কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : আবু তালেব হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বেদে পল্লীর মানুষ -সংবাদ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে আবু তালেব হত্যার মামলা থেকে মাস্টারমাইন্ড সেলিমকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে থানায় অবস্থান ও ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বেঁদেপল্লীর লোকজন।
বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, সেলিম এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে পুলিশের কেন এতো সখ্যতা। বিক্ষোভ চলাকালীন মিডিয়াকর্মিদের সামনে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দিতে শোনা গেছে।
বিক্ষোভে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্টির প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার প্রতিবাদে তারা থানার ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাদের দাবির কথা তুলে ধরতে ওসির সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। কিন্ত ওসি তাদের সামনে আসেননি। এরপর তাদের প্রতিবাদ আরো জোরালো হতে থাকে। সেখানে বেশ কিছু সময় ধরে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা ঘন্টাব্যাপি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে রাস্তার দু’পাশে শত শত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সবশেষে ওসির অপসারণের জন্য তারা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু তালেব (২৬) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীমকে থানায় ডেকে মামলার বাদি করানো হয়। কিন্তু এজাহারে কি লেখা আছে সেটি তিনি কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। মামলায় রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে। যাকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এ মামলায় আটক রুবেল হোসেনের স্ত্রী মাবিয়া খাতুনও হত্যার সঠিক বিচারের দাবিতে তাদের সাথে থানায় এসেছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, তার স্বামী রুবেলকে ওই দিন ভোররাতে ডেকে নিয়ে যায় সেলিম। তাকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে তাকে দিয়ে আবু তালেবকে হত্যা করানো হয়েছে। তিনি বলেন, একজন মানুষ হয়ে তার স্বামী রুবেল ও সেলিম হত্যায় জড়িত থাকায় তিনিও তাদের শাস্তি চাচ্ছেন।
নিহত আবু তালেবের স্ত্রী জানেদা বেগমের অভিযোগ, এলাকার সবাই বলছেন এমনকি আটক রুবেলের স্ত্রীও বলছেন গভীর রাতে মাদক ব্যবসায়ী সেলিম তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার দিয়ে তালেবকে হত্যা করিয়েছে। ফলে সেলিম এ হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী। অথচ ওসি নিজে সেলিমের নাম বাদ দিয়ে অপরাধীকে বাচাতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, কালীগঞ্জবাসীর কল্যানের জন্য এই ওসির অপসারন প্রয়োজন।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : আবু তালেব হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বেদে পল্লীর মানুষ -সংবাদ
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে আবু তালেব হত্যার মামলা থেকে মাস্টারমাইন্ড সেলিমকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে সাদা কাগজে বাদীর স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে থানায় অবস্থান ও ঘন্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বেঁদেপল্লীর লোকজন।
বিক্ষোভকারীদের ভাষ্য, সেলিম এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে পুলিশের কেন এতো সখ্যতা। বিক্ষোভ চলাকালীন মিডিয়াকর্মিদের সামনে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের অপসারণের দাবিতে শ্লোগান দিতে শোনা গেছে।
বিক্ষোভে পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্টির প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার প্রতিবাদে তারা থানার ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাদের দাবির কথা তুলে ধরতে ওসির সাথে সাক্ষাৎ করতে চান। কিন্ত ওসি তাদের সামনে আসেননি। এরপর তাদের প্রতিবাদ আরো জোরালো হতে থাকে। সেখানে বেশ কিছু সময় ধরে বিক্ষোভ করেন। পরে তারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা ঘন্টাব্যাপি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে রাস্তার দু’পাশে শত শত গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। সবশেষে ওসির অপসারণের জন্য তারা তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু তালেব (২৬) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীমকে থানায় ডেকে মামলার বাদি করানো হয়। কিন্তু এজাহারে কি লেখা আছে সেটি তিনি কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। মামলায় রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে। যাকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এ মামলায় আটক রুবেল হোসেনের স্ত্রী মাবিয়া খাতুনও হত্যার সঠিক বিচারের দাবিতে তাদের সাথে থানায় এসেছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, তার স্বামী রুবেলকে ওই দিন ভোররাতে ডেকে নিয়ে যায় সেলিম। তাকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে তাকে দিয়ে আবু তালেবকে হত্যা করানো হয়েছে। তিনি বলেন, একজন মানুষ হয়ে তার স্বামী রুবেল ও সেলিম হত্যায় জড়িত থাকায় তিনিও তাদের শাস্তি চাচ্ছেন।
নিহত আবু তালেবের স্ত্রী জানেদা বেগমের অভিযোগ, এলাকার সবাই বলছেন এমনকি আটক রুবেলের স্ত্রীও বলছেন গভীর রাতে মাদক ব্যবসায়ী সেলিম তার স্বামীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার দিয়ে তালেবকে হত্যা করিয়েছে। ফলে সেলিম এ হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী। অথচ ওসি নিজে সেলিমের নাম বাদ দিয়ে অপরাধীকে বাচাতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, কালীগঞ্জবাসীর কল্যানের জন্য এই ওসির অপসারন প্রয়োজন।