ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক সরকারি টানা ছুটিতে বান্দরবানে হোটেল- মোটেল গুলোতে আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে।এরমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের প্রায় ৮০শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছে ভ্রমণ প্রত্যাশিরা। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন জেলা বান্দরবান।লম্বা সরকারী ছুটিতে যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দুর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভুমি বান্দরবান। বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য বিনোদনের জন্য রয়েছে নীলাচল,মেঘলা, প্রান্তিকলেক, নীলগীরী, নাফাখুম, রুমা রিঝুকঝনা, শৈলপ্রভাত, চিম্বুকসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ পর্যটন স্পট।এছাড়াও ভিন্ন ভাষাভাষী ১১টি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতি বান্দরবানের সৌন্দর্য্যে যোগ করেছে। সবুজ পাহাড়ের সাথে নীলাকাশের মিতালী,বন্য প্রানীদের উঁকিঝুকি এবং হাতের নাগালে মেঘ ছুঁয়ে দেখার অপূর্ব সুযোগও রয়েছে বান্দরবানে।
এদিকে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য রয়েছে।তবে ঈদুল ফিতরের ছুটিসহ সরকারী টানা ৯দিনের ছুটি রয়েছে।৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় টানা ৯দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে বান্দরবানের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের প্রায় ৮০শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছে ভ্রমণ প্রত্যাশিরা। ফলে এ মৌসুমে ভাল ব্যবসার প্রত্যাশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।তবে বান্দরবান সদরের ঠিক বিপরীত অবস্থা বিরাজ করছে পর্যটকদের আরেক পছন্দের স্থান থানচিতে। ভ্রমণে বিধিনিষেধ থাকায় পর্যটকশূন্য হয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন থানচির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।থানচিসহ বান্দরবানের আরও এক উপজেলা রুমা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।সেখানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অপরদিকে হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো.জাফর জানান,ঈদের টানা ছুটিতে তার হোটেলের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী দিনগুলোতে শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে যাবে। হোটেল হিল ভিউর ফ্রন্ট ডেক্স ম্যানেজার মো.তৌহিদ পারভেজ জানান,ঈদের ছুটিতে হোটেলের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে নিয়েছে ভ্রমণপ্রতাশিরা।
ঈদের যে কদিন সময় আছে এরমধ্যে বুকিংয়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।হোটেল হিল্টনের ম্যানেজার আক্কাস উদ্দিন সিদ্দিকি জানান,এরমধ্যে এপ্রিল প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুক হয়ে গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে পারে।বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ছুটির কারণে পর্যটকের ভালো সাড়া পাচ্ছেন। পর্যটকদের সার্বিক সেবা নিশ্চিত করতে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে বেশ পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করবে।
শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক সরকারি টানা ছুটিতে বান্দরবানে হোটেল- মোটেল গুলোতে আগাম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে।এরমধ্যে অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের প্রায় ৮০শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছে ভ্রমণ প্রত্যাশিরা। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন জেলা বান্দরবান।লম্বা সরকারী ছুটিতে যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দুর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভুমি বান্দরবান। বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য বিনোদনের জন্য রয়েছে নীলাচল,মেঘলা, প্রান্তিকলেক, নীলগীরী, নাফাখুম, রুমা রিঝুকঝনা, শৈলপ্রভাত, চিম্বুকসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ পর্যটন স্পট।এছাড়াও ভিন্ন ভাষাভাষী ১১টি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতি বান্দরবানের সৌন্দর্য্যে যোগ করেছে। সবুজ পাহাড়ের সাথে নীলাকাশের মিতালী,বন্য প্রানীদের উঁকিঝুকি এবং হাতের নাগালে মেঘ ছুঁয়ে দেখার অপূর্ব সুযোগও রয়েছে বান্দরবানে।
এদিকে জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য রয়েছে।তবে ঈদুল ফিতরের ছুটিসহ সরকারী টানা ৯দিনের ছুটি রয়েছে।৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি হওয়ায় টানা ৯দিন ছুটি ভোগ করবেন সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর ফলে বান্দরবানের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টের প্রায় ৮০শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে রেখেছে ভ্রমণ প্রত্যাশিরা। ফলে এ মৌসুমে ভাল ব্যবসার প্রত্যাশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।তবে বান্দরবান সদরের ঠিক বিপরীত অবস্থা বিরাজ করছে পর্যটকদের আরেক পছন্দের স্থান থানচিতে। ভ্রমণে বিধিনিষেধ থাকায় পর্যটকশূন্য হয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন থানচির পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।থানচিসহ বান্দরবানের আরও এক উপজেলা রুমা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।সেখানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
অপরদিকে হোটেল গার্ডেন সিটির মালিক মো.জাফর জানান,ঈদের টানা ছুটিতে তার হোটেলের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আগামী দিনগুলোতে শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে যাবে। হোটেল হিল ভিউর ফ্রন্ট ডেক্স ম্যানেজার মো.তৌহিদ পারভেজ জানান,ঈদের ছুটিতে হোটেলের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং নিয়ে নিয়েছে ভ্রমণপ্রতাশিরা।
ঈদের যে কদিন সময় আছে এরমধ্যে বুকিংয়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।হোটেল হিল্টনের ম্যানেজার আক্কাস উদ্দিন সিদ্দিকি জানান,এরমধ্যে এপ্রিল প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুক হয়ে গেছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে পারে।বান্দরবান হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টানা ছুটির কারণে পর্যটকের ভালো সাড়া পাচ্ছেন। পর্যটকদের সার্বিক সেবা নিশ্চিত করতে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে বেশ পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করবে।