টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্রতা জয়ে মাসরুম চাষ করছেন শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত এক যুবক। তিনি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজের বাড়িতে শুরু করেছেন মাসরুম চাষ। এ জন্য তিনি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়ে সময় অপচয় না করে তার বসতবাড়িতেই আয়োজন করেন মাসরুম চাষের। বাড়ির দুচালা টিনের ঘরেই শেড বানিয়ে মাসরুম চাষে এগিয়ে আসে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি সাফল্যের ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্ন দেখছেন মাসরুমে নিজের কর্মসংস্থানের। এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল বিকেলে কাজ করেন তার খামারে। ভালো সফলতা ধরাও দিচ্ছে। মাসরুম চাষ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন একটি ভ্যান। ভ্যানের পিছনেও লেখা মাসরুমের উপকারিতার নানা কথা। ক্রেতারা সহজেই বুঝতে ও পড়ে নিতে পারবেন মাসরুমের প্রাথমিক উপকারিতার কথা। মাসরুম চাষে এগিয়ে আসা এ যুবকের নাম রাসেল আহমেদ। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে। তার বাবার জসিম উদ্দিন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাসরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা ইমিউনিউন সিস্টেম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পটাসিয়ামের উপস্থিত থাকায় হৃদ রোগ বা হার্টের রোগ নিরাময়ে সহায়ক। প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইজম ও বিটাগোক্যান আছে যা বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। ইরিটাডেনিন লোভাস্টাটিন এনটাডেনিন কিটিন এবং ভবটামিন বি সি ও ডি সমৃদ্ধ যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণে সালফার সরবরাহকারি এমাইনো এসিড থাকায় চুর পড়া ও পাকা রোধে সহায়তা করে থাকে। নিয়াসিন রিবোফ্লাভিন থাকায় মাসরুমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
মাসরুম চাষি রাসেল জানান, তিনি বিগত ২০১২ সালে নিজ গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। বিগত ২০১৪ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। পরে তিনি শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। পড়াশোনা শেষ করে বসে না থেকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউট সাভারে মাসরুম চাষে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নেন। পরে তিনি বাড়িতে এসে অল্প পরিসরে শুরু করেন মাসরুম চাষ। তিনি জানান, মাসরুম শুধু নিজের লাভই না। যারা খাবেন তাদেরও উপকারিতা অনেক। তিনি আরও জানান, তার খামারে ২ জাতের মাসরুম রয়েছে। ওয়েস্টার ও মিলকি জাতের মাসরুম। সিদ্ধ করা খড়ে বীজ বা স্পন দিয়ে দিতে হয়।
মাসরুম পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ২৮ থেকে ৩০ দিন। মাসে একবার করে আসে মাসরুম। তার ৫শটি ব্যাগে চলছে এ চাষ। জাত ভেদে দামও কম বেশি হয়ে থাকে। ওয়েস্টার ২৫০ টাকা আর মিলকি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে বলে রাসেল জানান। প্রতি ব্যাগে হাফ কেজির মতো মাসরুম উৎপাদন হয়ে থাকে। মাস শেষে খরচ বাদে তার ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ আসে এমনটাই জানালেন তিনি। ভবিষ্যতে আরও বাড়াতে চান তার খামার। মুশুদ্দি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, রাসেল একজন প্রশিক্ষিত যুবক। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে সে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ধনবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, এই উপজেলায় ৩ জন যুবক মাসরুম চাষ করছেন।
মাসরুম চাষে যুবকরা এগিয়ে যাচ্ছেন। বহুগুণে উপকারিতা সমৃদ্ধ মাসরুম। এরা জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউট সাভার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাসরুম চাষ করছেন। তারা আর্থিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্রতা জয়ে মাসরুম চাষ করছেন শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত এক যুবক। তিনি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজের বাড়িতে শুরু করেছেন মাসরুম চাষ। এ জন্য তিনি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নিয়ে সময় অপচয় না করে তার বসতবাড়িতেই আয়োজন করেন মাসরুম চাষের। বাড়ির দুচালা টিনের ঘরেই শেড বানিয়ে মাসরুম চাষে এগিয়ে আসে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শে তিনি সাফল্যের ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছেন। স্বপ্ন দেখছেন মাসরুমে নিজের কর্মসংস্থানের। এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল বিকেলে কাজ করেন তার খামারে। ভালো সফলতা ধরাও দিচ্ছে। মাসরুম চাষ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছেন একটি ভ্যান। ভ্যানের পিছনেও লেখা মাসরুমের উপকারিতার নানা কথা। ক্রেতারা সহজেই বুঝতে ও পড়ে নিতে পারবেন মাসরুমের প্রাথমিক উপকারিতার কথা। মাসরুম চাষে এগিয়ে আসা এ যুবকের নাম রাসেল আহমেদ। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামে। তার বাবার জসিম উদ্দিন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাসরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা ইমিউনিউন সিস্টেম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পটাসিয়ামের উপস্থিত থাকায় হৃদ রোগ বা হার্টের রোগ নিরাময়ে সহায়ক। প্রচুর পরিমানে এন্টিঅক্সিডেন্ট এনজাইজম ও বিটাগোক্যান আছে যা বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। ইরিটাডেনিন লোভাস্টাটিন এনটাডেনিন কিটিন এবং ভবটামিন বি সি ও ডি সমৃদ্ধ যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রচুর পরিমাণে সালফার সরবরাহকারি এমাইনো এসিড থাকায় চুর পড়া ও পাকা রোধে সহায়তা করে থাকে। নিয়াসিন রিবোফ্লাভিন থাকায় মাসরুমে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
মাসরুম চাষি রাসেল জানান, তিনি বিগত ২০১২ সালে নিজ গ্রামের স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। বিগত ২০১৪ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ সালে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন। পরে তিনি শারীরিক শিক্ষা কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। পড়াশোনা শেষ করে বসে না থেকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউট সাভারে মাসরুম চাষে ১০ দিনের প্রশিক্ষণ নেন। পরে তিনি বাড়িতে এসে অল্প পরিসরে শুরু করেন মাসরুম চাষ। তিনি জানান, মাসরুম শুধু নিজের লাভই না। যারা খাবেন তাদেরও উপকারিতা অনেক। তিনি আরও জানান, তার খামারে ২ জাতের মাসরুম রয়েছে। ওয়েস্টার ও মিলকি জাতের মাসরুম। সিদ্ধ করা খড়ে বীজ বা স্পন দিয়ে দিতে হয়।
মাসরুম পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ২৮ থেকে ৩০ দিন। মাসে একবার করে আসে মাসরুম। তার ৫শটি ব্যাগে চলছে এ চাষ। জাত ভেদে দামও কম বেশি হয়ে থাকে। ওয়েস্টার ২৫০ টাকা আর মিলকি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে বলে রাসেল জানান। প্রতি ব্যাগে হাফ কেজির মতো মাসরুম উৎপাদন হয়ে থাকে। মাস শেষে খরচ বাদে তার ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ আসে এমনটাই জানালেন তিনি। ভবিষ্যতে আরও বাড়াতে চান তার খামার। মুশুদ্দি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, রাসেল একজন প্রশিক্ষিত যুবক। প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে সে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ধনবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান, এই উপজেলায় ৩ জন যুবক মাসরুম চাষ করছেন।
মাসরুম চাষে যুবকরা এগিয়ে যাচ্ছেন। বহুগুণে উপকারিতা সমৃদ্ধ মাসরুম। এরা জাতীয় মাসরুম ইনস্টিটিউট সাভার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাসরুম চাষ করছেন। তারা আর্থিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।