লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আঞ্চলিক মহাসড়কে ছাত্র শিবিরের হাত বোমা বিস্ফোরণ ও অবরোধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
রোববার বিকালে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ নিউ মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে নাজমুল হাসান কাউসার ও ইয়াছিন আরাফাত নামে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কাউসার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও ইমন নোয়াখালী সদরের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের পাঠাগার ও অফিস সম্পাদক।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ঘণ্টাব্যাপী লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ও নোয়াখালীর আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এর প্রতিবাদে রোববার বিকালে ছাত্রদলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল করেন। এতে অভ্যন্তরীণ সড়কে জনসাধারণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিপু, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফ উদ্দিন জাবেদ, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান কাউসার, কফিল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন রাজু, ছাত্রদল নেতা রিংকু পাটোয়ারী, ছাত্রনেতা ইয়াকুব মুন্না রিপনসহ নেতাকর্মীরা ছিলেন।
ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম দিপু বলেন, “বিগত দিনে জামায়াত-শিবির আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন। আমাদের কোনো নেতাকর্মী ভুল করলে তা আলোচনার মাধ্যমে সামধান করা যেত। কিন্তু তারা সড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি ও হাত বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে না। আগামী দিনে চন্দ্রগঞ্জে কোনো নৈরাজ্য মেনে নেওয়া হবে না।”
ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান কাউসার বলেন, “ইমনের সঙ্গে আমার ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা আলোচনা করে সমাধান করা যেত। কিন্তু তারা মহাসড়ক অবরোধ ও ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এটি মেনে নিতে পারি না।”
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান বলেন, “ঘটনাটি সমাধানে বিএনপির লোকজন আশ্বস্ত করেছিল। এতে আমরা অবরোধ তুলে নিই। আমরা কোথাও কোনো অভিযোগ দিইনি। এর মধ্যে তারা প্রতিবাদ মিছিল করেছে। অবরোধের সময় কুচক্রী মহল হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “হাতাহাতি ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় আমাদের কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা সব সময় সতর্ক রয়েছি।”
রোববার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আঞ্চলিক মহাসড়কে ছাত্র শিবিরের হাত বোমা বিস্ফোরণ ও অবরোধ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
রোববার বিকালে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিলটি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ নিউ মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে নাজমুল হাসান কাউসার ও ইয়াছিন আরাফাত নামে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কাউসার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও ইমন নোয়াখালী সদরের আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের পাঠাগার ও অফিস সম্পাদক।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ঘণ্টাব্যাপী লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ও নোয়াখালীর আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন জামায়াত-শিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এ সময় বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এর প্রতিবাদে রোববার বিকালে ছাত্রদলের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল করেন। এতে অভ্যন্তরীণ সড়কে জনসাধারণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিপু, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফ উদ্দিন জাবেদ, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান কাউসার, কফিল উদ্দিন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন রাজু, ছাত্রদল নেতা রিংকু পাটোয়ারী, ছাত্রনেতা ইয়াকুব মুন্না রিপনসহ নেতাকর্মীরা ছিলেন।
ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম দিপু বলেন, “বিগত দিনে জামায়াত-শিবির আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সহযোদ্ধা ছিলেন। আমাদের কোনো নেতাকর্মী ভুল করলে তা আলোচনার মাধ্যমে সামধান করা যেত। কিন্তু তারা সড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তি ও হাত বোমা ফাটিয়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে না। আগামী দিনে চন্দ্রগঞ্জে কোনো নৈরাজ্য মেনে নেওয়া হবে না।”
ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান কাউসার বলেন, “ইমনের সঙ্গে আমার ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা আলোচনা করে সমাধান করা যেত। কিন্তু তারা মহাসড়ক অবরোধ ও ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এটি মেনে নিতে পারি না।”
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান বলেন, “ঘটনাটি সমাধানে বিএনপির লোকজন আশ্বস্ত করেছিল। এতে আমরা অবরোধ তুলে নিই। আমরা কোথাও কোনো অভিযোগ দিইনি। এর মধ্যে তারা প্রতিবাদ মিছিল করেছে। অবরোধের সময় কুচক্রী মহল হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ বলেন, “হাতাহাতি ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় আমাদের কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা সব সময় সতর্ক রয়েছি।”