেয়ে সোনিয়া খাতুন ও রোকিয়া খাতুন বলেন, তার পিতা শরিফুল ইসলাম, সৎ মা খীর্ষা বেগম ও চাচা রাজ্জাকসহ আরো কয়েকজন আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে গোরস্তান এলাকায় আমগাছে ঝুঁলিয়ে দিয়েছে। তারা আরো বলেন, এর আগে শরিফুল তার মাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। রাহিম বলেন, আমি আমার মাকে খোঁজাখুঁজির সময় আমার পিতা বলেন, বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখ, পেতে পারিস। একই কথা বলেন রুলিয়ারা বেগমের জামাই সামায়ুন হোসেন। আমরা এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মফিজুল হক বলেন, ওই পরিবারে শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সংসারে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকতো। শুনেছি রুলিয়ারা বেগমকে হত্যা করেছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এস এম শাকিল হাসান জানান, লাশ ঝুঁলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমকে আটক করা হয়েছে। রুলিয়ারা বেগমের আত্মীয়রা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে পাঁচ সন্তানের জননী রুলিয়ারা বেগমকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার পর লাশ আমগাছে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার গৃহবধূ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর-সাহাপড়া নুরেশ মোড় গ্রামের শরিফুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী। পুলিশ ঝুঁলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে। ঘাতক স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুত্রবার রাতে রুলিয়ারার স্বামী শরিফুল ইসলাম ঢাকা থেকে বাড়ি এসে ঈদ উপলক্ষে ক্রয় করা সামগ্রী তার দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমের নিকট রেখে মাত্র দুটি আপেল নিয়ে প্রথম স্ত্রী রুলিয়ারা বেগমের সাথে দেখা করতে গেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শরিফুল, তার ছোট স্ত্রী খীর্ষা বেগম ও শরিফুলের ভাই রাজ্জাক রুলিয়ারা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ি পেছনে আমগাছ ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে দেয়। রুলিয়ারা বেগমের ছেলে রাহিম, মেয়ে সোনিয়া খাতুন ও রোকিয়া খাতুন বলেন, তার পিতা শরিফুল ইসলাম, সৎ মা খীর্ষা বেগম ও চাচা রাজ্জাকসহ আরো কয়েকজন আমাদের মাকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে গোরস্তান এলাকায় আমগাছে ঝুঁলিয়ে দিয়েছে। তারা আরো বলেন, এর আগে শরিফুল তার মাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। রাহিম বলেন, আমি আমার মাকে খোঁজাখুঁজির সময় আমার পিতা বলেন, বাড়ির পেছনে গিয়ে দেখ, পেতে পারিস। একই কথা বলেন রুলিয়ারা বেগমের জামাই সামায়ুন হোসেন। আমরা এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মফিজুল হক বলেন, ওই পরিবারে শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করার পর সংসারে প্রায় ঝগড়া লেগেই থাকতো। শুনেছি রুলিয়ারা বেগমকে হত্যা করেছে। শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এস এম শাকিল হাসান জানান, লাশ ঝুঁলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও দ্বিতীয় স্ত্রী খীর্ষা বেগমকে আটক করা হয়েছে। রুলিয়ারা বেগমের আত্মীয়রা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।