alt

সারাদেশ

রাজশাহীতে তাপপ্রবাহে অস্থির প্রাণিকুল, প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

চলতি খরা মৌসুমে তীব্র দাবদাহের কারনে জন জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে সকালে সূর্য উঠার পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোদের প্রখরতা। দুপুরে যেন সূর্য আগুন ঝরাচ্ছিল প্রকৃতিতে। কাজের জন্য মাঠে থাকা প্রাণগুলো যেন ক্লান্ত হয়ে উঠেছিল। রাস্তায় চলাচল করা মানুষের সংখ্যাও তুলনামুলক কমে গিয়েছিল। রাজশাহীসহ দেশের সাত জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রবিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এ ছাড়া আগামী মঙ্গল ও বুধবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি. রাজশাহীতে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তাপপ্রবাহে শুধু মানুষ নয়, সমস্ত প্রাণিকুলের যেন হাঁসফাঁস অবস্থা।

এদিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে অতিরিক্ত খরা ও অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। দিনদিন বাড়ছে তপ্ত-উত্তপ্ত বরেন্দ্রভূমির রুক্ষতার মাত্রা। বিশেষ করে এই অঞ্চলে পানি সঙ্কটের প্রভাবে জনজীবনে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশগত প্রতিকূলতা। দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তনে নির্ধারিত মৌসুমে এলাকার নদ-নদীতে পানি থাকছে না। বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে যাওয়া সেচকাজে ও ভূগর্ভস্থ পানির অধিক ব্যাবহার নগরীর সিংহভাগ পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়া ,সর্বপরি পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় রাজশাহীর সবত্র বিরাজ করছে রুক্ষ আবহাওয়া । একই সাথে ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যা্চ্ছে আশক্ষাজনক হারে ।

রাজশাহী অঞ্চলে নতুন সেচ নীতিমালা কর্যকর হয়েছে চলতি বছরের বোরো চাষ থেকে। প্রথম বছরের নীতিমালা কার্যকর করায় পানি সংকটে ১০ হাজারের ওপরে জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়নি।

কৃষকরা বলছেন, পানি না পাওয়ার কারণে তারা এই চাষ করতে পারেননি। ফলে রাজশাহী অঞ্চলে কমছে ধানের উৎপাদন। কৃষি বিভাগ বলছে, ধান চাষ কমলেও অন্য চাষ বাড়ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে রাজশাহী বিভাগের কৃষি অঞ্চল। এ অঞ্চলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। তবে গতবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৬৫ হেক্টর জমি বেশি বোরো ধান চাষ হয়। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ধান চাষ হয় ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে।

এরমধ্যে রাজশাহী জেলাতে কমেছে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে। নওগাঁতে কমেছে ৫৪০ হেক্টর জমিতে, নাটোরে কমেছে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমেছে ৪ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে।

বিএমডিএর তথ্য বলছে, পানি সংকটে থাকা আট উপজেলায় সংস্থাটির মোট তিন হাজার ৫৮৮টি সচল গভীর নলকুপ রয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৯৬০টি নলকুপ তীব্র পানি সংকটপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি নলকূপ ২৪-৪০ হেক্টর জমিতে পানি সেচ সরবরাহ করতে পারে।

বিএমডিএর নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্থিতিশীল রাখতে বছরে একটি গভীর নলকূপ মোট ১৯৬০ ঘণ্টা চালানো হবে। এরমধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত আসন্ন বোরো মৌসুমে একটি গভীর নলকূপ মোট ৯৮০ ঘণ্টা চলবে। ফলে এসব নলকূপের আওতাধীন জমিতে বোরো ধান চাষ অর্ধেক থেকে শূন্যে নামিয়ে আনা হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান বলেন, ধান চাষ গত বছরের তুলনায় কমেছে। তবে এবার অধিক হারে সরিষা চাষ হয়েছে। মূলত এ কারণেই চাষ কিছুটা কমতে পারে। আশা করছি এগুলো সামনের আউশে এসে পূরণ হবে। তবে পানি সংকটে চাষ করতে পারছেন না এমনটি আমি শুনিনি। কৃষকরা তাদের ইচ্ছামতো চাষ করছেন। মূলত তারা এবার সরিষার কারণে ধান চাষ কম করেছেন। আগামীতে এটি পূরণ হয়ে যাবে।

পুলিশবাহী ট্রাককে ড্রাম ট্রাকের ধাক্কা, আহত ১৫ পুলিশ সদস্য, গ্রেফতার-১

নোয়াখালীর ধর্ষণের শিকার জমজ ২ বোনের পুনর্বাসন ও আইনি সহায়তা দিচ্ছেন তারেক রহমান

ছবি

দশমিনায় বোরোর বাম্পার ফলনে স্বপ্ন বুনছে কৃষক

পোরশায় ভাইবোনের মরদেহ উদ্ধার

ভোলায় পুকুরে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু

কালিয়াকৈরে শিশু ধর্ষণ চেষ্টায় যুবক আটক

মৌলভীবাজারে দুষ্কৃতকারীর হাতে আইনজীবী খুন

বাউফলে ট্রলির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু

ছবি

বেদে পল্লীতে যুবক হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

গলাচিপায় নদীর তীর দখলের মহোৎসব

আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেপ্তার

সাটুরিয়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, যুবক গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে রেলওয়ের উদ্যোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান

এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ১শ গজের মধ্যে অবৈধ বাণিজ্যমেলা

আদমদীঘিতে মাছের খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক খামার

প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ

ট্রান্সফর্মার চুরির দায়ে পলাশবাড়ীর নেসকো আবাসিক প্রকৌশলী বরখাস্ত

মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে খুন করে সন্তানদের নিয়ে স্বামী উধাও

অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

ছবি

কক্সবাজারে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির বিক্ষোভ মিছিলে ভাঙচুর, আহত কয়েকজন পর্যটক

হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে টাকা চুরি

চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাকে শোকজ

কটিয়াদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, সেবা ব্যাহত

বোয়ালখালীতে মদক ও অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক

নলছিটিতে একই গাছে ঝুলন্ত মা-ছেলের মরদেহ

মুন্সীগঞ্জে নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৪

ছবি

উত্তরাঞ্চলে কাঁচা মরিচের কেজি ১০ টাকা : চরম বিপাকে চাষিরা

ছবি

চিতলমারীতে ৪ তলা ভবনে আগুন, মৃত্যু ১

মহেশপুর সীমান্তে আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ

ছবি

চট্টগ্রাম সওজ অফিসে লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

‘কেন্দ্রীয় কৃষক দল নেতাকে এমপি বানাতে একাট্টা’

কুষ্টিয়ায় ভাতের হোটেলের নামে দেহব্যবসা, পুড়িয়ে দিলো এলাকাবাসী

জুয়ার আসর উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিনের যোগদান

tab

সারাদেশ

রাজশাহীতে তাপপ্রবাহে অস্থির প্রাণিকুল, প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫

চলতি খরা মৌসুমে তীব্র দাবদাহের কারনে জন জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে সকালে সূর্য উঠার পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে রোদের প্রখরতা। দুপুরে যেন সূর্য আগুন ঝরাচ্ছিল প্রকৃতিতে। কাজের জন্য মাঠে থাকা প্রাণগুলো যেন ক্লান্ত হয়ে উঠেছিল। রাস্তায় চলাচল করা মানুষের সংখ্যাও তুলনামুলক কমে গিয়েছিল। রাজশাহীসহ দেশের সাত জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও রাঙ্গামাটি জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রবিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরদিন সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এ ছাড়া আগামী মঙ্গল ও বুধবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি. রাজশাহীতে শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন তাপপ্রবাহে শুধু মানুষ নয়, সমস্ত প্রাণিকুলের যেন হাঁসফাঁস অবস্থা।

এদিকে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে অতিরিক্ত খরা ও অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়ছে প্রকৃতিতে। দিনদিন বাড়ছে তপ্ত-উত্তপ্ত বরেন্দ্রভূমির রুক্ষতার মাত্রা। বিশেষ করে এই অঞ্চলে পানি সঙ্কটের প্রভাবে জনজীবনে পড়ছে বিরূপ প্রভাব। সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশগত প্রতিকূলতা। দ্রুত আবহাওয়ার পরিবর্তনে নির্ধারিত মৌসুমে এলাকার নদ-নদীতে পানি থাকছে না। বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে যাওয়া সেচকাজে ও ভূগর্ভস্থ পানির অধিক ব্যাবহার নগরীর সিংহভাগ পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়া ,সর্বপরি পদ্মা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় রাজশাহীর সবত্র বিরাজ করছে রুক্ষ আবহাওয়া । একই সাথে ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যা্চ্ছে আশক্ষাজনক হারে ।

রাজশাহী অঞ্চলে নতুন সেচ নীতিমালা কর্যকর হয়েছে চলতি বছরের বোরো চাষ থেকে। প্রথম বছরের নীতিমালা কার্যকর করায় পানি সংকটে ১০ হাজারের ওপরে জমিতে চাষ করা সম্ভব হয়নি।

কৃষকরা বলছেন, পানি না পাওয়ার কারণে তারা এই চাষ করতে পারেননি। ফলে রাজশাহী অঞ্চলে কমছে ধানের উৎপাদন। কৃষি বিভাগ বলছে, ধান চাষ কমলেও অন্য চাষ বাড়ছে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে রাজশাহী বিভাগের কৃষি অঞ্চল। এ অঞ্চলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে। তবে গতবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৬৫ হেক্টর জমি বেশি বোরো ধান চাষ হয়। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে ধান চাষ হয় ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে।

এরমধ্যে রাজশাহী জেলাতে কমেছে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে। নওগাঁতে কমেছে ৫৪০ হেক্টর জমিতে, নাটোরে কমেছে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমেছে ৪ হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে।

বিএমডিএর তথ্য বলছে, পানি সংকটে থাকা আট উপজেলায় সংস্থাটির মোট তিন হাজার ৫৮৮টি সচল গভীর নলকুপ রয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৯৬০টি নলকুপ তীব্র পানি সংকটপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি নলকূপ ২৪-৪০ হেক্টর জমিতে পানি সেচ সরবরাহ করতে পারে।

বিএমডিএর নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর স্থিতিশীল রাখতে বছরে একটি গভীর নলকূপ মোট ১৯৬০ ঘণ্টা চালানো হবে। এরমধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত আসন্ন বোরো মৌসুমে একটি গভীর নলকূপ মোট ৯৮০ ঘণ্টা চলবে। ফলে এসব নলকূপের আওতাধীন জমিতে বোরো ধান চাষ অর্ধেক থেকে শূন্যে নামিয়ে আনা হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান বলেন, ধান চাষ গত বছরের তুলনায় কমেছে। তবে এবার অধিক হারে সরিষা চাষ হয়েছে। মূলত এ কারণেই চাষ কিছুটা কমতে পারে। আশা করছি এগুলো সামনের আউশে এসে পূরণ হবে। তবে পানি সংকটে চাষ করতে পারছেন না এমনটি আমি শুনিনি। কৃষকরা তাদের ইচ্ছামতো চাষ করছেন। মূলত তারা এবার সরিষার কারণে ধান চাষ কম করেছেন। আগামীতে এটি পূরণ হয়ে যাবে।

back to top