নেত্রকোনা : হাওরে শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটার মৌসুম -সংবাদ
হাওরে শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটা ও মারাই কাজ। আসামি এক সপ্তাহের মাঝে নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে পুরোদমেই বোরো ফসল ঘরে তুলতে চলছে প্রস্তুতি। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার আগাম জাতের ধানে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এতেই বিপাকে পরেছেন চাষিরা। যদিও অণ্যান্য জাতের ধানে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জানাগেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে বিস্তীর্ন জমিতে একমাত্র বোরো ফসল আবাদ করেছেন চাষিরা। জেলার মদন, মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরীসহ বিভিন্ন উপজেলার হাওরে এখন কাঁচাপাকা ধানের মিশ্রন। প্রকৃতিতে বৈইছে উৎসবের আমেজ। খালিয়াজুরী হাওরের বেশকিছু এলাকয় এরইমধ্যে আগাম জাতের ধান কাঁতে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। কৃষকদের পরনো ঐতিহ্য দল বেধে কাঁচি দিয়ে ধান কাটার পাশাপাশি সরাকারি ভর্তূকি মূল্যের হারভেষ্টার মেশিনগুলো মাঠে নামছে। আসামি সপ্তাহে পুরোদমে ধান কাঁতে প্রস্ততি নিচ্ছেন কৃষক কৃষানিরা।
মদন গোবিন্দশ্রী হাওরের কৃষক হেলিম মিয়া, জগন্নাৎপুর গ্রামে রিপন সরকার, মতি মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, এবার বৃষ্টি পাত কম হয়েছে ফলে আগাম জাতের ধানের ফলন অনেক কম হয়েছে। যেখানে আগে ২৮ জাতের ধানের আবাদ করা হতো সেই জায়গায় এখন ৮৮ জাতের আগাম ধানের আবাদ করা হয়েছে। তবে গত বছর ফলন ভালো হলেও এবার অনেক কম হয়েছে। এর কারণ হিসেবে চলতি মৌশুমে বৃষ্টিপাত না হওয়াকেই দেখছেন কৃষকরা। এতে বিপাকে পরেছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত চাষিরা। আগাম বন্যার শঙ্কা মাথায় রেখে আগাম ও উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করেন হাওরের কৃষকরা। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে অসংখ্য চাষির। তবে ৮৮ ছাড়াও অণ্যান্য জাতের ধানে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান জানান এবার নেত্রকোণার ১০ উপজেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র হাওরেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫ হেক্টর। বোরো মৌশুমে ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৩৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য হবে প্রায় ২৭শ কোটি টাকা। শুধু হাওরেই প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকার চাল উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রায় ৭ শতাধিক হারভেষ্টার মেশিন প্রস্তত রাখা হয়েছে। আসামি সপ্তাহে হাওরে পুরদমে বোরো ধান কাটা শুরু হবে।
নেত্রকোনা : হাওরে শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটার মৌসুম -সংবাদ
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
হাওরে শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটা ও মারাই কাজ। আসামি এক সপ্তাহের মাঝে নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে পুরোদমেই বোরো ফসল ঘরে তুলতে চলছে প্রস্তুতি। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার আগাম জাতের ধানে ফলন কিছুটা কম হয়েছে। এতেই বিপাকে পরেছেন চাষিরা। যদিও অণ্যান্য জাতের ধানে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
জানাগেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো নেত্রকোণার হাওরাঞ্চলে বিস্তীর্ন জমিতে একমাত্র বোরো ফসল আবাদ করেছেন চাষিরা। জেলার মদন, মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরীসহ বিভিন্ন উপজেলার হাওরে এখন কাঁচাপাকা ধানের মিশ্রন। প্রকৃতিতে বৈইছে উৎসবের আমেজ। খালিয়াজুরী হাওরের বেশকিছু এলাকয় এরইমধ্যে আগাম জাতের ধান কাঁতে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। কৃষকদের পরনো ঐতিহ্য দল বেধে কাঁচি দিয়ে ধান কাটার পাশাপাশি সরাকারি ভর্তূকি মূল্যের হারভেষ্টার মেশিনগুলো মাঠে নামছে। আসামি সপ্তাহে পুরোদমে ধান কাঁতে প্রস্ততি নিচ্ছেন কৃষক কৃষানিরা।
মদন গোবিন্দশ্রী হাওরের কৃষক হেলিম মিয়া, জগন্নাৎপুর গ্রামে রিপন সরকার, মতি মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, এবার বৃষ্টি পাত কম হয়েছে ফলে আগাম জাতের ধানের ফলন অনেক কম হয়েছে। যেখানে আগে ২৮ জাতের ধানের আবাদ করা হতো সেই জায়গায় এখন ৮৮ জাতের আগাম ধানের আবাদ করা হয়েছে। তবে গত বছর ফলন ভালো হলেও এবার অনেক কম হয়েছে। এর কারণ হিসেবে চলতি মৌশুমে বৃষ্টিপাত না হওয়াকেই দেখছেন কৃষকরা। এতে বিপাকে পরেছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত চাষিরা। আগাম বন্যার শঙ্কা মাথায় রেখে আগাম ও উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করেন হাওরের কৃষকরা। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে অসংখ্য চাষির। তবে ৮৮ ছাড়াও অণ্যান্য জাতের ধানে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান জানান এবার নেত্রকোণার ১০ উপজেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র হাওরেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার ৭৫ হেক্টর। বোরো মৌশুমে ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৩৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য হবে প্রায় ২৭শ কোটি টাকা। শুধু হাওরেই প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকার চাল উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। প্রায় ৭ শতাধিক হারভেষ্টার মেশিন প্রস্তত রাখা হয়েছে। আসামি সপ্তাহে হাওরে পুরদমে বোরো ধান কাটা শুরু হবে।