alt

সারাদেশ

কেশবপুরে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, দিশেহারা খামারিরা

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর) : শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫

কেশবপুর (যশোর) : পশুর হাটেই চলছে গো-খাদ্য বেচাকেনা -সংবাদ

বন্যার কারণে কেশবপুরে কয়েক বছর ধরে আমন ধান উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য বিচলির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে গরুর অন্যান্য দানাদার সুষম খাদ্যের দামও। ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে বিচলি এনে যোগান দিলেও বর্তমান ৫০০ টাকায়ও মিলছে না এক পোন (আশি আটি) বিচলী। এতে দিশেহারা হয়ে অনেক খামারী লোকসান এড়াতে কম দামে গরু-ছাগল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, গেল আমন মওসুমে এ উপজেলায় ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আবাদ হয়েছিল ৯ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমি। গত সেপ্টেম্বরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলাব্যাপী ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়ে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০৫০ হেক্টর কম জমিতে বোরো আবাদ হয়। এখনও বোরো ধান উঠতে সময় লাগবে প্রায় দেড়মাস। এর ফলে গবাদি পশুর খাবার বিচলীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিচলীর অভাবে অনেক কৃষক গোখাদ্যের চাহিদা মেটাতে নদ-নদীর শেওলা কেটে গবাদী পশুকে খাওয়াচ্ছে।

কৃষক ও খামারিরা জানান, বোরো আবাদের শেষ মুহূর্তে কোনো কৃষক বা খামারির ঘরে গচ্ছিত বিচলী নেই। প্রায় চার মাস ধরে বিচলী কিনে গুরুকে খাওয়াতে হচ্ছে। অনেক কৃষক ও খামারি বিচলীর অভাবে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিচলীর ব্যাপক চাহিদার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বড় বাজারে অনেক যুবক বিচলী ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। তারা ব্যাপক চাহিদার কারণে বাইরে থেকে বিচলী কিনে এনে বিক্রি করছেন।

দোরমুটিয়া মোড়ের খামারী বিষ্ণুপদ দাস বলেন, তার খামারে ১৫-১৬টি গরু মোটা তাজাকরণের জন্য পালন করা হচ্ছিল। বর্তমান চড়ামূল্যে গুরুর সুষম খাদ্য বিক্রি হচ্ছে।

এরপরও রয়েছে বিচলীর সংকট। তাই লোকসান এড়াতে তিনি এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।

কেশবপুর পশুহাটে বিচলী বিক্রি করতে আসা মাগুরার আজিবার রহমান জানান, তার এলাকা থেকে কেশবপুরে বিচলীর দাম বেশি। যে কারণে তিনি বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিচলী কিনে নিয়ে আসেন পশুহাটে বিক্রি করতে। বর্তমান বাজারে এক কাউন (১৬ পোন) বিচলীর দাম ৮ হাজার টাকা। আবার কোথাও এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে তার সংসার ভালোভাবেই চলছে। সপ্তাহের তিন দিন পশুহাট বাদে এখানে বিচলী বিক্রি করা যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অলকেস বলেন, এ উপজেলায় ২৬৯টি গরুর খামার রয়েছে। গাভীর খামার রয়েছে ১৭১টি। এর বাইরে সামনের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিজন গৃহস্থের ঘরে কমপক্ষে ১টি করে গরু মোটা তাজাকরণের জন্যে পালন করা হচ্ছে। মোট গরু রয়েছে ৯৪ হাজার ৫৩৪টি। বিচলীই গরুর প্রধান খাদ্য। বিচলীর চাহিদা পূরনে প্রতিজন চাষিকে উন্নতজাতের ঘাস লাগানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

কাপাসিয়ায় আটকে যাওয়া ‘আপন দুলাল’ নাটক শনিবার মঞ্চায়নের সিদ্ধান্ত

ছাত্রদল রাজপথের মতো ভোটের ষড়যন্ত্র রুখবে

মাদারীপুর শহরে ২৫ দোকান পুড়ে ছাই, ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ছবি

ছুটি শেষে কর্মস্থলে ছুটছে মানুষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ পারাপারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

নির্বাচনই একমাত্র গণতন্ত্র না মুনিরা শারমিন

ছবি

সালথায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আহত ২০

ছবি

রাণীনগরবাসীর দুর্ভোগ অপ্রশস্ত রেলগেট

অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

সুন্নতে খতনার আনন্দ নিমেষেই বিষাদ

শিবচরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ১০

ছবি

বোরোর সবুজ গোছায় স্বপ্ন বুনছেন কৃষক

ফসলি জমি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বেলাবোতে লটকন বাগানের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

ছবি

দশমিনায় তাপদাহ-অনাবৃষ্টিতে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি

পঞ্চগড়ে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত

মসজিদে ‘জয় বাংলা’ সাইনবোর্ড দান করা ব্যক্তি গ্রেপ্তার

সীমান্তে অস্ত্রসহ মাদককারবারী আটক

নরসিংদীর বড় বাজারে ভয়াবহ, অগ্নিকাণ্ড

শ্রীমঙ্গলে ৫ দিনব্যাপী বাসন্তী পূজা শুরু

মোল্লাহাটে অপদ্রব্য পুশ করা চিংড়ি জব্দ

ছবি

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ডায়রিয়ার স্যালাইন সংকটে রোগীরা

অপহরণের ভয়ে সুন্দরবনে যেতে চায় না মৌয়ালরা

৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ

দুই জেলায় আগুনে ৫ গরু ও বসতঘর ছাই, কৃষক দগ্ধ

লিবিয়ায় দালালের অত্যাচারের ভৈরবের যুবকের মৃত্যু

বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যা

বিএসএফের রাবার বুলেটে ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত

বিনোদন কেন্দ্রে ছাত্রদলের হামলা, পুলিশসহ আহত ৭

নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ভ্যানচালককে হত্যা করে ভ্যান নিয়ে পালানোর সময় আটক ১

সরকারি পুকুর থেকে মাছ চুরি বিএনপি নেতার নামে মামলা

গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাচ্ছে একের পর এক সমবায় সমিতি

পরকীয়ায় বলি হলেন ট্রাক পরিবহন শ্রমিক নেতা জাহিদুল

ছবি

মীরসরাইয়ে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

ছবি

শেরপুরে মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন খেরুয়া মসজিদ

ছবি

ঝিনাইগাতীর পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীর আগমন জমজমাট

tab

সারাদেশ

কেশবপুরে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, দিশেহারা খামারিরা

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

কেশবপুর (যশোর) : পশুর হাটেই চলছে গো-খাদ্য বেচাকেনা -সংবাদ

শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫

বন্যার কারণে কেশবপুরে কয়েক বছর ধরে আমন ধান উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে গবাদি পশুর প্রধান খাদ্য বিচলির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে গরুর অন্যান্য দানাদার সুষম খাদ্যের দামও। ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে বিচলি এনে যোগান দিলেও বর্তমান ৫০০ টাকায়ও মিলছে না এক পোন (আশি আটি) বিচলী। এতে দিশেহারা হয়ে অনেক খামারী লোকসান এড়াতে কম দামে গরু-ছাগল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

কৃষি বিভাগ জানায়, গেল আমন মওসুমে এ উপজেলায় ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আবাদ হয়েছিল ৯ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমি। গত সেপ্টেম্বরে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলাব্যাপী ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়ে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০৫০ হেক্টর কম জমিতে বোরো আবাদ হয়। এখনও বোরো ধান উঠতে সময় লাগবে প্রায় দেড়মাস। এর ফলে গবাদি পশুর খাবার বিচলীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিচলীর অভাবে অনেক কৃষক গোখাদ্যের চাহিদা মেটাতে নদ-নদীর শেওলা কেটে গবাদী পশুকে খাওয়াচ্ছে।

কৃষক ও খামারিরা জানান, বোরো আবাদের শেষ মুহূর্তে কোনো কৃষক বা খামারির ঘরে গচ্ছিত বিচলী নেই। প্রায় চার মাস ধরে বিচলী কিনে গুরুকে খাওয়াতে হচ্ছে। অনেক কৃষক ও খামারি বিচলীর অভাবে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিচলীর ব্যাপক চাহিদার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট বড় বাজারে অনেক যুবক বিচলী ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। তারা ব্যাপক চাহিদার কারণে বাইরে থেকে বিচলী কিনে এনে বিক্রি করছেন।

দোরমুটিয়া মোড়ের খামারী বিষ্ণুপদ দাস বলেন, তার খামারে ১৫-১৬টি গরু মোটা তাজাকরণের জন্য পালন করা হচ্ছিল। বর্তমান চড়ামূল্যে গুরুর সুষম খাদ্য বিক্রি হচ্ছে।

এরপরও রয়েছে বিচলীর সংকট। তাই লোকসান এড়াতে তিনি এ ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।

কেশবপুর পশুহাটে বিচলী বিক্রি করতে আসা মাগুরার আজিবার রহমান জানান, তার এলাকা থেকে কেশবপুরে বিচলীর দাম বেশি। যে কারণে তিনি বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিচলী কিনে নিয়ে আসেন পশুহাটে বিক্রি করতে। বর্তমান বাজারে এক কাউন (১৬ পোন) বিচলীর দাম ৮ হাজার টাকা। আবার কোথাও এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে তার সংসার ভালোভাবেই চলছে। সপ্তাহের তিন দিন পশুহাট বাদে এখানে বিচলী বিক্রি করা যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অলকেস বলেন, এ উপজেলায় ২৬৯টি গরুর খামার রয়েছে। গাভীর খামার রয়েছে ১৭১টি। এর বাইরে সামনের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতিজন গৃহস্থের ঘরে কমপক্ষে ১টি করে গরু মোটা তাজাকরণের জন্যে পালন করা হচ্ছে। মোট গরু রয়েছে ৯৪ হাজার ৫৩৪টি। বিচলীই গরুর প্রধান খাদ্য। বিচলীর চাহিদা পূরনে প্রতিজন চাষিকে উন্নতজাতের ঘাস লাগানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

back to top