alt

সারাদেশ

মোঘল স্থাপত্য নিদর্শন ঝিনাইগাতীর ঘাগড়া লস্কর খান বাড়ী জামে মসজিদ

প্রতিনিধি, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : সংস্কারবিহীন ঘাগড়া লস্কর খান বাড়ী জামে মসজিদ -সংবাদ

সোয়া দুশ বছরের পুরনো মোঘল শাসনামলে নির্মিত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া লস্কর ‘খান বাড়ী জামে মসজিদটি’ আজো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। অক্ষত থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে আসেন। মসজিদটি বাইরে থেকে বিশাল আকৃতির দেখা যায়। এর শৈল্পিক কাজ অত্যন্ত নিখুঁত ও মনোমুগ্ধকর। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের উত্তর এবং দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি জানালা। মসজিদের ভেতর ইমাম বাদে তিনটি কাতারে ১০ জন করে মোট ৩০ জন মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের আকার বা পরিধি যাই হোক না কেন মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করার সময় নিজেকে মনে হয় দুশ বছর পেছনে চলে গেছি। মানব মনে জাগে এক অদ্ভূত অনুভূতি। স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন ঐতিহাসিক ‘খান বাড়ী’র মসজিদটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। কালের আবর্তে এই মসজিদের নাম ঘাগড়া লস্কর খান বাড়ী জামে মসজিদ হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে। শেরপুর জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। মসজিদের গায়ে বর্তমানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সে অনুসারে ধারনা করা হয়, মোঘল সম্রাট আমলে বক্সার বিদ্রোহীদের নেতা হিরোঙ্গি খাঁর বিদ্রোহের সময় মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির দরজার উপর খোদাইকৃত মূল্যবান কষ্টি পাথরের উপর খোদাই করে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করা হয়েছে হিজরি ১২২৮ বা নংরেজি ১৮০৮ সন। মসজিদটির গঠন পদ্ধতি ও স্থাপন কৌশল শিল্পসমৃদ্ধ ও সুদৃশ্য। এর ভিতরে রয়েছে দুটো সুদৃঢ় খিলান। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয় দিকেই সমান। এর অভ্যন্তরে ভাগ ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট। মসজিদের মধ্যখানে বড় গম্বুজের চারপাশ ঘিরে ছোট-বড় দশটি মিনার। এর মধ্যে চার কোণায় রয়েছে চারটি। মসজিদে দরজা রয়েছে মাত্র একটি। ভিতরে মেহরাব ও দেয়াল অঙ্কিত রয়েছে বিভিন্ন কারুকাজের ফুলদানী ও ফুল। তৎকালীন খান বাড়ীর দেলোয়ার খান নামের এক ব্যক্তি ৫৮ শতক জায়গার উপর মসজিদটি ওয়াকফ করে দেয়। এর মধ্যে মসজিদটির মূল ভবন ও বারান্দা রয়েছে ১৭ শতকের উপর এবং ৪১ শতকের উপর জমিতে রয়েছে কবরস্থান। মুসুল্লিরা মসজিদে নিয়মিত জুমাসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন। গত প্রায় ১৮ বছর আগে জাতীয় জাদুঘর এ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু একজন কেয়াটেকার নিয়োগ, একটি সতর্কবাণী লাগানো ও দায়সারাভাবে বছরে একবার রং করা ছাড়া আর কোন ভূমিকা পালন করেনি। মসজিদটির মেঝে দেবে যাচ্ছে, দেয়ালে ফাঁটল ধরছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে কালের এ নীরব সাক্ষী হয়তো নীরবেই হারিয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। তৎকালীন শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার এ মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ মসজিদটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছেন এবং দাপ্তরিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে এই মসজিদটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ছবি

হ্যাক হওয়া ফেইসবুক আইডি থেকে উসকানিমূলক পোস্ট: আতঙ্কে টুঙ্গিপাড়ার মিঠুন

বিশ্বম্ভরপুরে একটি সড়ক কেটে ফেলায় জনদুর্ভোগ

ঘোড়াশালে নরসিংদী কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি, উচ্ছ্বসিত যাত্রীরা

বিজয়নগর সীমান্তে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিএসএফ

দুমকির মাঠে মাঠে সূর্যমুখীর হাসি

কালের সাক্ষী হবিগঞ্জের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী

সাফারি পার্কের দুর্লভ প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

দৌলতপুরে ২ বেকারিকে জরিমানা

মৎস্য আড়তে অভিযান ৪০ কেজি জাটকা জব্দ

চার জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪

৩ জেলায় পানিতে ডুবে শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু

বাবা-ছেলের ধর্ষণে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী নারী

টঙ্গীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

মহেশখালীতে একজনকে গুলি করে হত্যা

যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে স্ত্রী, থানায় অভিযোগ

ময়মনসিংহে অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানা সিলগালা ২৩ বন্যপ্রাণী জব্দ

মেঘনার অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞা না মেনে অবাধে চলছে মাছ শিকার

সিংগাইরে প্রকাশ্যে মদ্যপ অবস্থায় নাচানাচি, গ্রেপ্তার

রাঙ্গুনিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন ১, আহত ৩

কেশবপুরে হদ বড়বিলের অবৈধ ডিড বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মতলবে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নিহত ১

চট্টগ্রাম কেইপিজেডে কর্মসংস্থান হবে দুই লক্ষাধিক লোকের

গাজীপুরে পান ও সিগারেট বিক্রেতা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ১

ট্রানজিট সুবিধা বাতিল বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত এলো ৪ পণ্যবাহী ট্রাক

ডিমলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর বদলি

সাভারে চাঁদা না পেয়ে শ্রমিক পারাপারের ট্রলার লুট, অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি

সিরাজগঞ্জে ধান আবাদে এডব্লিউডি প্রযুক্তিতে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক

ভ্যানের চাকায় শাড়ি পেঁচিয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

মাধবপুরে দিনমজুরকে গলাকেটে হত্যা, ৪ আসামির মৃত্যুদণ্ড

সাড়ে চার হাজার পরীক্ষার্থীকে ইউএনওর খোলা চিঠি ও শিক্ষাসামগ্রী প্রদান

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আমু, সালমান, মেনন, দীপুমনিসহ ১০ জন

পোরশায় আওয়ামী লীগ নেতা আটক

কুষ্টিয়ায় চোর সন্দেহে যুবককে নির্যাতনে করে হত্যার অভিযোগ

চৌগাছায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

মুজিববর্ষে রাষ্ট্রীয় অর্থ ‘অপচয়’ হাসিনা, রেহানার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্য

tab

সারাদেশ

মোঘল স্থাপত্য নিদর্শন ঝিনাইগাতীর ঘাগড়া লস্কর খান বাড়ী জামে মসজিদ

প্রতিনিধি, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : সংস্কারবিহীন ঘাগড়া লস্কর খান বাড়ী জামে মসজিদ -সংবাদ

শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫

সোয়া দুশ বছরের পুরনো মোঘল শাসনামলে নির্মিত শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া লস্কর ‘খান বাড়ী জামে মসজিদটি’ আজো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে। অক্ষত থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে আসেন। মসজিদটি বাইরে থেকে বিশাল আকৃতির দেখা যায়। এর শৈল্পিক কাজ অত্যন্ত নিখুঁত ও মনোমুগ্ধকর। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের উত্তর এবং দক্ষিণ পাশে রয়েছে দুটি জানালা। মসজিদের ভেতর ইমাম বাদে তিনটি কাতারে ১০ জন করে মোট ৩০ জন মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের আকার বা পরিধি যাই হোক না কেন মসজিদে প্রবেশ করে নামাজ আদায় করার সময় নিজেকে মনে হয় দুশ বছর পেছনে চলে গেছি। মানব মনে জাগে এক অদ্ভূত অনুভূতি। স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন ঐতিহাসিক ‘খান বাড়ী’র মসজিদটি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া লস্কর গ্রামে অবস্থিত। কালের আবর্তে এই মসজিদের নাম ঘাগড়া লস্কর খান বাড়ী জামে মসজিদ হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে। শেরপুর জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার। মসজিদের গায়ে বর্তমানে যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে সে অনুসারে ধারনা করা হয়, মোঘল সম্রাট আমলে বক্সার বিদ্রোহীদের নেতা হিরোঙ্গি খাঁর বিদ্রোহের সময় মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটির দরজার উপর খোদাইকৃত মূল্যবান কষ্টি পাথরের উপর খোদাই করে আরবি ভাষায় এর প্রতিষ্ঠাকাল উল্লেখ করা হয়েছে হিজরি ১২২৮ বা নংরেজি ১৮০৮ সন। মসজিদটির গঠন পদ্ধতি ও স্থাপন কৌশল শিল্পসমৃদ্ধ ও সুদৃশ্য। এর ভিতরে রয়েছে দুটো সুদৃঢ় খিলান। এক গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ উভয় দিকেই সমান। এর অভ্যন্তরে ভাগ ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট। মসজিদের মধ্যখানে বড় গম্বুজের চারপাশ ঘিরে ছোট-বড় দশটি মিনার। এর মধ্যে চার কোণায় রয়েছে চারটি। মসজিদে দরজা রয়েছে মাত্র একটি। ভিতরে মেহরাব ও দেয়াল অঙ্কিত রয়েছে বিভিন্ন কারুকাজের ফুলদানী ও ফুল। তৎকালীন খান বাড়ীর দেলোয়ার খান নামের এক ব্যক্তি ৫৮ শতক জায়গার উপর মসজিদটি ওয়াকফ করে দেয়। এর মধ্যে মসজিদটির মূল ভবন ও বারান্দা রয়েছে ১৭ শতকের উপর এবং ৪১ শতকের উপর জমিতে রয়েছে কবরস্থান। মুসুল্লিরা মসজিদে নিয়মিত জুমাসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছেন। গত প্রায় ১৮ বছর আগে জাতীয় জাদুঘর এ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটির দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু একজন কেয়াটেকার নিয়োগ, একটি সতর্কবাণী লাগানো ও দায়সারাভাবে বছরে একবার রং করা ছাড়া আর কোন ভূমিকা পালন করেনি। মসজিদটির মেঝে দেবে যাচ্ছে, দেয়ালে ফাঁটল ধরছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে কালের এ নীরব সাক্ষী হয়তো নীরবেই হারিয়ে যাবে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। তৎকালীন শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার এ মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি এ মসজিদটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছেন এবং দাপ্তরিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে এই মসজিদটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

back to top