চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ভুট্টা চাষের বিপ্লব ঘটেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ এবার ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকার ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। অল্প পুঁজি ও স¦ল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকার চাষিরা এবারও ব্যাপকভাবে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এবারও ভুট্টার বাম্পার ফলন ভালো হওয়ার কারণে ভুট্টা চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যে নতুন ভুট্টা বাজারে আসায় বাজারে চাহিদা প্রচুর।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। অর্জিত ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের আশা করছে। উৎপাদিত ভুট্টার বাজার দর ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। বিগত বছরগুলোতে ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছে।
উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, মদনা, কুড়ালগাছি, চন্দ্রবাস, জুড়ানপুর, জয়রামপুর, দেউলি, নতিপোতা, কলাবাড়ি, গোপালপুর, লোকনাথপুর এলাকায় ব্যাপকভাবে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ভুট্টা চাষি আ. মজিদ, আজিজুল, ইউনুছ, কাদের, বদন পুর গ্রামের মোফাজেজ্জল, নাপিতখালী গ্রামের নজরুল, জয়রামপুর গ্রামের সাত্তার বলেন প্রতি বছর আমরা আগাম জাতের ভুট্টার চাষ করে থাকি। গত বছর ভুট্টা উঠার সঙ্গে সঙ্গে ডেপ ভুট্টা ভালো দামে বিক্রি করেছি। পরে দাম কমে গেলে ভুট্টা চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভুট্টা কম-বেশি যাই আবাদ হউক না কেন সেটা বিষয় নয়। চাই ভুট্টার সুষ্ঠ বাজারদর। সরকারিভাবে ভুট্টার বাজারদর বেঁধে দিলে চাষিরা উপকৃত হবে। নচেৎ মধ্যস্বত্তভোগিরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা মাথায় চেপে যাবে ভুট্টা চাষিদের। তারা বলেন, ভুট্টা চাষে একদিকে খরচ কম অন্যদিকে ফলন ও লাভও অনেক বেশি। কারণ হিসেবে তারা আরও বলেন, ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্য ফসলে চাষিরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হন। অন্যদিকে রবি মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লেও ভুট্টার ফলন তুলনামুলক ভালো পাওয়া যায়। যেখানে সেচ সুবিধা আছে সেখানে ধানের পর পরই এবার কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে ভুট্টা।
বর্তমানে ভুট্টার বহুমুখী ব্যাবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলনও বেশি হয়। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চাষিরা এবার বিঘাপ্রতি ৩০-৪৫ মণ ভুট্টা ঘরে তুলছে। স্থানীয় বাজারে ভুট্টা ব্যবসায়ী আশরাফুলসহ অনেকে বলেন, প্রকারভেদে ডেপ ভুট্টা ৯৫০ টাকা এবং সুট ১১৯০ থেকে ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন ভুট্টা বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কৃষিবিদ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল, অল্প খরচ, রোগবালাই কম এবং বাজার দর ভালো থাকার কারণে ও অধিক ফলনের জন্য রবি মৌসুমে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ভুট্টা চাষের বিপ্লব ঘটেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ এবার ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকার ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। অল্প পুঁজি ও স¦ল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় এলাকার চাষিরা এবারও ব্যাপকভাবে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এবারও ভুট্টার বাম্পার ফলন ভালো হওয়ার কারণে ভুট্টা চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যে নতুন ভুট্টা বাজারে আসায় বাজারে চাহিদা প্রচুর।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। অর্জিত ১২ হাজার ৫০ হেক্টর জমি থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের আশা করছে। উৎপাদিত ভুট্টার বাজার দর ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা। বিগত বছরগুলোতে ভুট্টার ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছে।
উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা, মদনা, কুড়ালগাছি, চন্দ্রবাস, জুড়ানপুর, জয়রামপুর, দেউলি, নতিপোতা, কলাবাড়ি, গোপালপুর, লোকনাথপুর এলাকায় ব্যাপকভাবে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। ভুট্টা চাষি আ. মজিদ, আজিজুল, ইউনুছ, কাদের, বদন পুর গ্রামের মোফাজেজ্জল, নাপিতখালী গ্রামের নজরুল, জয়রামপুর গ্রামের সাত্তার বলেন প্রতি বছর আমরা আগাম জাতের ভুট্টার চাষ করে থাকি। গত বছর ভুট্টা উঠার সঙ্গে সঙ্গে ডেপ ভুট্টা ভালো দামে বিক্রি করেছি। পরে দাম কমে গেলে ভুট্টা চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভুট্টা কম-বেশি যাই আবাদ হউক না কেন সেটা বিষয় নয়। চাই ভুট্টার সুষ্ঠ বাজারদর। সরকারিভাবে ভুট্টার বাজারদর বেঁধে দিলে চাষিরা উপকৃত হবে। নচেৎ মধ্যস্বত্তভোগিরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা মাথায় চেপে যাবে ভুট্টা চাষিদের। তারা বলেন, ভুট্টা চাষে একদিকে খরচ কম অন্যদিকে ফলন ও লাভও অনেক বেশি। কারণ হিসেবে তারা আরও বলেন, ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। কিন্তু অন্য ফসলে চাষিরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হন। অন্যদিকে রবি মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লেও ভুট্টার ফলন তুলনামুলক ভালো পাওয়া যায়। যেখানে সেচ সুবিধা আছে সেখানে ধানের পর পরই এবার কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে ভুট্টা।
বর্তমানে ভুট্টার বহুমুখী ব্যাবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টার ফলনও বেশি হয়। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চাষিরা এবার বিঘাপ্রতি ৩০-৪৫ মণ ভুট্টা ঘরে তুলছে। স্থানীয় বাজারে ভুট্টা ব্যবসায়ী আশরাফুলসহ অনেকে বলেন, প্রকারভেদে ডেপ ভুট্টা ৯৫০ টাকা এবং সুট ১১৯০ থেকে ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন ভুট্টা বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কৃষিবিদ ও কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল, অল্প খরচ, রোগবালাই কম এবং বাজার দর ভালো থাকার কারণে ও অধিক ফলনের জন্য রবি মৌসুমে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে।