দশমিনা (পটুয়াখালী) : নতুন ধানের জাত বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাশপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে যেন সবুজের সমারোহ। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এলাকার কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। বোরো আবাদের সংকল্প দেখে মনে হয় এমন পরিশ্রমী কৃষকদের জন্যই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষিতে কৃষকরা নতুন করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে উপজেলা দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের আজাহার সাথে কথা হয়। বাপ-দাদার সূত্র ধরে পাওয়া পেশাজীবী কৃষক। গ্রামেই বোরো চাষাবাদে পানির অভাব রয়েছে। জোয়ার-ভাটা ব্যাহত হওয়ায় পানিশূণ্য হয়ে পরে কৃষি জমি। মাটির জো শেষ হয়ে আসায় শেষ সম্ভাবনা টুকু হারাতে চায়নি কৃষক আজাহার। তিনি জানায়, ‘খড়ার কারণে জমিতে পানি নাই। বোরো রুইয়ে ধান কামাই করমুই। বউ গুরাগারা লইয়া বচ্ছর চলতে ফলাইতেই অইবে। কি আর করমু পানির লাইন রোওনের জোবা হারাইয়া লাভ কি! বুড়া আঙ্গুল দিয়ে গত কর্ইরা বীজ ঢুকাই, বালতির পানি দিয়া টিপ্পা টিপ্পা লাগাই।’ এই বছর এই গ্রামের ৩৫ কৃষক ২৬ একর উফসী বোরো চাষাবাদ করছে। সংকল্পিত কৃষকরা উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া, মধ্য বাঁশবাড়িয়া, গছানী, ঢনঢনিয়া, চরহোসনাবাদ, নেহালগঞ্জ, আদমপুর, বহরমপুর, বগুরা, দশমিনা, হাজিকান্দা, গোলখালী, আরজবেগী, সৈয়দজাফর, লক্ষীপুর, নিজাবাদ-গোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, জাফ্রাবাদ, মাছুয়াখালী, আলীপুর, যৌতা, খলিশাখালী, চাঁদপুরা, রণগোপালদী, আউনিয়াপুর, গুলি, চরঘুনি, চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদি গ্রামে এই বছর উফসী বোরো আবাদ করছে। সবচেয়ে বড় ব্লক উত্তর বাঁশবাড়িয়ার সভাপতি নুর জামাল গাজী জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে উফসী বোরো আবাদ করছি। ব্লকের ৫০ কৃষক মিলে প্রায় দেড়’শ একর জমির চাষাবাদ সম্পন্ন করেছি ইতিমধ্যে। আশানুরূপ ফলন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, এই বছর ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে উফসী বোরো আবাদ করছে উপজেলার কৃষকরা। আশানুরূপ ফলন পেতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছি। চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
দশমিনা (পটুয়াখালী) : নতুন ধানের জাত বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে -সংবাদ
সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাশপাড়া গ্রামের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে যেন সবুজের সমারোহ। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এলাকার কৃষকরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। বোরো আবাদের সংকল্প দেখে মনে হয় এমন পরিশ্রমী কৃষকদের জন্যই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষিতে কৃষকরা নতুন করে সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে।
সরেজমিনে উপজেলা দক্ষিণ দাসপাড়া গ্রামের আজাহার সাথে কথা হয়। বাপ-দাদার সূত্র ধরে পাওয়া পেশাজীবী কৃষক। গ্রামেই বোরো চাষাবাদে পানির অভাব রয়েছে। জোয়ার-ভাটা ব্যাহত হওয়ায় পানিশূণ্য হয়ে পরে কৃষি জমি। মাটির জো শেষ হয়ে আসায় শেষ সম্ভাবনা টুকু হারাতে চায়নি কৃষক আজাহার। তিনি জানায়, ‘খড়ার কারণে জমিতে পানি নাই। বোরো রুইয়ে ধান কামাই করমুই। বউ গুরাগারা লইয়া বচ্ছর চলতে ফলাইতেই অইবে। কি আর করমু পানির লাইন রোওনের জোবা হারাইয়া লাভ কি! বুড়া আঙ্গুল দিয়ে গত কর্ইরা বীজ ঢুকাই, বালতির পানি দিয়া টিপ্পা টিপ্পা লাগাই।’ এই বছর এই গ্রামের ৩৫ কৃষক ২৬ একর উফসী বোরো চাষাবাদ করছে। সংকল্পিত কৃষকরা উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া, মধ্য বাঁশবাড়িয়া, গছানী, ঢনঢনিয়া, চরহোসনাবাদ, নেহালগঞ্জ, আদমপুর, বহরমপুর, বগুরা, দশমিনা, হাজিকান্দা, গোলখালী, আরজবেগী, সৈয়দজাফর, লক্ষীপুর, নিজাবাদ-গোপালদী, বেতাগী-সানকিপুর, জাফ্রাবাদ, মাছুয়াখালী, আলীপুর, যৌতা, খলিশাখালী, চাঁদপুরা, রণগোপালদী, আউনিয়াপুর, গুলি, চরঘুনি, চরবোরহান, চরশাহজালাল, চরহাদি গ্রামে এই বছর উফসী বোরো আবাদ করছে। সবচেয়ে বড় ব্লক উত্তর বাঁশবাড়িয়ার সভাপতি নুর জামাল গাজী জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে উফসী বোরো আবাদ করছি। ব্লকের ৫০ কৃষক মিলে প্রায় দেড়’শ একর জমির চাষাবাদ সম্পন্ন করেছি ইতিমধ্যে। আশানুরূপ ফলন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, এই বছর ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে উফসী বোরো আবাদ করছে উপজেলার কৃষকরা। আশানুরূপ ফলন পেতে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছি। চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।