alt

সারাদেশ

ভালুকায় পানির স্তর নিচে নামায় নষ্ট হচ্ছে সাবমার্সিবল, বাড়ছে দুর্র্ভোগ

প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ) : শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ভালুকা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ বাসা বাড়ির সাব মার্সিবল নলকূপ নষ্ট হয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাসা বাড়ির নষ্ট নলকূপ মেরামতে কল মিস্ত্রিদের চাহিদা বেড়ে গেছে সর্বত্র। পানির স্তর নীচে নামায় অজানা বসত মটর চালু রাখায় মটর গরম হয়ে পিবিসি পাইপের হাউজিং চেপে গিয়ে অনেকের মটর অকেজো হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পানির চাহিদা মেটাতে অনেকে নতুন করে নলকূপ স্থাপন করতে বাধ্য হলেও অর্থনৈতিক কারণে অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না নতুন কল বসানো। ১১ এপ্রিল শুক্রবার পৌরসভার মেজরভিটা এলাকার একটি সাব মার্সিবল মেরামত করার সময় কল মিস্ত্রি আরিফ মিয়া জানান ওই কলটি পানির স্তর নীচে নামায় মটর চালু থাকায় গরম হয়ে পিবিসি পাইপ চেপে মোটর আটকে যাওয়ায় উঠা নামা না করায় সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এ রকম আরও ৫টি সাবমার্সিবল আটকে রয়েছে। গত কয়েকদিনে তিনি একাই ৩০টির মতো অকেজো সাব মার্সিবল নলকূপে পানির স্তর নেমে যাওয়ায ১০ ফুটপাইপ সংযোজন করে নীচে পানির চলমান স্তরে মটর নামিয়ে পানি উত্তেলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মিস্ত্রিরা জানান প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে এলাকাবেধে পানির স্তর ৬০ থেকে ৭০ ফুট নীচে নেমে যাওয়ায় পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সাবমার্সিবল অকেজো হয়ে পানির সংকট বেড়ে গেছে। ওই সব অকেজো নলকূপ সাড়াতে মিস্ত্রিরা দিনরাত কাজ করছেন। বর্তমানে বিদ্যুতায়িত হওয়ায় পৌর এলাকাসহ উপজেলার প্রায় গ্রামেই মোটর চালিত সাবমার্সিবল পানির পাম্পের প্রচলন বেড়ে গিয়েছে। কমেছে চাপ কলের ব্যবহার। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহ বয়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে অধিকাংশ পানির কলে পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা সারাতে লোকজন ভিড় করছেন টিউবওয়েলের দোকানে আর দারস্থ হচ্ছেন টিউবওয়েল মিস্ত্রিদের। গত কয়েক বছর ধরে ভালুকা পৌর এলাকার বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত উপরের লেয়ারে স্থাপনকৃত চাপকল গুলি একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডিপসেট সাবমার্সিবল টিউবওয়েল ব্যবহার করছেন। টিউবওয়েল মিস্ত্রিদের সাথে কথা বলে জানাযায় ভালুকা পৌর এলাকার মেজর ভিটা, ঢালী ভবন, তোতাখাঁর ভিটায় বর্তমানে পানির স্তর ৭০ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে বেশিরভাগ সাবমার্সিবল মোটর চালিত পানির পাম্পগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সারাতে তারা দিন রাত বাসায় বাসায় কাজ করছেন। এসব কলের কোনটায় অতিরিক্ত ১০ ফুট কোনটার ১৫ ফুট পাইপ সংযোজন করে নিচে নামিয়ে পানির লেয়ারে স্থাপন করে পানি উঠাতে সক্ষম হচ্ছেন। আর যেসব চাপ কলে হাউজিং করে ৭০ ফুটের নীচে পিষ্টন বাকেট স্থাপন করা আছে শুধু মাত্র ওইসব চাপকল গুলি পানি দিচ্ছে। কল মিস্ত্রিরা জানান যদিও চৈত্র মাসে খরার কারনে প্রতি বছর তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় এ বছর তারা প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন। তারা জানায় গত ৫ বছরের মধ্যে এত নিচে পানির স্তর কখনো নামেনি। এ সময় যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে পানির স্তর আরও নীচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন পানি সংকট ব্যপক আকার ধারণ করতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় শতকরা ৮০টি টিউবওয়েল একই অবস্থা। স্তর নীচে নামার কারনে পানি উত্তোলনে ব্যঘাত ঘটচ্ছে। যারা ৮০ ফুট নীচে মোটর স্থাপন করেছেন তাদের কলে এখনও পর্যন্ত পানি উঠছে।

অনেকেই বলছেন এ অঞ্চলে বিগত বছরগুলোতে খরা মৌসুমে পানির স্তর সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ ফুট পর্যন্ত নামলেও তা স্থায়ী হয়নি। কিন্ত এ বছর ৬০ থেকে ৭০ ফুটের নীচে পানির স্তর নেমে গেছে। কারন হিসেবে অভিজ্ঞরা বলছেন এজন্য পরিবেশ বিপর্যয় একমাত্র দায়ী। এক সময়ের ভালুকার ক্ষীরু নদী খাল বিল পুকুর আর বড় বড় বৃক্ষের সমারোহে আদ্রতায় ভরা ছিল আবহাওয়া, জলীয় বাষ্প অনুকূল থাকায় যথা সময়ে বৃষ্টিপাত ও পুকুর খালবিলে প্রচুর পানি থাকার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক ওপরে অর্থাৎ ৩০-৩৫ ফুটের মধ্যে স্থিতাবস্থায় থাকত। গত কয়েকবছর ধরে নির্বিচারে ছোট বড় বৃক্ষ কর্তনের ফলে ছায়াশুন্য মাটিতে কেবলই বাধাহীন সূর্যের তাপদাহ আর ভরাট হওয়া পানিশূন্য পুকুর নদী খাল বিল গুলো পানিশূন্য হয়ে যেন খা খা করছে। অপরদিকে একশ্রেণীর ভূমিদস্যুরা শিল্পপতিদের মদদপুষ্ট হয়ে স্বল্পমুল্যে জলাভূমি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে মাটি ফেলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে তাতে দেদার্সে শিল্প কারখানা স্থাপন আর পরিবেশ ধ্বংস করছেন। যা দেখা বা প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কোন সংশ্লিষ্ট মহল। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি সেচে ব্যবহৃত গভীর নলকূপ ছাড়াও কয়েকশ মিল ফ্যাক্টরিতে শক্তিশালী গভীর নলকূপ দিয়ে দিন রাত পানি উত্তোলন করার কারনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের আরও অবনতি হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের পক্ষে ৩০-৩৫ হাজার টাকায় একটি সাবমার্সিবল পানির কল স্থাপন সম্ভব নয়। খরা মৌসুমে এসব মানুষের খাবার পানি অন্যের বাড়ি থেকে আনতে হয়।

কারন চাপ কল কিংবা টানা কলে এখন আর পানি পাওয়া যায়না। খড়ার কারনে তাপদাহ অব্যাহত থাকলে খাবার পানি ও কৃষিতে সেচ কাজ ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

ছবি

রামু থানার সাবেক এস আই শামসুল আরেফিন তোহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী

ছবি

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় ২ পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, ৪৫ জন আটক

গাজীপুরে ইসরাইল বিরোধী মিছিল থেকে কারখানায হামলা

ছবি

প্লাস্টিকসামগ্রীর দাপটে ঐতিহ্য হারাচ্ছে বাঁশ-বেত শিল্প

ছবি

উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন চা-বাগান মালনীছড়া

যশোরে সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার ভিসেরা প্রতিবেদনের তথ্য ‘ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা’

তরমুজ লাল না হওয়ায় দুজনকে কুপিয়ে জখম

হবিগঞ্জে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জে জীবাশ্ম জ্বালানি পরিহার করে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ দাবি

রাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনে লড়ছে ৭৬ জন

লিচু ও লাউয়ের নতুন পোকার জাত শনাক্ত

ছবি

নানা কারণে কদর কমেছে মাটির তৈরি তৈজসপত্রের

নারায়ণগঞ্জে ‘রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে’ কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

আশুগঞ্জে কুচিয়া ধরতে গিয়ে নিখোঁজ করিমগঞ্জের শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

মতলব উত্তরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

মসজিদের পুরস্কার আত্মসাৎ, কেশবপুরে বিদ্যুতের পরিচালকের অপসারণ দাবি

ভাঙ্গায় পুকুর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

একটি সেতুর জন্য চার জেলার লক্ষাধিক মানুষের হাহাকার

ছবি

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সব পদে বিএনপি-জামায়াতপন্থিদের প্রার্থিতা চূড়ান্ত, ভোট ছাড়াই নির্বাচিত

মিষ্টি আলুর আবাদ করে লাভবান নবীনগরের কৃষক

ঘিওরে বৈশাখের বাজার সামনে রেখে ব্যস্ততা বেড়েছে কুটির ও মৃৎশিল্পীদের

চাটখিলে লুটপাটের ঘটনায় পুলিশি ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ

দাউদকান্দিতে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ

জগন্নাথপুরে ৭ দোকান ছাই

ঝিকরগাছায় ছুরিকাঘাতে দুই কিশোর আহত

লক্ষ্মীপুর বিএনপিতে সংঘর্ষ, বহিষ্কার ১৬

ছবি

তিস্তা-যমুনার ভাঙনে বাড়ছে বালু চর, হ্র্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি

আমতলীতে কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে নিহত এক

দামুড়হুদায় ভুট্টার বাম্পার ফলন চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক

বগুড়া সিটি করপোরেশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু

ঈশ্বরদী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত, তিন ঘণ্টা বন্ধ ট্রেন চলাচল

সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাসপাতালে

কমলগঞ্জে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার এক

কালিয়াকৈরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টায় যুবক আটক

নাটোরে আদালতের মালখানা থেকে ৬১ লাখ টাকাসহ আটক ৫

বোয়ালখালীতে প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

tab

সারাদেশ

ভালুকায় পানির স্তর নিচে নামায় নষ্ট হচ্ছে সাবমার্সিবল, বাড়ছে দুর্র্ভোগ

প্রতিনিধি, ভালুকা (ময়মনসিংহ)

শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

ভালুকা পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ বাসা বাড়ির সাব মার্সিবল নলকূপ নষ্ট হয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বাসা বাড়ির নষ্ট নলকূপ মেরামতে কল মিস্ত্রিদের চাহিদা বেড়ে গেছে সর্বত্র। পানির স্তর নীচে নামায় অজানা বসত মটর চালু রাখায় মটর গরম হয়ে পিবিসি পাইপের হাউজিং চেপে গিয়ে অনেকের মটর অকেজো হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। পানির চাহিদা মেটাতে অনেকে নতুন করে নলকূপ স্থাপন করতে বাধ্য হলেও অর্থনৈতিক কারণে অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না নতুন কল বসানো। ১১ এপ্রিল শুক্রবার পৌরসভার মেজরভিটা এলাকার একটি সাব মার্সিবল মেরামত করার সময় কল মিস্ত্রি আরিফ মিয়া জানান ওই কলটি পানির স্তর নীচে নামায় মটর চালু থাকায় গরম হয়ে পিবিসি পাইপ চেপে মোটর আটকে যাওয়ায় উঠা নামা না করায় সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এ রকম আরও ৫টি সাবমার্সিবল আটকে রয়েছে। গত কয়েকদিনে তিনি একাই ৩০টির মতো অকেজো সাব মার্সিবল নলকূপে পানির স্তর নেমে যাওয়ায ১০ ফুটপাইপ সংযোজন করে নীচে পানির চলমান স্তরে মটর নামিয়ে পানি উত্তেলনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মিস্ত্রিরা জানান প্রচণ্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে এলাকাবেধে পানির স্তর ৬০ থেকে ৭০ ফুট নীচে নেমে যাওয়ায় পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে সাবমার্সিবল অকেজো হয়ে পানির সংকট বেড়ে গেছে। ওই সব অকেজো নলকূপ সাড়াতে মিস্ত্রিরা দিনরাত কাজ করছেন। বর্তমানে বিদ্যুতায়িত হওয়ায় পৌর এলাকাসহ উপজেলার প্রায় গ্রামেই মোটর চালিত সাবমার্সিবল পানির পাম্পের প্রচলন বেড়ে গিয়েছে। কমেছে চাপ কলের ব্যবহার। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহ বয়ে যাওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে অধিকাংশ পানির কলে পানি উঠা বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা সারাতে লোকজন ভিড় করছেন টিউবওয়েলের দোকানে আর দারস্থ হচ্ছেন টিউবওয়েল মিস্ত্রিদের। গত কয়েক বছর ধরে ভালুকা পৌর এলাকার বাসা বাড়িতে ব্যবহৃত উপরের লেয়ারে স্থাপনকৃত চাপকল গুলি একেবারেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডিপসেট সাবমার্সিবল টিউবওয়েল ব্যবহার করছেন। টিউবওয়েল মিস্ত্রিদের সাথে কথা বলে জানাযায় ভালুকা পৌর এলাকার মেজর ভিটা, ঢালী ভবন, তোতাখাঁর ভিটায় বর্তমানে পানির স্তর ৭০ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে বেশিরভাগ সাবমার্সিবল মোটর চালিত পানির পাম্পগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এসব সারাতে তারা দিন রাত বাসায় বাসায় কাজ করছেন। এসব কলের কোনটায় অতিরিক্ত ১০ ফুট কোনটার ১৫ ফুট পাইপ সংযোজন করে নিচে নামিয়ে পানির লেয়ারে স্থাপন করে পানি উঠাতে সক্ষম হচ্ছেন। আর যেসব চাপ কলে হাউজিং করে ৭০ ফুটের নীচে পিষ্টন বাকেট স্থাপন করা আছে শুধু মাত্র ওইসব চাপকল গুলি পানি দিচ্ছে। কল মিস্ত্রিরা জানান যদিও চৈত্র মাসে খরার কারনে প্রতি বছর তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় এ বছর তারা প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন। তারা জানায় গত ৫ বছরের মধ্যে এত নিচে পানির স্তর কখনো নামেনি। এ সময় যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে পানির স্তর আরও নীচে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন পানি সংকট ব্যপক আকার ধারণ করতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় শতকরা ৮০টি টিউবওয়েল একই অবস্থা। স্তর নীচে নামার কারনে পানি উত্তোলনে ব্যঘাত ঘটচ্ছে। যারা ৮০ ফুট নীচে মোটর স্থাপন করেছেন তাদের কলে এখনও পর্যন্ত পানি উঠছে।

অনেকেই বলছেন এ অঞ্চলে বিগত বছরগুলোতে খরা মৌসুমে পানির স্তর সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ ফুট পর্যন্ত নামলেও তা স্থায়ী হয়নি। কিন্ত এ বছর ৬০ থেকে ৭০ ফুটের নীচে পানির স্তর নেমে গেছে। কারন হিসেবে অভিজ্ঞরা বলছেন এজন্য পরিবেশ বিপর্যয় একমাত্র দায়ী। এক সময়ের ভালুকার ক্ষীরু নদী খাল বিল পুকুর আর বড় বড় বৃক্ষের সমারোহে আদ্রতায় ভরা ছিল আবহাওয়া, জলীয় বাষ্প অনুকূল থাকায় যথা সময়ে বৃষ্টিপাত ও পুকুর খালবিলে প্রচুর পানি থাকার কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক ওপরে অর্থাৎ ৩০-৩৫ ফুটের মধ্যে স্থিতাবস্থায় থাকত। গত কয়েকবছর ধরে নির্বিচারে ছোট বড় বৃক্ষ কর্তনের ফলে ছায়াশুন্য মাটিতে কেবলই বাধাহীন সূর্যের তাপদাহ আর ভরাট হওয়া পানিশূন্য পুকুর নদী খাল বিল গুলো পানিশূন্য হয়ে যেন খা খা করছে। অপরদিকে একশ্রেণীর ভূমিদস্যুরা শিল্পপতিদের মদদপুষ্ট হয়ে স্বল্পমুল্যে জলাভূমি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে মাটি ফেলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে তাতে দেদার্সে শিল্প কারখানা স্থাপন আর পরিবেশ ধ্বংস করছেন। যা দেখা বা প্রতিরোধের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কোন সংশ্লিষ্ট মহল। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষি সেচে ব্যবহৃত গভীর নলকূপ ছাড়াও কয়েকশ মিল ফ্যাক্টরিতে শক্তিশালী গভীর নলকূপ দিয়ে দিন রাত পানি উত্তোলন করার কারনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের আরও অবনতি হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের পক্ষে ৩০-৩৫ হাজার টাকায় একটি সাবমার্সিবল পানির কল স্থাপন সম্ভব নয়। খরা মৌসুমে এসব মানুষের খাবার পানি অন্যের বাড়ি থেকে আনতে হয়।

কারন চাপ কল কিংবা টানা কলে এখন আর পানি পাওয়া যায়না। খড়ার কারনে তাপদাহ অব্যাহত থাকলে খাবার পানি ও কৃষিতে সেচ কাজ ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

back to top