সুজলা সুফলা আমাদের এই বাংলায় কৃষিই প্রধান অবলম্বন। কৃষিতেই আমাদের সবচেয়ে বেশী স্বনির্ভরতা। আর সেই কৃষিফলন যদি সুন্দরের পশরা নিয়ে আসে তাতে যেন আনন্দ আর ধরে না। অর্থকরি নান্দনিক সুন্দর ফসল সূর্যমুখী চাষে সফলতা পেেেয় দিনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে মীরসরাইয়ের কৃষকদের। এবার সূর্যমূখী চাষ করা ২০ জন কৃষকই সফল হয়েছেন তাদের ফলনে।
মীরসরাই উপজেলায় সূর্যমুখী তেল চাষের পরিধি ও বাড়ছে দিনে দিনে।
উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক মো. মহিউদ্দিন। সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া গ্রামের আমতলী এলাকায় ৩২ শতক জমিতে তিনি সূর্যমুখী তেলের চাষ করেছেন।
এরই মধ্যে গাছে ফুল ধরেছে। একেকটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের দিকে শোভা ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে এক অপরূপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশেপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্যপিপাসু লোকজন সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত দেখতে আসছেন। অনেকেই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলাজুড়ে প্রদর্শনী হিসেবে ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন প্রায় ২০ জন কৃষক। সরেজমিনে জানা গেছে, সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল, সকালে পূর্বদিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে তার দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছেন। সকল কৃষকই অন্ত:ত ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হচ্ছে খরচ পুষিয়ে।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের সূর্যমুখী চাষি মো. নুর উদ্দিন জানান, এ বছরও তিনি এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে তার। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন তিনি।
উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার কৃষক মহিউদ্দিন জানান, প্রথমবার তিনি সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। গত দুমাস আগে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে সূর্যমুখী বীজ সংগ্রহ করেন। চাষের জন্য পেয়েছেন সারও। এ ছাড়া তিনি নিজের জমিতে সরিষা, ধান, লাউ, ক্ষিরা, কুমড়া, তরই (ধুন্দল) চাষ করেছেন।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী তেলের চাষ হয়েছে। কৃষকদের বীজ থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। আগামীতে চাষের পরিধি বাড়তে পারে।’
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
সুজলা সুফলা আমাদের এই বাংলায় কৃষিই প্রধান অবলম্বন। কৃষিতেই আমাদের সবচেয়ে বেশী স্বনির্ভরতা। আর সেই কৃষিফলন যদি সুন্দরের পশরা নিয়ে আসে তাতে যেন আনন্দ আর ধরে না। অর্থকরি নান্দনিক সুন্দর ফসল সূর্যমুখী চাষে সফলতা পেেেয় দিনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে মীরসরাইয়ের কৃষকদের। এবার সূর্যমূখী চাষ করা ২০ জন কৃষকই সফল হয়েছেন তাদের ফলনে।
মীরসরাই উপজেলায় সূর্যমুখী তেল চাষের পরিধি ও বাড়ছে দিনে দিনে।
উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক মো. মহিউদ্দিন। সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া গ্রামের আমতলী এলাকায় ৩২ শতক জমিতে তিনি সূর্যমুখী তেলের চাষ করেছেন।
এরই মধ্যে গাছে ফুল ধরেছে। একেকটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের দিকে শোভা ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে এক অপরূপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশেপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্যপিপাসু লোকজন সূর্যমুখী ফুলের ক্ষেত দেখতে আসছেন। অনেকেই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলাজুড়ে প্রদর্শনী হিসেবে ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন প্রায় ২০ জন কৃষক। সরেজমিনে জানা গেছে, সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। সূর্যের দিকে মুখ করে আছে ফুল, সকালে পূর্বদিকে তাকিয়ে হাসলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আবর্তনে তার দিক পরিবর্তন হয়। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। এমন মনোরম দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছেন। সকল কৃষকই অন্ত:ত ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হচ্ছে খরচ পুষিয়ে।
উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের সূর্যমুখী চাষি মো. নুর উদ্দিন জানান, এ বছরও তিনি এক একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে তার। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করবেন তিনি।
উপজেলার দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনা এলাকার কৃষক মহিউদ্দিন জানান, প্রথমবার তিনি সূর্যমুখী চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। গত দুমাস আগে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে সূর্যমুখী বীজ সংগ্রহ করেন। চাষের জন্য পেয়েছেন সারও। এ ছাড়া তিনি নিজের জমিতে সরিষা, ধান, লাউ, ক্ষিরা, কুমড়া, তরই (ধুন্দল) চাষ করেছেন।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো উপজেলায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী তেলের চাষ হয়েছে। কৃষকদের বীজ থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। আগামীতে চাষের পরিধি বাড়তে পারে।’