দশমিনা (পটুয়াখালী) : সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্তির হাসি -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে সর্বত্র ফুলের হাসি শোভা পাচ্ছে। আর সে হাসিতে যেন কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্তির হাসি। ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন সূর্যমুখী চাষে কৃষক আগ্রহী হচ্ছে। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে যতদুর চোখ যায়, শুধু সবুজ আর হলুদ ফুলের সমারোহ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর হলুদের সমারোহ। সবুজ গাছের মাথায় থাকা এসব হলুদ ফুল বাতাসে দুলছে। ফুলে ফুলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি আর প্রজাপতি। সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের সৌন্দর্য দেখতে সকাল ও বিকেলে ছবি তুলতে ভিড় করছে সব বয়সের নারী-পুরুষ। সরকারি কর্মকর্তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। এই বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উচ্চ ফলনশীল সূর্যমুখী চাষ করা হয়। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হয়েছিল।
চলতি বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকছেন। অনেক জমিতে কৃষি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেয়া হয়।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সূর্যমুখী চাষি সুলতান সরদার, জাফর, আলম সরদার, মোতাহার চৌকিদার ও নজরুল মৃধা বলেন, গত বছর পরীক্ষামূলক আমরা ২ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে ফলন ভালো পাইছি বলে এ বছর ১০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। শুরুর দিকের বৃষ্টিতে কিছু বীজ নষ্ট হয় তবে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের চাষি কাজী কামাল বলেন, গতবছরের তুলনায় আবহাওয়া ভালো থাকায় সারা ক্ষেতে ফুল আর ফুল। বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সূর্যমুখী খেত ঘুরে দেখে আশা সঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, সূর্যমুখীর ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে খেত। সেই জন্য আমরা গ্রামের লোকজন মিলে দেখতে ও স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলতে আসছি। এসে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, এই বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আর গতবছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্তির হাসি -সংবাদ
শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে সর্বত্র ফুলের হাসি শোভা পাচ্ছে। আর সে হাসিতে যেন কৃষকের মুখেও ফুটেছে স্বস্তির হাসি। ব্যাপক চাহিদার বিপরীতে কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় দিন দিন সূর্যমুখী চাষে কৃষক আগ্রহী হচ্ছে। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে যতদুর চোখ যায়, শুধু সবুজ আর হলুদ ফুলের সমারোহ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠ জুড়ে চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর হলুদের সমারোহ। সবুজ গাছের মাথায় থাকা এসব হলুদ ফুল বাতাসে দুলছে। ফুলে ফুলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি আর প্রজাপতি। সেই দৃষ্টিকাড়া ফুলের সৌন্দর্য দেখতে সকাল ও বিকেলে ছবি তুলতে ভিড় করছে সব বয়সের নারী-পুরুষ। সরকারি কর্মকর্তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে ছুটে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কৃষকেরা সূর্যমুখী চাষ করছেন। এই বছর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে উচ্চ ফলনশীল সূর্যমুখী চাষ করা হয়। উপজেলা কৃষি কার্যালয় থেকে বীজ, সার ও ওষুধসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হয়েছিল।
চলতি বছর ৪৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করা হয়। চাহিদা এবং ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে দিন দিন ঝুঁকছেন। অনেক জমিতে কৃষি চাষের আওতায় আনার লক্ষ্যে কৃষকদের বাড়তি প্রণোদনা দেয়া হয়।
উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সূর্যমুখী চাষি সুলতান সরদার, জাফর, আলম সরদার, মোতাহার চৌকিদার ও নজরুল মৃধা বলেন, গত বছর পরীক্ষামূলক আমরা ২ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে ফলন ভালো পাইছি বলে এ বছর ১০ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। শুরুর দিকের বৃষ্টিতে কিছু বীজ নষ্ট হয় তবে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের চাষি কাজী কামাল বলেন, গতবছরের তুলনায় আবহাওয়া ভালো থাকায় সারা ক্ষেতে ফুল আর ফুল। বহরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আদমপুর গ্রামের সূর্যমুখী খেত ঘুরে দেখে আশা সঞ্জয় ব্যানার্জি বলেন, সূর্যমুখীর ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে খেত। সেই জন্য আমরা গ্রামের লোকজন মিলে দেখতে ও স্মৃতি হিসেবে ছবি তুলতে আসছি। এসে অনেক ভালো লেগেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, এই বছর উপজেলায় সূর্যমুখীর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আর গতবছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্বিগুণ ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।