মোহামেডানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মিরাজ
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে রবিবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শামীমের ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ১২০ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় মোহামেডান।
অন্য ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ২ উইকেটে জেতে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ২ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টানা তৃতীয় জয় পায় মোহামেডান। ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা। সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে পাঁচ নম্বরে প্রাইম ব্যাংক। বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। এছাড়া হৃদয়ের ব্যাট থেকে ৫৫ বলে ৫৭ রান।
রান তাড়ায় মোহামেডানের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। চল্লিশের আগে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিন ব্যাটার। পাঁচে নেমে মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৭ রান করে ফেরেন। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেধে দলকে পথে ফেরান হৃদয় ও মিরাজ। দারুণ ব্যাটিংয়ে দুজন মিলে যোগ করেন ৯১ রান। ৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর টিকতে পারেননি হৃদয়।
হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন তিনি। পরে আরিফুলের সঙ্গে মিলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। ৫৫ বলের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
ম্যাচের প্রথমভাগে শুরুটা দুর্দান্ত করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। আবু হায়দারের প্রথম বলে চার মারেন তিনি। পরের বল ওড়ান ছক্কায়। ওই ওভারে আরও দুটি বাউন্ডারিসহ আসে ১৮ রান। তবে নাঈমকে বেশি দূর যেতে দেননি ইবাদত হোসেন।
জাকির হাসান, ইরফান শুক্কুরও হতাশ করেন। মাত্র ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রিশাদ হোসেনকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন শামীম। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে চলতি লীগে তার সাত ইনিংসে চতুর্থ ফিফটি ।
সাইফ উদ্দিনের স্লোয়ার বাউন্সারে থার্ড ম্যানে ধরা পড়ে সমাপ্তি ঘটে শামীমের ইনিংসের। ১০ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছক্কা ছিল ৪টি। ৫ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ইবাদতের শিকার ২৭ রানে ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : প্রাইম ব্যাংক ক্লাব ৩২.২ ওভারে ১৭৪ (শামীম ৮৯, আরাফাত ২১; ইবাদত ৩/২৭, তাইজুল ৩.২-০-৫-৪)। মোহামেডান স্পোর্টিং ৩০ ওভারে ১৭৭/৫ (হৃদয় ৫৭, মিরাজ ৬৭*; হাসান ৩/৩৩)।
ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।
জয়ে ফিরলো গুলশান
শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুলশানের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। রাব্বির প্রথম বলেই বড় শটের খোঁজে সীমানায় ধরা পড়ে যান সানি। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গল। তিন বলে চার রানের সমীকরণে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে দেন নিহাদ। দারুণ জয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসে গুলশান।
দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল গুলশান। ৯ ম্যাচে ৫ জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচসহ ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠল তারা। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ধানমন্ডির অবস্থান অষ্টম। টস হেরে ব্যাটিং পায় ধানমন্ডি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ২৫৮/৯ (হাবিবুর ৩২, ফজলে মাহমুদ ৬৫, ইয়াসির ২৮, সোহান ২৪, মইন ২৩, কামরুল ২৯, মুরাদ ৬*, মারুফ ০*; মেহেদি ৩/৫৯, পায়েল ৩/৫৯, ইলিয়াস ২/৫৫)।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৯.৪ ওভারে ২৫৯/৮ (জাওয়াদ ২২, আজিজুল ৩৯, লিটন ২৫, আলিফ ২৮, নাঈম ৬৮, খালিদ ৪২, ইলিয়াস ২৩; এনামুল ২/৪৪, কামরুল ২/৩৫, মঈন ২/৪২)। ম্যাচসেরা : নাঈম ইসলাম।
মোহামেডানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন মিরাজ
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে রবিবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শামীমের ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ১২০ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় মোহামেডান।
অন্য ম্যাচে শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে ২ উইকেটে জেতে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ২৫৯ রানের লক্ষ্যে ২ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
গতকাল শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টানা তৃতীয় জয় পায় মোহামেডান। ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা। সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে পাঁচ নম্বরে প্রাইম ব্যাংক। বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। এছাড়া হৃদয়ের ব্যাট থেকে ৫৫ বলে ৫৭ রান।
রান তাড়ায় মোহামেডানের শুরুটা তেমন ভালো ছিল না। চল্লিশের আগে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিন ব্যাটার। পাঁচে নেমে মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৭ রান করে ফেরেন। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেধে দলকে পথে ফেরান হৃদয় ও মিরাজ। দারুণ ব্যাটিংয়ে দুজন মিলে যোগ করেন ৯১ রান। ৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর টিকতে পারেননি হৃদয়।
হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন তিনি। পরে আরিফুলের সঙ্গে মিলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ। ৫৫ বলের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
ম্যাচের প্রথমভাগে শুরুটা দুর্দান্ত করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। আবু হায়দারের প্রথম বলে চার মারেন তিনি। পরের বল ওড়ান ছক্কায়। ওই ওভারে আরও দুটি বাউন্ডারিসহ আসে ১৮ রান। তবে নাঈমকে বেশি দূর যেতে দেননি ইবাদত হোসেন।
জাকির হাসান, ইরফান শুক্কুরও হতাশ করেন। মাত্র ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রিশাদ হোসেনকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন শামীম। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩২ বলে চলতি লীগে তার সাত ইনিংসে চতুর্থ ফিফটি ।
সাইফ উদ্দিনের স্লোয়ার বাউন্সারে থার্ড ম্যানে ধরা পড়ে সমাপ্তি ঘটে শামীমের ইনিংসের। ১০ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছক্কা ছিল ৪টি। ৫ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ইবাদতের শিকার ২৭ রানে ৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : প্রাইম ব্যাংক ক্লাব ৩২.২ ওভারে ১৭৪ (শামীম ৮৯, আরাফাত ২১; ইবাদত ৩/২৭, তাইজুল ৩.২-০-৫-৪)। মোহামেডান স্পোর্টিং ৩০ ওভারে ১৭৭/৫ (হৃদয় ৫৭, মিরাজ ৬৭*; হাসান ৩/৩৩)।
ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ।
জয়ে ফিরলো গুলশান
শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুলশানের প্রয়োজন ছিল ৬ রান। রাব্বির প্রথম বলেই বড় শটের খোঁজে সীমানায় ধরা পড়ে যান সানি। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গল। তিন বলে চার রানের সমীকরণে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে দেন নিহাদ। দারুণ জয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসে গুলশান।
দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল গুলশান। ৯ ম্যাচে ৫ জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচসহ ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠল তারা। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ধানমন্ডির অবস্থান অষ্টম। টস হেরে ব্যাটিং পায় ধানমন্ডি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ২৫৮/৯ (হাবিবুর ৩২, ফজলে মাহমুদ ৬৫, ইয়াসির ২৮, সোহান ২৪, মইন ২৩, কামরুল ২৯, মুরাদ ৬*, মারুফ ০*; মেহেদি ৩/৫৯, পায়েল ৩/৫৯, ইলিয়াস ২/৫৫)।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৪৯.৪ ওভারে ২৫৯/৮ (জাওয়াদ ২২, আজিজুল ৩৯, লিটন ২৫, আলিফ ২৮, নাঈম ৬৮, খালিদ ৪২, ইলিয়াস ২৩; এনামুল ২/৪৪, কামরুল ২/৩৫, মঈন ২/৪২)। ম্যাচসেরা : নাঈম ইসলাম।