গাইবান্ধার পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (আবাসিক প্রকৌশলী) মো. হারুন-অর-রশীদকে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি চালু ট্রান্সফর্মার চুরির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। কতৃপক্ষ বিভাগীয় মামলা করেছে।
গত ২১ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রের আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকো পিএলসির আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশীদ কর্মরত থাকা কালিন তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, গ্রাহক হয়রানী ও বেশ কিছু চালু ট্রান্সফর্মার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল।
সম্প্রতি সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্ধতন কতৃপক্ষ এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে রংপুর নেসকো পিএলসির প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডলকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
উক্ত তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ পায় যে , পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (আবাসিক প্রকৌশলী) মো. হারুন অর রশিদ গত ২ ফেব্রয়ারি-২৫ইং বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ভিতর থেকে ০৩ টি, (উপজেলা ফিডার) গাইবান্ধা রোড সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামন থেকে ১১ কেভি ১টি ও (বিএটিসি ফিডার) রংপুর রোড টোবাকো কোম্পানির সামনে থেকে ১১ কেভি ১টি ট্রান্সফর্মারসহ ৩০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি চালু ট্রান্সফর্মার ট্রাকে যোগে চুরি করে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অফিসের একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা এই তদন্ত নিয়ে একান্তই (ইদুর-বিড়াল) লুকোচুরি খেলেছেন,তারা আরো জানান,এই ৫টি ছাড়াও আরো একাধিক ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে এবং ট্রান্সফর্মারগুলো চুরির সঙ্গে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছেন। অধিকতর তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়বে।
বিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ৫টি ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নেসকো চাকরিবিধি, ২০২৩ এর ৮.১ (বি) ও (ডি) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতি পরায়ণের আওতাভুক্ত এবং একই বিধিমালার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সেহেতু, মো. হারুন-অর-রশীদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ, গাইবান্ধা-কে নেসকো চাকরিবিধি, ২০২৩ এর বিধি ৮.৯ (এ) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)-এর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকালে তাকে সংযুক্ত দপ্তরে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে এবং বিধি মোতাবেক খোরাকি সুবিধা পাবেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান রংপুর নেসকো পিএলসির প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘তদন্তে প্রাথমিকভাবে চুরি প্রমাণিত হওয়ায় আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে।’
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য গাইবান্ধা নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিফ তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির নিকট বিকাশ নম্বর চান।
এ ব্যাপারে নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক মো. ফেরদাউছ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে এই দুর্নীতিবাজ ও ট্রান্সফর্মার চুরির হোতা আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদসহ তার দোসরদের শাস্তির আওতায় আনতে অফিস স্টাফ এবং স্থানীয় গ্রাহকদের সামনে পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকো’র উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (আবাসিক প্রকৌশলী) মো. হারুন-অর-রশীদকে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি চালু ট্রান্সফর্মার চুরির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে। কতৃপক্ষ বিভাগীয় মামলা করেছে।
গত ২১ মার্চ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রের আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা যায়, পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকো পিএলসির আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশীদ কর্মরত থাকা কালিন তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, গ্রাহক হয়রানী ও বেশ কিছু চালু ট্রান্সফর্মার চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছিল।
সম্প্রতি সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্ধতন কতৃপক্ষ এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে রংপুর নেসকো পিএলসির প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডলকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
উক্ত তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে সাক্ষ্য প্রমাণ পায় যে , পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নেসকোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (আবাসিক প্রকৌশলী) মো. হারুন অর রশিদ গত ২ ফেব্রয়ারি-২৫ইং বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ভিতর থেকে ০৩ টি, (উপজেলা ফিডার) গাইবান্ধা রোড সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামন থেকে ১১ কেভি ১টি ও (বিএটিসি ফিডার) রংপুর রোড টোবাকো কোম্পানির সামনে থেকে ১১ কেভি ১টি ট্রান্সফর্মারসহ ৩০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫টি চালু ট্রান্সফর্মার ট্রাকে যোগে চুরি করে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই অফিসের একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা এই তদন্ত নিয়ে একান্তই (ইদুর-বিড়াল) লুকোচুরি খেলেছেন,তারা আরো জানান,এই ৫টি ছাড়াও আরো একাধিক ট্রান্সফর্মার চুরি হয়েছে এবং ট্রান্সফর্মারগুলো চুরির সঙ্গে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছেন। অধিকতর তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়বে।
বিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ৫টি ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নেসকো চাকরিবিধি, ২০২৩ এর ৮.১ (বি) ও (ডি) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতি পরায়ণের আওতাভুক্ত এবং একই বিধিমালার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সেহেতু, মো. হারুন-অর-রশীদ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ, গাইবান্ধা-কে নেসকো চাকরিবিধি, ২০২৩ এর বিধি ৮.৯ (এ) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করে তাকে নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং)-এর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকালে তাকে সংযুক্ত দপ্তরে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে এবং বিধি মোতাবেক খোরাকি সুবিধা পাবেন।
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান রংপুর নেসকো পিএলসির প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘তদন্তে প্রাথমিকভাবে চুরি প্রমাণিত হওয়ায় আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে।’
এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির সদস্য গাইবান্ধা নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিফ তদন্তাধীন বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধির নিকট বিকাশ নম্বর চান।
এ ব্যাপারে নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক মো. ফেরদাউছ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলা বাসীর পক্ষ থেকে এই দুর্নীতিবাজ ও ট্রান্সফর্মার চুরির হোতা আবাসিক প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদসহ তার দোসরদের শাস্তির আওতায় আনতে অফিস স্টাফ এবং স্থানীয় গ্রাহকদের সামনে পুনরায় তদন্তের দাবি জানিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।