alt

সারাদেশ

দশমিনায় ৩ শতাধিক পান চাষি এখন স্বাবলম্বী

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রায় তিন শতাধিক পান চাষী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার। বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮ লাখ টাকা।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের পান চাষি সমির বাড়ৈই বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

পুলিশবাহী ট্রাককে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কা, আহত ১৫ পুলিশ সদস্য, গ্রেফতার-১

নোয়াখালীর ধর্ষণের শিকার জমজ ২ বোনের পুনর্বাসন ও আইনি সহায়তা দিচ্ছেন তারেক রহমান

ছবি

দশমিনায় বোরোর বাম্পার ফলনে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

পোরশায় ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার

ভোলায় পুকুরে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু

কালিয়াকৈরে শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় যুবক আটক

মৌলভীবাজারে দুষ্কৃতকারীর হাতে আইনজীবী খুন

বাউফলে ট্রলির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু

ছবি

বেদে পল্লীতে যুবক হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

গলাচিপায় নদীর তীর দখলের মহোৎসব

আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেপ্তার

সাটুরিয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে রেলওয়ের উদ্যোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ১শ গজের মধ্যে অবৈধ বাণিজ্যমেলা

আদমদীঘিতে মাছের খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক খামার

প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ

ট্রান্সফর্মার চুরির দায়ে পলাশবাড়ীর নেসকো আবাসিক প্রকৌশলী বরখাস্ত

মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে খুন করে সন্তানদের নিয়ে স্বামী উধাও

অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ছবি

কক্সবাজারে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির বিক্ষোভ মিছিলে ভাঙচুর, আহত কয়েকজন পর্যটক

হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে টাকা চুরি

চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাকে শোকজ

কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, সেবা ব্যাহত

বোয়ালখালীতে মদক ও অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক

নলছিটিতে একই গাছে ঝুলন্ত মা-ছেলের মরদেহ

মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৪

ছবি

উত্তরাঞ্চলে কাঁচা মরিচের কেজি ১০ টাকা : চরম বিপাকে চাষিরা

ছবি

চিতলমারীতে ৪ তলা ভবনে আগুন, মৃত্যু ১

মহেশপুর সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ

ছবি

চট্টগ্রাম সওজ অফিসে লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

‘কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতাকে এমপি বানাতে একাট্টা’

কুষ্টিয়ায় ভাতের হোটেলের নামে দেহব্যবসা, পুড়িয়ে দিলো এলাকাবাসী

জুয়ার আসর উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিনের যোগদান

tab

সারাদেশ

দশমিনায় ৩ শতাধিক পান চাষি এখন স্বাবলম্বী

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রায় তিন শতাধিক পান চাষী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করেন তারা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার। বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮ লাখ টাকা।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের পান চাষি সমির বাড়ৈই বলেন, দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

back to top