কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে হাত বেঁধে নির্যাতন করেছেন স্বামী। গুরুত্বর আহত অবস্থায় নির্যাতিত ওই গৃহবধূ সাতদিন ধরে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের চর হোগলাবুনিয়া গ্রামে। এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিত নারীর ভাই কবির সরদার বাদী হয়ে ভগ্নিপতি মালেক মাতুব্বরের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের চরহোগলাবুনিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. মালেক মাতুব্বরের সঙ্গে ৪ বছর পূর্বে খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মমতাজ বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুক লোভী তার স্বামী মালেক মাতুব্বর প্রতিনিয়ত গৃহবধূ মমতাজ বেগমের নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন ৩০ মার্চ (শুক্রবার) দুপুর ২টায় মালেক মাতুব্বর তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে বসতবাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে দুই হাত বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতত মমতাজ বেগম অঝোরে কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার স্বামীর পূর্বের স্ত্রী মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে আমাকে বিবাহ করেন। আমার কোন সন্তানাদি নেই। স্বামীর নির্যাতন আর কত সইতে হবে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ। দুই চোখ প্রচ- আঘাতে ফুলে গেছে। আমাকে দেখাশুনার কেউ নেই। দুঃসর্ম্পকের এক ননদ কাছে রয়েছে। প্রতিনিয়ত নির্যাতনের সময় তাকে একটি রুমের দরজা বন্ধ করে তার দুটি হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে হাত পায়ের তালু ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। আঘাতের চিহৃগুলো এখন মুখম-লসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আমার ওপর এ অমানবিক নির্যাতন কেনো? যৌতুকলোভী স্বামীর এ অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মালেক মাতুব্বরের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মোরেলগঞ্জ থানার ওসি শেখ রাজীব আল রশীদ বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হোয়েছে।
তদন্ত পূর্বক এই ঘটনায় থানায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে হাত বেঁধে নির্যাতন করেছেন স্বামী। গুরুত্বর আহত অবস্থায় নির্যাতিত ওই গৃহবধূ সাতদিন ধরে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের চর হোগলাবুনিয়া গ্রামে। এই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিত নারীর ভাই কবির সরদার বাদী হয়ে ভগ্নিপতি মালেক মাতুব্বরের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের চরহোগলাবুনিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মো. মালেক মাতুব্বরের সঙ্গে ৪ বছর পূর্বে খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মমতাজ বেগমের বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই যৌতুক লোভী তার স্বামী মালেক মাতুব্বর প্রতিনিয়ত গৃহবধূ মমতাজ বেগমের নিকট ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। ঘটনার দিন ৩০ মার্চ (শুক্রবার) দুপুর ২টায় মালেক মাতুব্বর তার স্ত্রী মমতাজ বেগমকে বসতবাড়ির একটি কক্ষে আটকে রেখে দুই হাত বেঁধে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে স্থানীয় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতত মমতাজ বেগম অঝোরে কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার স্বামীর পূর্বের স্ত্রী মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে আমাকে বিবাহ করেন। আমার কোন সন্তানাদি নেই। স্বামীর নির্যাতন আর কত সইতে হবে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ। দুই চোখ প্রচ- আঘাতে ফুলে গেছে। আমাকে দেখাশুনার কেউ নেই। দুঃসর্ম্পকের এক ননদ কাছে রয়েছে। প্রতিনিয়ত নির্যাতনের সময় তাকে একটি রুমের দরজা বন্ধ করে তার দুটি হাত বেঁধে লাঠি দিয়ে হাত পায়ের তালু ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। আঘাতের চিহৃগুলো এখন মুখম-লসহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষত অবস্থায় রয়েছে। আমার ওপর এ অমানবিক নির্যাতন কেনো? যৌতুকলোভী স্বামীর এ অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মালেক মাতুব্বরের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। মোরেলগঞ্জ থানার ওসি শেখ রাজীব আল রশীদ বলেন, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হোয়েছে।
তদন্ত পূর্বক এই ঘটনায় থানায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।