কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আলমগীর প্যাদাকে (৩৫) চাচাতো ভাই হাবিল প্যাদা, হোসেন প্যাদা ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শনিবার হোসেন প্যাদাকে আটক করেছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের নিহত আলমগীর প্যাদার বড় ভাই আবুল প্যাদা তার জমিতে গত বৃহস্পতিবার সকালে কলাগাছ রোপণ করেন। ওই গাছগুলো হাবিল প্যাদা ও জিয়া প্যাদা কেটে ফেলে। এ গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আলমগীর প্যাদা ও হাবিল প্যাদার মধ্যে ওই দিন রাতে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শালিস সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মুসুল্লি আসতে না পারায় বৈঠক হয়নি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলমগীর প্যাদা দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় ওত পেতে থাকা হাবিল প্যাদা, জিয়া প্যাদা, হোসেন প্যাদা, শাহারুল প্যাদা, দুদুল প্যাদা, জহিরুল প্যাদাসহ ১২-১৫ জনে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে আলমগীর প্যাদা বড় ভাই আবুল প্যাদা, জুলহাস প্যাদা ও শাহিনুর বেগম তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাদের পিটিয়ে জখম করে তারা। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে নেয়ার পরে চিকিৎসক মশিউর রহমান আহত আলমগীর প্যাদাকে মৃত্য ঘোষনা করেছেন। অপর আহদের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে নিহত আলমগীর প্যাদার চাচা তৈয়ব আলী প্যাদাকে স্বাধীনতার পূর্বে হাবিল প্যাদার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। ওই ঘটনায় তখন মামলা হয়নি। পুলিশ নিহত আলমগীরের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হোসেন প্যাদাকে আটক করেছে। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী) সার্কেল তারিকুল ইসলাম মাসুদ ও আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত আলমগীর প্যাদার ভাতিজা আহত জুলহাস প্যাদা বলেন, আমার দাদা আবুল প্যাদা তার জমিতে কলাগাছ রোপন করেছে। ওই গাছ হাবিল প্যাদার ও তার লোকজন কেটে ফেলে। এ নিয়ে চাচা আলমগীর প্যাদার সঙ্গে হাবিল প্যাদার মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শুক্রবার শালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিশ সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মুসুল্লী আসতে পারেনি। তাই শালিস হয়নি। ওই সুযোগে হাবিল প্যাদা, জিয়া প্যাদা, হোসেন প্যাদা, শাহারুল প্যাদা, দুদুল প্যাদা, জহিরুল প্যাদাসহ ১২-১৫ জনে শুক্রবার রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার চাচাকে রক্ষায় আমি, দাদা আবুল প্যাদা ও বোন শাহিনুর বেগম এগিয়ে গেলে আমাদের পিটিয়ে জখম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার আরেক দাদা তৈছুব আলী প্যাদাকে স্বাধীনতার পূর্বে হাবিল প্যাদার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার দাবি করছি।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আলমগীর প্যাদাকে (৩৫) চাচাতো ভাই হাবিল প্যাদা, হোসেন প্যাদা ও তার সহযোগীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শনিবার হোসেন প্যাদাকে আটক করেছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের নিহত আলমগীর প্যাদার বড় ভাই আবুল প্যাদা তার জমিতে গত বৃহস্পতিবার সকালে কলাগাছ রোপণ করেন। ওই গাছগুলো হাবিল প্যাদা ও জিয়া প্যাদা কেটে ফেলে। এ গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আলমগীর প্যাদা ও হাবিল প্যাদার মধ্যে ওই দিন রাতে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শালিস সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মুসুল্লি আসতে না পারায় বৈঠক হয়নি। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলমগীর প্যাদা দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল। ওই সময় ওত পেতে থাকা হাবিল প্যাদা, জিয়া প্যাদা, হোসেন প্যাদা, শাহারুল প্যাদা, দুদুল প্যাদা, জহিরুল প্যাদাসহ ১২-১৫ জনে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে আলমগীর প্যাদা বড় ভাই আবুল প্যাদা, জুলহাস প্যাদা ও শাহিনুর বেগম তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাদের পিটিয়ে জখম করে তারা। পরে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালে নেয়ার পরে চিকিৎসক মশিউর রহমান আহত আলমগীর প্যাদাকে মৃত্য ঘোষনা করেছেন। অপর আহদের ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ রয়েছে নিহত আলমগীর প্যাদার চাচা তৈয়ব আলী প্যাদাকে স্বাধীনতার পূর্বে হাবিল প্যাদার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। ওই ঘটনায় তখন মামলা হয়নি। পুলিশ নিহত আলমগীরের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হোসেন প্যাদাকে আটক করেছে। গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (আমতলী-তালতলী) সার্কেল তারিকুল ইসলাম মাসুদ ও আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত আলমগীর প্যাদার ভাতিজা আহত জুলহাস প্যাদা বলেন, আমার দাদা আবুল প্যাদা তার জমিতে কলাগাছ রোপন করেছে। ওই গাছ হাবিল প্যাদার ও তার লোকজন কেটে ফেলে। এ নিয়ে চাচা আলমগীর প্যাদার সঙ্গে হাবিল প্যাদার মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শুক্রবার শালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিশ সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মুসুল্লী আসতে পারেনি। তাই শালিস হয়নি। ওই সুযোগে হাবিল প্যাদা, জিয়া প্যাদা, হোসেন প্যাদা, শাহারুল প্যাদা, দুদুল প্যাদা, জহিরুল প্যাদাসহ ১২-১৫ জনে শুক্রবার রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার চাচাকে রক্ষায় আমি, দাদা আবুল প্যাদা ও বোন শাহিনুর বেগম এগিয়ে গেলে আমাদের পিটিয়ে জখম করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার আরেক দাদা তৈছুব আলী প্যাদাকে স্বাধীনতার পূর্বে হাবিল প্যাদার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার দাবি করছি।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।