জামালপুরে সরকারি পুকুর থেকে মাছ চুরি করায় এক বিএনপি নেতার নামে থানায় অভিযোগ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই ঘটনায় সেই নেতাকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা এস এম আপেল মাহমুদ জামালপুর শহরের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধক্ষ্য ও পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকার সাদেক মিয়ার সন্তান। ৫ আগস্টের পর থেকে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন তিনি। মাঝে মধ্যেই ওই কার্যালয়ে গিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার কথাও বলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এছাড়াও তিনি সকল ব্যানার ও পোস্টারে নিজেকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ জেলেসহ (মাঝি) ১০ থেকে ১২ জন নিয়ে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা পুকুর পাড়ে যান এবং মাছ ধরতে নিষেধ করেন। তখন ওই নেতা তাঁদের (কর্মকর্তা ও কর্মচারি) বিভিন্নভাবে শাসান। কোন উপায় না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল যায়। এর আগেই ওই নেতা মাছ ধরে নিয়ে যান। তিনি ওই কার্যালয়ের
কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘৩ মাস আগে আমরা পুকুরে নতুন করে মাছ ছেড়ে ছিলাম। মাছ তেমন একটা বড়ও হয়নি। হঠাৎ সকালে অফিস থেকে জানায়, পুকুরে আপেল নামের ওই ব্যক্তি জাল ফেলে মাছ ধরছেন। পরে আমার কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পুকুর পাড়ে যান। কিন্তু এর আগেই তাঁরা মাছ ধরে
নিয়েই যান। তখন পুকুর পাড়ে ওই নেতা ও তাঁর লোকজন ছিল। তখন ওই নেতা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকিও দেন। এর আগেও পুকুরে মাছ ছাড়ার ব্যাপারে তিনি এসেছিল। তখন তিনি বলেছেন, ১৪ বছর অমুকরা খাইছে। এখন তিনি পুকুরে মাছ ছাড়বেন। তখন আমি কোন অনুমতি দেইনি। সরকারি পুকুরে আমরা মাছ ছাড়বো বলে তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। এ ঘটনায় আমরা থানায় ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়াও বিষয়টি আমরা বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতাকেও জানিয়েছি। ওই নেতার বিষয়ে এর আগেও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের জানানো হয়েছিল।’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে এস.এম আপেল মাহমুদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা বক্তব্য থানায় গিয়ে নিয়ে আসেন।’
তবে অন্য সাংবাদিকদের এস.এম.আপেল মাহমুদ বলেন,‘ওই জায়গায় আমি মাছ ছাড়ছি। সরকারি পুকুরে আমি মাছ অবমুক্ত করছি। মাছ ধরা এবং ছাড়া নিয়েতো কোন সমস্যা নাই। আপনি (প্রতিবেদক) আমাকে ফোন করছেন কেনো? আপনি প্রতিবেদন লিখেন-গা। আপনাদের-তো বিরাট স্বাধীনতা দিয়ে ফেলা হয়েছে। স্বাধীনতা পাইছেন, আপনি (প্রতিবেদক) লিখেন-গা। তাঁর দলীয় পদের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি উত্তেজিত হয়ে যান এবং বলতে থাকেন, আপনি পদ দিয়ে কি করবেন।’
জামালপুর শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ মাসুদ মোবাইল বলেন, ‘আমরা আপাতত তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছি। আমরা দলীয় ভাবে বসে স্থায়ী অব্যাহতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মোঃ আতিক বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ডে মাছ চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’
সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
জামালপুরে সরকারি পুকুর থেকে মাছ চুরি করায় এক বিএনপি নেতার নামে থানায় অভিযোগ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই ঘটনায় সেই নেতাকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা এস এম আপেল মাহমুদ জামালপুর শহরের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কোষাধক্ষ্য ও পশ্চিম ফুলবাড়িয়া এলাকার সাদেক মিয়ার সন্তান। ৫ আগস্টের পর থেকে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন তিনি। মাঝে মধ্যেই ওই কার্যালয়ে গিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার কথাও বলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এছাড়াও তিনি সকল ব্যানার ও পোস্টারে নিজেকে সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেন।
শনিবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিএনপি নেতা আপেল মাহমুদ জেলেসহ (মাঝি) ১০ থেকে ১২ জন নিয়ে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা পুকুর পাড়ে যান এবং মাছ ধরতে নিষেধ করেন। তখন ওই নেতা তাঁদের (কর্মকর্তা ও কর্মচারি) বিভিন্নভাবে শাসান। কোন উপায় না পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল যায়। এর আগেই ওই নেতা মাছ ধরে নিয়ে যান। তিনি ওই কার্যালয়ের
কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান মোবাইল ফোনে বলেন, ‘৩ মাস আগে আমরা পুকুরে নতুন করে মাছ ছেড়ে ছিলাম। মাছ তেমন একটা বড়ও হয়নি। হঠাৎ সকালে অফিস থেকে জানায়, পুকুরে আপেল নামের ওই ব্যক্তি জাল ফেলে মাছ ধরছেন। পরে আমার কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন পুকুর পাড়ে যান। কিন্তু এর আগেই তাঁরা মাছ ধরে
নিয়েই যান। তখন পুকুর পাড়ে ওই নেতা ও তাঁর লোকজন ছিল। তখন ওই নেতা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হুমকিও দেন। এর আগেও পুকুরে মাছ ছাড়ার ব্যাপারে তিনি এসেছিল। তখন তিনি বলেছেন, ১৪ বছর অমুকরা খাইছে। এখন তিনি পুকুরে মাছ ছাড়বেন। তখন আমি কোন অনুমতি দেইনি। সরকারি পুকুরে আমরা মাছ ছাড়বো বলে তাঁকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। এ ঘটনায় আমরা থানায় ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়াও বিষয়টি আমরা বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতাকেও জানিয়েছি। ওই নেতার বিষয়ে এর আগেও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের জানানো হয়েছিল।’
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে এস.এম আপেল মাহমুদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা বক্তব্য থানায় গিয়ে নিয়ে আসেন।’
তবে অন্য সাংবাদিকদের এস.এম.আপেল মাহমুদ বলেন,‘ওই জায়গায় আমি মাছ ছাড়ছি। সরকারি পুকুরে আমি মাছ অবমুক্ত করছি। মাছ ধরা এবং ছাড়া নিয়েতো কোন সমস্যা নাই। আপনি (প্রতিবেদক) আমাকে ফোন করছেন কেনো? আপনি প্রতিবেদন লিখেন-গা। আপনাদের-তো বিরাট স্বাধীনতা দিয়ে ফেলা হয়েছে। স্বাধীনতা পাইছেন, আপনি (প্রতিবেদক) লিখেন-গা। তাঁর দলীয় পদের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি উত্তেজিত হয়ে যান এবং বলতে থাকেন, আপনি পদ দিয়ে কি করবেন।’
জামালপুর শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ মাসুদ মোবাইল বলেন, ‘আমরা আপাতত তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছি। আমরা দলীয় ভাবে বসে স্থায়ী অব্যাহতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।’
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মোঃ আতিক বলেন,‘পানি উন্নয়ন বোর্ডে মাছ চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’