চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ২১টি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা বিএনপি ও জামায়াতপন্থি ২১ জনকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ না থাকায় এবং শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্রের বৈধতা বিষয়ক আপত্তি ও শুনানির সময় শেষে ২১ পদে ফরম সংগ্রহ করা সবাইকে নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সমিতির পদগুলোতে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের ঐক্য পরিষদের একজন করে প্রার্থী হয়েছেন। এতে করে এবার আর ভোট নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা বিজয়ী হতে চলেছেন।
আপত্তি ও শুনানির জন্য নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তথ্য দিয়ে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, “২১টি পদে ২১ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২১টি মনোনয়নপত্রই প্রার্থীরা সংগ্রহ করেছিলেন। যেহেতু কোনো পদে প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ নেই, তাই এবার আর ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। তাই চূড়ান্ত প্রার্থীদের বিষয়ে আগামীকাল (রোববার) সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পদগুলোতে শুধু একজন করে প্রার্থী হওয়া এবং তাদের বিনা ভোটে বিজয়ের নজির এবারই প্রথম। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেন, সমিতির ২১টি পদ বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী আইনজীবীরা ‘ভাগাভাগি’ করে প্রার্থী দিয়েছেন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৪ পদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রার্থী হন। আর একটি সহ-সভাপতি পদ ও দুটি সম্পাদকীয় পদসহ মোট সাতটি পদে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত অনুসারী আইনজীবীরা।
চূড়ান্ত ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সিরাজ, সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, লাইব্রেরি সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনজুর হোসাইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার।
কমিটির নির্বাহী সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- আহসান উল্লাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেলাল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, মো. রোবায়তুল করিম, মো. শাহেদ হোসাইন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহেলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসাইন।
এদের মধ্যে সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং নির্বাহী কমিটির চার সদস্য হেলাল উদ্দিন, মো. শাহেদ হোসাইন, মো. রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ জামায়াত সমর্থিত।
ফরম নিতে বাধার অভিযোগ
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা সংগ্রহের দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফরম নেওয়ার সময় দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ ও বাম ঘরানার আইনজীবীরা বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে।
এলডিপি নেতা ও জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের পিপি শাহাদাত হোসেনও সভাপতি পদে ফরম তুলতে গেলে ‘শারীরিক লাঞ্ছনার’ অভিযোগ করেন। বাধার মুখে ফরম নিতে না পারা আইনজীবীরা অ্যাডহক কমিটির কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি।
আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, সমিতির পদগুলো নিজেদের মধ্যে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ করে নিতে নজিরবিহীন এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হল।
সভাপতি পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক সাবেক পিপি আবদুর রশিদ এর আগে ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করে বলেন, “শুধু আমাদের নয়, একজন এলডিপি করা আইনজীবীকেও তারা ফরম নিতে দেয়নি। তারা খালি পোস্টে গোল দিতে চায়।”
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ২১টি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা বিএনপি ও জামায়াতপন্থি ২১ জনকেই প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ না থাকায় এবং শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্রের বৈধতা বিষয়ক আপত্তি ও শুনানির সময় শেষে ২১ পদে ফরম সংগ্রহ করা সবাইকে নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সমিতির পদগুলোতে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের ঐক্য পরিষদের একজন করে প্রার্থী হয়েছেন। এতে করে এবার আর ভোট নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তারা বিজয়ী হতে চলেছেন।
আপত্তি ও শুনানির জন্য নির্ধারিত সময় শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তথ্য দিয়ে মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, “২১টি পদে ২১ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২১টি মনোনয়নপত্রই প্রার্থীরা সংগ্রহ করেছিলেন। যেহেতু কোনো পদে প্রতিদ্বন্দ্বী আর কেউ নেই, তাই এবার আর ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। তাই চূড়ান্ত প্রার্থীদের বিষয়ে আগামীকাল (রোববার) সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পদগুলোতে শুধু একজন করে প্রার্থী হওয়া এবং তাদের বিনা ভোটে বিজয়ের নজির এবারই প্রথম। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলেন, সমিতির ২১টি পদ বিএনপি-জামায়াতের অনুসারী আইনজীবীরা ‘ভাগাভাগি’ করে প্রার্থী দিয়েছেন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১৪ পদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রার্থী হন। আর একটি সহ-সভাপতি পদ ও দুটি সম্পাদকীয় পদসহ মোট সাতটি পদে প্রার্থী হয়েছেন জামায়াত অনুসারী আইনজীবীরা।
চূড়ান্ত ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সিরাজ, সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, লাইব্রেরি সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনজুর হোসাইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার।
কমিটির নির্বাহী সদস্য পদের প্রার্থীরা হলেন- আহসান উল্লাহ মানিক, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, হেলাল উদ্দিন, মেজবাহ উল আলম আমিন, মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, মো. রোবায়তুল করিম, মো. শাহেদ হোসাইন, মোহাম্মদ মোরশেদ, রাহেলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসাইন।
এদের মধ্যে সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং নির্বাহী কমিটির চার সদস্য হেলাল উদ্দিন, মো. শাহেদ হোসাইন, মো. রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ জামায়াত সমর্থিত।
ফরম নিতে বাধার অভিযোগ
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম জমা সংগ্রহের দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফরম নেওয়ার সময় দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ ও বাম ঘরানার আইনজীবীরা বাধার মুখে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে।
এলডিপি নেতা ও জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের পিপি শাহাদাত হোসেনও সভাপতি পদে ফরম তুলতে গেলে ‘শারীরিক লাঞ্ছনার’ অভিযোগ করেন। বাধার মুখে ফরম নিতে না পারা আইনজীবীরা অ্যাডহক কমিটির কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি।
আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, সমিতির পদগুলো নিজেদের মধ্যে ‘ভাগ-বাটোয়ারা’ করে নিতে নজিরবিহীন এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হল।
সভাপতি পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক সাবেক পিপি আবদুর রশিদ এর আগে ফরম সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ার অভিযোগ করে বলেন, “শুধু আমাদের নয়, একজন এলডিপি করা আইনজীবীকেও তারা ফরম নিতে দেয়নি। তারা খালি পোস্টে গোল দিতে চায়।”