কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বগুড়ার শেরপুরে এক বিধবার বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। এসময় ওই বিধবা ও তার ছেলেকে বেধড়ক পেটানো হয়। পাশাপাশি বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়া হয়েছে। পরে আশঙ্কাজনকভাবে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামনগর গ্রামের। এই ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী ওই নারী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নয় বছর আগে ওই বিধবার স্বামী জহুরুল ইসলাম মারা যান। এরপর থেকে একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে স্বামীর বসতভিটাতেই তিনি থাকতেন। আর এই সুযোগে একই গ্রামের জোব্বার প্রামাণিকের ছেলে মাহবুবার রহমান ওই বিধবাকে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু সে রাজী না হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাহবুব। এরপরও সুযোগ পেলেই নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকেন মাহবুব। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ওই বিধবার বাড়িতে গিয়ে উত্যক্ত করতে থাকেন। এমনকি তার হাত ধরে টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে বাধা দিলে বখাটে মাহবুব বাঁশের লাঠি দিয়ে ওই বিধবার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে যায়। এসময় তাঁর চিৎকারে ছেলে আব্দুল্লাহ এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
মামলার বাদি ভুক্তভোগী ওই বিধবা অভিযোগ করে বলেন, প্রথমদফায় তাদের মারপিট করেই থেমে যাননি। খবর দিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া নগদ তিন লাখ টাকা ও দেড় লাখ মূল্যের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছেন মাহবুব ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত মাহবুবার রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এই ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে মামলায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বগুড়ার শেরপুরে এক বিধবার বসতবাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। এসময় ওই বিধবা ও তার ছেলেকে বেধড়ক পেটানো হয়। পাশাপাশি বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়া হয়েছে। পরে আশঙ্কাজনকভাবে তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের জামনগর গ্রামের। এই ঘটনায় শনিবার ভুক্তভোগী ওই নারী বাদি হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নয় বছর আগে ওই বিধবার স্বামী জহুরুল ইসলাম মারা যান। এরপর থেকে একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহকে নিয়ে স্বামীর বসতভিটাতেই তিনি থাকতেন। আর এই সুযোগে একই গ্রামের জোব্বার প্রামাণিকের ছেলে মাহবুবার রহমান ওই বিধবাকে কু-প্রস্তাব দেন। কিন্তু সে রাজী না হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাহবুব। এরপরও সুযোগ পেলেই নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকেন মাহবুব। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেল তিনটার দিকে ওই বিধবার বাড়িতে গিয়ে উত্যক্ত করতে থাকেন। এমনকি তার হাত ধরে টানা-হেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে বাধা দিলে বখাটে মাহবুব বাঁশের লাঠি দিয়ে ওই বিধবার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে যায়। এসময় তাঁর চিৎকারে ছেলে আব্দুল্লাহ এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
মামলার বাদি ভুক্তভোগী ওই বিধবা অভিযোগ করে বলেন, প্রথমদফায় তাদের মারপিট করেই থেমে যাননি। খবর দিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া নগদ তিন লাখ টাকা ও দেড় লাখ মূল্যের স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছেন মাহবুব ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি সম্পর্কে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত মাহবুবার রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এই ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে মামলায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।